হজমশক্তি বাড়াতে দই অব্যর্থ হলেও আয়ুর্বেদ মতে কোন রোগ থাকলে হিতে বিপরীত হবে?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিপাকহার ভালো রাখতে নিয়মিত টক দই খাওয়ার অভ্যাসও রয়েছে অনেকের মধ্যে। তবে ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে বিপদ আরও বাড়িয়ে দিতে পারে এই টক দই।

ডায়াবেটিস অর্থাৎ রক্তে শর্করা বেশি থাকলে খাবার নিয়ে হাজার রকম বিধিনিষেধ মানতে হয়। কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণও কমিয়ে দিতে হয়। আর তাই মিষ্টিজাতীয় খাবার একেবারেই বাদ দিতে বলা হয়। তবে, একেবারে মিষ্টি খাওয়া বন্ধ করলেও যে খুব একটা লাভ হবে তা কিন্তু নয়। সাধারণ চিনির বদলে কৃত্রিম চিনি খেলে শরীরের অন্যান্য সমস্যাও হতে পারে, তাই খাবারে তো বটেই, চা’তেও গুড় মিশিয়ে খান অনেকেই। বিপাকহার ভালো রাখতে নিয়মিত টক দই খাওয়ার অভ্যাসও রয়েছে অনেকের মধ্যে। তবে তাতে ডায়াবেটিক রোগীদের কী আদৌ কোনও উপকার হয়? সম্প্রতি এই বিষয়ে একটি তথ্য প্রকাশ করেছেন এক আয়ুর্বেদ চিকিৎসক ও নেটপ্রভাবী। তিনি জানিয়েছেন যে, দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস থাকলে যে ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে, সেটি এড়িয়ে চলতে হলে ৩টি খাবার একেবারেই বাদ দিতে হবে।

টক দই

Related Post

আয়ুর্বেদ বলছে যে, শরীরে কফ দোষ বাড়িয়ে তুলতে পারে টক দই। যা পরোক্ষভাবে বিপাকহার কমিয়ে দেয় ও দেহের ওজন বাড়িয়ে তোলে। অনেকেই মনে করেন যে, দই খেলে শরীর ঠাণ্ডা হয়। তবে, এই ধারণাটি আয়ুর্বেদে ভ্রান্ত। বরং দই হজম করা অনেকের পক্ষে নাকি বেশি সমস্যার হয়ে যেতে পারে। তাই যাদের রক্তে শর্করা, খারাপ কোলেস্টেরল বা ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রাও বেশির দিকে, তাদের নিয়মিত দই না খাওয়াই ভালো। তবে যদি দই ঘোল বানিয়ে খেতে পারেন, তাহলে কোনও সমস্যা নেই। কারণ হলো, তাতে দইয়ের সঙ্গে পানি মেশানো থাকে।

সাদা লবণ

রক্তে শর্করা বাড়িয়ে তুলতে লবণের সরাসরি কোনও ভূমিকাই নেই। তবে বেশি লবণ খেলে রক্তের চাপ বেড়ে যায়। ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা সাংঘাতিক আকার ধারণ করতে পারে। যা পরবর্তী সময় হার্ট ও কিডনি বিকল করে দিতে পারে। তাই আয়ুর্বেদে সৈন্ধব লবণ খাওয়ার উপরে জোর দেওয়া হয়। রক্তের চাপ স্বাভাবিক রাখতে পারলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

গুড়

চিনির পরিবর্তে রান্নায় গুড় দেওয়ার রেওয়াজ বহু পুরনো। অনেকেই মনে করেন যে, চিনির তুলনায় গু়ড়ের পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। তা সত্ত্বেও গুড় রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়েও তুলতে পারে। কারণ হলো, চিনি খান বা গুড়ই খান- পরিমাণে অবশ্যই লাগাম রাখতে না পারলে কোনও লাভই হবে না। চিনির থেকে গুড়ের পুষ্টিগুণ বেশি হওয়া সত্ত্বেও শর্করার মাত্রায় কোনও হেরফেরও চোখে পড়ে না সাধারণভাবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on জানুয়ারী ৩১, ২০২৪ 4:16 অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

দেশে ফিরেই মোনালিসা অভিনয়ে ফেরার কথা জানালেন

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এক সময় ছোট পর্দার ব্যস্ত মুখ হিসেবে পরিচিত ছিলেন মোজেজা…

% দিন আগে

এই ছবির মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে একটি হরিণ: আপনি কী খুঁজে বের করতে পারবেন?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এই জঙ্গলের মধ্যে নদী রয়েছে। রয়েছে সার দেওয়া গাছ। চারপাশে…

% দিন আগে

পাহাড়-পর্বতের এক অসাধারণ দৃশ্য

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১…

% দিন আগে

সন্তানের শরীরচর্চা নিয়ে চিন্তিত না হয়ে জিম, যোগাসন ও আর যা শেখানো যেতে পারে

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমানে পড়াশোনার জন্য দিনের বেশির ভাগ সময় কম্পিউটারে চোখ রাখতে…

% দিন আগে

ডিবিএইচের ময়মনসিংহ শাখা উদ্বোধন

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের গৃহঋণ প্রদানকারী স্পেশালিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠান ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি সম্প্রতি…

% দিন আগে

পাবলিক প্রকিউরমেন্টে সমান সুযোগের জন্য অন্যায্য ধারাগুলো সরান

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রবিবার (১২ মে) সেমিনারে বক্তারা বলেন, সরকারকে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রক্রিয়ায়…

% দিন আগে