দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ৫২ বছর ধরে পুরুষ সেজে ছিলেন আয়ারল্যান্ডের ডা. জেমস ব্যারি নামে এক ব্যক্তি ।
নিজের পরিচয় বা চেহারা গোপন রাখার কাজটি সবাই করতে পারেন না। গোয়েন্দাগিরি বা বড় কোন সন্ত্রাসী, অপরাধী, সিনেমা-নাটকের চরিত্র পরিবর্তনের জন্য কিংবা নিছক মজা করার জন্যও অনেকেই সেজে থাকেন বা এই ছদ্মবেশ নিয়ে থাকেন। কিন্তু সেটি ক্ষণিকের জন্য। খুব কম সময়ের জন্য এমনটি করেন অনেকেই। কিন্তু দীর্ঘ সময় এমন পরিচয় গোপন করে বেঁচে থাকা সচরাচর দেখা যায় না। যা ঘটেছে ডা. জেমস ব্যারি’র ক্ষেত্রে।
তবে জীবনের বেশির ভাগ সময় ছদ্মবেশ নিয়ে অর্থাৎ পুরুষ মহিলা সেজে অথবা মহিলা পুরুষ সেজে কাটিয়ে দেন এমন খবর কদাচিৎ পাওয়া যায়। এই খবরটিও ঠিক তেমনি। পৃথিবীর এমন ঘটনার একটি হলো ডা. জেমস ব্যারি’র ঘটনা। ডা. জেমস ব্যারি’ জীবনের দীর্ঘ ৫২টি বছর কাটিয়েছেন ছদ্মবেশে। বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে জেমস ব্যারি ছিলেন একজন মহিলা কিন্তু তিনি ৫২ বছর কাটিয়েছেন পুরুষের ছদ্মবেশে। আর পুরুষবেশে এ দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন তাও আবার সেনাবাহিনীতে!
ব্যারির জন্ম তারিখ নিয়ে বেশ বিভ্রান্তি রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি ১৭৮৯ সালে আয়ারল্যান্ডে জন্ম গ্রহণ করেন। শৈশবে তার নাম ছিল মার্গারেট এন বুলকেলি। তার আরও একটি পরিচয় আছে। সেটি হচ্ছে তিনি ছিলেন স্কটল্যান্ডের তৎকালীন লর্ডের নাতনি। তিনি কেন ছদ্মবেশ ধারণ করেছিলেন এ ব্যাপারে অবশ্য বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। ছোটবেলায় তার জীবনে ঘটে যাওয়া একটি দুঃখজনক ঘটনা থেকেই তিনি নাকি এ ধরনের আত্মগোপন করে থাকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তিনি প্রতিজ্ঞা করেন যতদিন তিনি জীবিত থাকবেন ততদিন পুরুষের ছদ্মবেশে থাকবেন। তাই তিনি ১৮১৩ সালে নিজের নাম পরিচয় পরিবর্তন করে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে ডাক্তারি পেশায় চাকরি নেন। আর এভাবেই তিনি ছদ্মবেশে কাটিয়ে দেন ৫২টি বছর।
ডা. জেমস ব্যারি ছিলেন অবিবাহিত। তিনি ছিলেন ভয়ানক বদমেজাজি। সেনা সদস্য ছাড়াও তার রয়েছে বেশ কিছু পরিচয়। তিনি ছিলেন একজন বিখ্যাত ডাক্তার এবং একজন ভালো মুষ্টিযোদ্ধা। ১৮১২ সালে ডা. জেমস ব্যারি ইডেনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিকিৎসা শাস্ত্রে ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৮১৩ সালের ২ জুলাই তিনি ইংল্যান্ডের বিখ্যাত রয়েল কলেজ অব সার্জনে চাকরি গ্রহণ করেন। এ সময় থেকেই তিনি ছদ্মবেশ ধারণ করেন বলে অনেকের ধারণা।
ডা. জেমস ব্যারি টানা ৫২ বছর তার পরিচয় গোপন করে রেখেছিলেন শুধু তাই নয়, এমনিভাবে তার পরিচয় গোপন করে রেখেছিলেন সেনাবাহিনীতেও। কেওই তার আসল পরিচয় সম্পর্কে জানতে পারেনি। এমনকি তার ব্যক্তিগত ভৃত্য যে তার সাথে ৫০ বছর সময় কাটিয়েছেন সেও কখনও তার আসল পরিচয় জানতে পারেনি! তার সত্যিকার পরিচয় ধরা পড়ে তার মৃত্যুর পর। ১৮৬৫ সালের ২৫ জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পরই সবাই জানতে পারে ডা. জেমস ব্যারি আসলে পুরুষ ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন নারী। আর এভাবেই বেরিয়ে আসে ডা. জেমস ব্যারি টানা ৫২ বছর তার পরিচয় গোপনের বিষয়টি। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন ঘটনা খুব বেশি নয়। হাতে গোনা কিছু ঘটনা রয়েছে, দীর্ঘদিন পরিচয় গোপন করে বেঁচে থাকার মতো ঘটনা। ডা. জেমস ব্যারি টানা ৫২ বছর তার পরিচয় গোপন করে সেই রেকর্ড গড়েছেন। সূত্র: অনলাইন
This post was last modified on মে ২৯, ২০২৩ 5:11 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শীতে মধু মাখলে বেশ উপকার পাওয়া যাবে। যে কারণে এই…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সম্প্রতি বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিপাইনের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আসলে ২০২৫ সালের প্রযুক্তি–দুনিয়া কেমন যাবে, তা নিয়ে অনেক জল্পনা-কল্পনা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিল্মের মানুষদের নেতিবাচকভাবে উপস্থাপনের অভিযোগে ২০২১ সালে সেন্সর বোর্ড থেকে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মধ্য আফ্রিকার দেশ চাদের রাজধানী এনজামেনায় প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে বোকো হারাম…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভাইরাল এক ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, হাতির পিঠে দড়ি দিয়ে আষ্টেপৃষ্ঠে…