মাঝে-মধ্যেই পেটব্যথা করলে অবহেলা করবেন না

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ‘ন্যাশনাল হেল্‌থ সার্ভিস’-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ডায়াবেটিস, অতিরিক্ত ওজন, ধূমপানের অত্যাধিক প্রবণতা অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার ডেকে আনে। তবে যে কারণেই হোক না কেনো, সতর্ক থাকতে এই ক্যান্সারের লক্ষণগুলো জেনে নেওয়া উচিত। তবেই দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব।

ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে যে কোনও সময়ই হানা দিতে পারে এই মারণরোগ। তবে ইদানীং অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ছে। এক পরিসংখ্যান জানিয়েছে, অন্যান্য ক্যান্সারের তুলনায় অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারেই বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার হলে সহজেই তা ধরা যায় না। যে কারণে দ্রুত এই রোগ নির্ণয় করাও যায় না। যখন ধরা পড়ে, তখন শরীরে অনেকটা ছড়িয়ে যায় ক্যান্সার। ভারতের ‘ন্যাশনাল হেল্‌থ সার্ভিস’-এর রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যায়, ডায়াবেটিস, অতিরিক্ত ওজন, ধূমপানের অত্যাধিক প্রবণতা পেটের ক্যান্সার ডেকে আনে। তবে যে কারণেই হোক না কেনো, সতর্ক থাকতে এই ক্যান্সারের লক্ষণগুলো জেনে নিতে হবে। তাহলে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করাও সম্ভব হবে।

# খাওয়া-দাওয়ায় একটু অনিয়ম হলে বদহজমের সমস্যা হওয়া খুবই সাধারণ একটি বিষয়। তবে এই সমস্যা কিন্তু সাময়িক। যদি দেখেন যে, ওষুধ খাওয়ার পরেও মাঝে-মধ্যেই এই সমস্যা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, তাহলে তবে চিন্তার বিষয়। বদহজমও অগ্ন্যাশয় ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ। এই প্রকার ক্যান্সারের রোগীদের বদহজমের সঙ্গে সঙ্গে খাওয়ায় অরুচি, সারাক্ষণ বমি বমি ভাব- এই সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হতে হবে।

Related Post

# যে সব রোগীর এই ক্যান্সার ধরা পড়ে, তাদের বেশির ভাগই চিকিৎসকের কাছে যান পেটে ব্যথার সমস্যা নিয়েই। তীব্র পেটের যন্ত্রণা এই ক্যান্সারের অন্যতম একটি উপসর্গ। কিছু খাওয়ার পর কিংবা শুয়ে থাকা অবস্থায় এই যন্ত্রণা আরও অসহনীয় হয়ে ওঠে। অনেকের ক্ষেত্রে যন্ত্রণা পেট থেকে পিঠের দিকেও ছড়িয়ে পড়ে অনেক সময়।

# সাধারণ ঘন ঘন জন্ডিসে আক্রান্ত হলে সেটি মোটেও ভালো লক্ষণ নয়। এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে প্রাথমিক পর্যায় অনেকেই জন্ডিসে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। তাই সাবধান হতে হবে। বার বার ডায়েরিয়া কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্যে আক্রান্ত হওয়া, দীর্ঘদিন ব্যাপী জ্বর, ক্লান্তিবোধ অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। তাছাড়াও মলের রঙে পরিবর্তন দেখতে পেলে বা অস্বাভাবিক হারে ওজন কমে গেলেও সতর্ক হতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০২৪ 3:32 অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

মুঠো মুঠো ভিটামিন সি সাপ্লিমেন্ট খেলে কিডনিতে কী পাথর জমতে পারে?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ একটি বিষয় হলো সাপ্লিমেন্ট যখন খুশি তখন খাওয়া যায় না।…

% দিন আগে

নতুন ইউনিকর্ন বাইক নিয়ে এলো হোন্ডা

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হোন্ডার জনপ্রিয় মোটরসাইকেল সিবি ইউনিকর্ন সম্প্রতি নতুন রূপে আন্তর্জাতিক বাজারে…

% দিন আগে

২০২৫ সালেই মুক্তি পাবে সিয়াম অভিনীত ‘জংলি’

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ২০২৪ সালেই মুক্তির কথা ছিল এম রাহিম পরিচালিত সিয়াম আহমেদ…

% দিন আগে

বেলুনের ভিতর ঢুকে বিয়ের কনে: নিন্দার ঝড় নেটমাধ্যমে!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশাল গোলাকৃতি একটি বেলুনের ভিতর লেহঙ্গা পরে রয়েছেন এক বিয়ের…

% দিন আগে

খেজুরের রস ও শীত

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২৭ পৌষ ১৪৩১…

% দিন আগে

প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুদের ক্ষেত্রে দুধ কখন ও কতোটা খেলে উপকার হবে?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনি দুধ কোন সময় খাচ্ছেন ও কতোটুকু খাচ্ছেন, তা জানা…

% দিন আগে