ভারতের ঐতিহাসিক মক্কা মসজিদ

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ১২ মাঘ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৩ রজব ১৪৪৫ হিজরি। দি ঢাকা টাইমস্ -এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভ সকাল। আজ যাদের জন্মদিন তাদের সকলকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা- শুভ জন্মদিন।

যে মসজিদটি আপনারা দেখতে পাচ্ছেন সেটি ভারতের ঐতিহাসিক মক্কা মসজিদ। এই মসজিদটি নির্মাণ করতে সময় লেগেছিল ৭৬ বছর।

মোঘল আমলে ভারতে নির্মিত হয়েছিল এই মসজিদটি। এই মসজিদ নির্মাণে হাত লাগিয়েছিলেন হাজার হাজার শ্রমিক। তার পরও ৭৬ বছর লেগে যায় কাজ সম্পন্ন করতে। আওরঙ্গজেবের আমলে সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় এই মসজিদের দরজা। এই মসজিদের নামকরণের পিছনেও রয়েছে মক্কা যোগ। কেনো সৌদি আরবের মক্কার নামে ভারতে মসজিদের নামকরণ করা হলো?

Related Post

তেলেঙ্গানার রাজধানী শহর হায়দরাবাদে নির্মিত হয় এই মসজিদটি। হায়দরাবাদের ওল্ড সিটিতে বিখ্যাত ৪ মিনার থেকে ৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত মক্কা মসজিদ। হায়দারবাদের পর্যটন মানচিত্রে মক্কা মসজিদ বরাবরই বিশেষ আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে পরিচিতি হয়ে আসছে।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৬১৭ সালে তৎকালীন গোলকন্ডা (অধুনা হায়দরাবাদ)-র ষষ্ঠ কুতুব শাহী সুলতান মুহাম্মদ কুতূব শাহ নিজে হাতে মসজিদের প্রথম ইটটি গাঁথেন। তৎকালীন সুলতান ৮ হাজার নির্মাণ কর্মীকে মসজিদ তৈরিতে কাজে লাগান। তবে নানা কারণে বিলম্ব হতে শুরু করে। ৭৬ বছর পর আওরঙ্গজেবের হাতে শেষ হয় এই মসজিদের কাজ।

একাধিক ইতিহাসবিদ বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ রাখলেও লোকমুখে প্রচলিত রয়েছে যে, ৬৭ মিটার দীর্ঘ, ৫৪ মিটার চওড়া এবং ২৩ মিটার উচ্চতার মসজিদ তৈরি করতে কালঘাম ছুটে যায়। জটিল নির্মাণ শৈলির উদাহরণবহনকারী মক্কা মসজিদ তৈরিতে ৭৬ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার সম্ভাব্য মূল কারণই হলো, সুবিশাল আকৃতি এবং জটিল ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবস্থা।

ইতিহাস নিয়ে চর্চা করা ব্যক্তিদের লেখা থেকে জানা যায় যে, মক্কা মসজিদের বহির্ভাগে রয়েছে ৩টি আর্চ। গ্রানাইটের একটি টুকরো দিয়েই এই বিখ্যাত আর্চ ৩টি তৈরি করা হয়। শোনা যায় যে, ওই গ্রানাইটের টুকরোটি পাথর খাদান থেকে উত্তোলনেই নাকি সময় লেগেছিল ৫ বছর।

হায়দারবাদের মক্কা মসজিদের আর্চড গ্যালারিতে ১৮০৩ সাল হতে প্রত্যেক শাসক নিজামের সমাধি রয়েছে। চারতলা বিশিষ্ট এই মসজিদের গম্বুজটি সৌদি আরবের কাবার মসজিদের আদলেই নির্মিত হয়েছে বলে মনে করা হয়। মক্কার বেলেপাথর এবং মদিনা থেকে আনা পলিশড মার্বেল ও বাগদাদের লোহা দিয়ে তৈরি হয়েছিল এর গম্বুজটি। মসজিদটিতে একসঙ্গে ১০ হাজার মানুষ নামাজে অংশ নিতে পারেন। জুম্মা এবং জানাজার নামাজের জন্য রয়েছে পৃথক কক্ষও। তথ্যসূত্র: https://eisamay.com

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on জানুয়ারী ২৪, ২০২৪ 10:53 পূর্বাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি এম রাশিদুল হাসান: আবারও বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দেশীয় সফটওয়্যারে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের প্রত্যয় নিয়ে…

% দিন আগে

কম বয়সেই চুলে পাক ধরছে? এই উপসর্গ কি অন্য শারীরিক সমস্যার ইঙ্গিত দিচ্ছে?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, কম বয়সে চুলে পাক…

% দিন আগে

আইফোনের বিক্রি ১০ শতাংশ কমে গিয়ে আয়ে বড় পতন অ্যাপলের

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বের খ্যাতিমান প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপলের স্মার্টফোন আইফোনের বিক্রি চলতি বছরের…

% দিন আগে

এবার কন্যা সন্তানের মা হলেন পরীমণি!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পরীমণি প্রথমবারের মতো তিনি পুত্র সন্তানের মা হন ২০২২ সালের…

% দিন আগে

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করলে ইসরায়েল একাই লড়বে: নেতানিয়াহু

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইসরায়েল রাফায় হামলা চালালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ…

% দিন আগে

ছবির দু’টি মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে ৩টি অমিল: খুঁজে বের করতে পারবেন?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বলা হয়েছে থাকে এই ধরনের ধাঁধার সমাধান করার অভ্যাস আমাদের…

% দিন আগে