দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা শুধুমাত্র সিনেমার পর্দাতেই বিশেষ পোশাক পরে নায়ক-খলনায়কদের অদৃশ্য হতে দেখেছি। তবে এখন থেকে সিনেমায় নয়, বাস্তবেও অদৃশ্য হতে পারবে একজন মানুষ!
এই কথাটি একবিন্দুও মিথ্যে নয়, সত্যিই অদৃশ্য হওয়ার অসম্ভব ক্ষমতাকে সম্ভব করেছেন এবার বিজ্ঞানীরা। পরিবেশের ছদ্মবেশে অদৃশ্য হওয়ার এই কাপড়টি উদ্ভাবন করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির গবেষকরা।
বিজ্ঞানীরা এমন ধরনের কাপড় তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন যা মানুষকে মূলত ছদ্মবেশে অদৃশ্য করে রাখবে। ছদ্মবেশে অদৃশ্য হওয়ার এই প্রযুক্তিটির পরীক্ষামূলক ব্যবহারে ইতিমধ্যেই সফলও হয়েছে বিট্রিশ সেনাবাহিনী। নতুন আবিষ্কৃত এই কাপড়ে রয়েছে ছোট ছোট লাইট সেন্সিং সেল, যা প্রতিপক্ষের দৃষ্টি হতে অদৃশ্য হওয়ার সুবিধা দিতে ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে পোশাকের রঙ পরিবর্তন করতেও সক্ষম। রঙ চিহ্নিত করার পর একটি ইলেকট্রিক সিগন্যালিং সঞ্চারিত হয় এই কাপড়টিতে। কাপড়ের একবারে ওপরের স্তরটি হিট-সেনসিটিভ ডাই প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছে। যা রঙ বদলে আশপাশের পরিবেশের রঙ ধারণ করতে সক্ষম। তাই এই কাপড় গায়ে জড়িয়ে কোথাও স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকলেই, একটু সময় পরেই সেখানকার পরিবেশ অনুযায়ী রঙ বদলে ফেলবে এই কাপড়টি। যে কারণে বেশ খানিকটা দূরত্ব থেকে কারও পক্ষেই বোঝা সম্ভব না যে সেখানে কেও রয়েছেন। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়- যদি কেও এই কাপড় পরে পাহাড়ে অবস্থান করেন, তাহলে তার কাপড়টি স্বয়ংক্রিয়ভাবেই পাহাড়ের রঙ ধারণ করবে। অর্থাৎ যে কোনো পরিবেশের রঙের সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই কাপড়টির রঙ বদলে যাবে। শুধু তা-ই নয়, আরও আজব বিষয় হচ্ছে, শক্রপক্ষের ইনফ্রা-রেড ট্রাকার কিংবা তাপ সচেষ্ট গ্যাজেটের মাধ্যমেও সেটি শনাক্ত করা সম্ভব হবে না।
এ সম্পর্কে গবেষণার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ঝাননি ঝাও বলেছেন, ‘ছদ্মবেশে অদৃশ্য হওয়ার সামরিক এই আবরণ উদ্ভাবন হওয়ায় আমরা খুবই সন্তুষ্ট। সামরিক বাহিনীতে বর্তমানে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হয়ে থাকে। এই ধরনের প্রযুক্তির গবেষণায়, সেগুলো সাধারণত স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিবেশ বুঝে রঙ ধারণ করতে সক্ষম। আমাদের উদ্ভাবিত নতুন প্রযুক্তির কাপড় সৈন্য ও সামরিক যানবাহনেও সফলভাবে ব্যবহার করা সম্ভব হবে।’
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on মার্চ ১৩, ২০২৪ 12:49 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়ার এক সৈকতে একজন কুকুরচালক হঠাৎ দেখতে পান একটি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ৩ পৌষ ১৪৩২…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ছোট মাছ যেমন- মলা, কাচকি, পুঁটি, টেংরা, তিনকাটা, খরে ইত্যাদি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন পিএলসি এর ৩০ তম বার্ষিক সাধারণ সভা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গণিতের বিশাল জগতে কোন সংখ্যাটি আসলে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে?…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঢালিউডের আলোচিত নায়িকা পরীমণিকে নিয়ে ভক্তদের দীর্ঘদিনের অপেক্ষার পালা শেষ…