রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে শুধু ওষুধের উপর ভরসা না করে পাতে রাখুন কয়েকটি শাক

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের প্রাচুর্যই হচ্ছে এই সবুজ টাটকা শাক-সব্জি। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে শুধু ওষুধের উপর ভরসা না করে পাতে রাখতে পারেন কয়েকটি শাক।

শুধুমাত্র খেতে ভাল লাগে বলেই নয়, শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন, প্রোটিন ও খনিজের ঘাটতি পূরণ করতে টাটকা শাকসব্জি খেতে বলে থাকেন পুষ্টিবিদরা। যে মৌসুমে যে শাক পাওয়া যায়, সেইসব নিয়মিত খেতে পারলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে তোলা সম্ভব। প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের প্রাচুর্যে ভরপুর হলো এই সবুজ, টাটকা শাক। সব্জির পাশাপাশি তাইতো নিয়মিত কোনও না কোনও মৌসুমি শাক খেতে বলা হয়। শুধুমাত্র রোগ প্রতিরোধই নয়, ত্বক থেকে চুল- সবই ভালো রাখে শাকপাতা। তবে কোন শাকের পুষ্টিগুণ কেমন, তা কী আপনার জানা আছে? আজ জেনে নিন।

মেথি শাক

Related Post

শীতকাল এলেই বাজারে মেথি শাক দেখা যায়। আয়রণ, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি-এর গুণে সমৃদ্ধ মেথি শাক, ডাল, তরকারি বা পরোটাতে দিয়ে খাওয়া যেতে পারে।

ধনে পাতা

শীত কিংবা গরম কালই হোক ধনেপাতার চাটনি খেতে ভালোবাসেন অনেকেই। ভিটামিন এ, সি এবং কে-এর মতো প্রয়োজনীয় উপাদন রয়েছে এই ধনে পাতায়। চাটনি তো ও তরকারি বা ডালে ধনে পাতা পড়লে, তার স্বাদই অন্যরকম হয়ে যায়।

সজনে পাতা

সজনে ডাঁটার মতো স্বাদের জিনিস পাওয়া দুষ্কর। সজনে শাকও শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী। পুষ্টিবিদরা বলেন, প্রয়োজনীয় বিভিন্ন রকমের ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর সজনে পাতা তারুণ্য ধরে রাখতেও সাহায্য করে।

লাল নটে শাক

নানা রকম প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর লাল নটে শাক। এই শাকে অ্যান্টি অক্সিড্যান্টের পরিমাণও নেহায়েত কম নয়। তাই ভাতের পাতে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে এই শাকও খেতে পারেন।

কুমড়ো শাক

অনেকেই এটি পছন্দ না করলেও কুমড়ো বীজের মতোই, কুমড়ো শাক নানা প্রকার খনিজের ঘাটতি পূরণ করতে পারে। অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট এবং সেইসঙ্গে প্রয়োজনীয় ভিটামিনের জোগানও দিতে পারে এইসব শাক। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on ডিসেম্বর ৬, ২০২৩ 4:19 অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

কখনও কখনও প্রকৃতি আমাদের মুগ্ধ করে

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। সোমবার, ১৩ মে ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১…

% দিন আগে

নিয়ম না মেনে হাঁটলে সুফল পাওয়া দুষ্কর

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শরীরচর্চার সব উপায়ের মধ্যে হাঁটাকেই বেশি গুরুত্ব দেন অনেকেই। তবে…

% দিন আগে

কমিউনিটির মধ্যে বন্ধন গড়ে তুলতে আইএসডি ফেয়ার অনুষ্ঠিত

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্কুল, শিক্ষার্থী ও কমিউনিটির মধ্যে ঐক্য এবং একাত্মতা উদযাপনে আইএসডি…

% দিন আগে

কৃষকদের জলবায়ু-সহিষ্ণু করে তুলতে একসঙ্গে কাজ করবে আইফার্মার এবং উইনরক

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আইফার্মার লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ে গত ৮ মে আইফার্মার লিমিটেড ও…

% দিন আগে

তাহসানের সঞ্চালনায় ফ্যামিলি ফিউড-এর বাংলাদেশি সংস্করণ বঙ্গতে!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের অন্যতম শীর্ষ ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গ’তে শীঘ্রই আসছে জনপ্রিয় মার্কিন…

% দিন আগে

এসএসসিতে গড় পাসের হার ৮৩.০৪ শতাংশ

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এ বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করেছে ৮৩ দশমিক…

% দিন আগে