দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অব্যাহত প্রয়াস তুলে ধরে বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের জাতীয় বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিস (বেসিস)- এর ২৫তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাজধানীর রাওয়া কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত বেসিসের এই বার্ষিক সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ। সভায় বেসিস নির্বাহী পরিষদের জ্যৈষ্ঠ সহ-সভাপতি সামিরা জুবেরী হিমিকা, সহ- সভাপতি (প্রশাসন) আবু দাউদ খান, সহ-সভাপতি (অর্থ) ফাহিম আহমেদ, পরিচালকবৃন্দ- হাবিবুল্লাহ নেয়ামুল করিম, একেএম আহমেদুল ইসলাম বাবু, মুশফিকুর রহমান, সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, তানভির হোসেন খান, মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল ও রাশাদ কবির উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বেসিসের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এ তৌহিদ, সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম রাউলি, এ কে এম ফাহিম মাশরুর, শামীম আহসান, এবং সৈয়দ আলমাস কবীরসহ বেসিসের পাঁচ শতাধিক সদস্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বেসিসের ২০২৩ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন ও ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পেশ করা হয় ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আয়-ব্যয় হিসাব নিরীক্ষার জন্য নিরীক্ষক নিয়োগ করা হয়। পেশকৃত এইসব প্রতিবেদনের উপর সভায় উপস্থিত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সদস্য আলোচনায় অংশ নেন এবং গুরুত্বপূর্ণ মতামত দেন।
বার্ষিক সাধারণ সভায় বেসিসের সহ-সভাপতি (প্রশাসন) আবু দাউদ খান ভবিষ্যৎ উপযোগী মানবসম্পদ তৈরি, স্থানীয় শিল্পের বিকাশ, বিদেশি বাজার সম্প্রসারণ, পুঁজি ও আর্থিক প্রণোদনা সুবিধা বৃদ্ধি, স্টার্টআপের জন্য একটি সমৃদ্ধ ইকোসিস্টেম তৈরি করা, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন এবং সম্প্রসারণ, বেসিস সচিবালয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে গৃহিত পদক্ষেপসহ বেসিসের গত এক বছরে বাস্তবায়িত কার্যক্রমের প্রতিবেদন তুলে ধরেন।
সভায় বেসিসের সহ-সভাপতি (অর্থ) ফাহিম আহমেদ ২০২৩ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন এবং ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পেশ করেন।
বার্ষিক সাধারণ সভায় বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, “বর্তমানে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে আছি। আমাদের আরও অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে। বেসিস তার সদস্যদেরকে সঙ্গে নিয়ে এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে চলেছে। আমরা আপনাদের সকলকে সঙ্গে নিয়ে দেশের সফটওয়্যার এবং তথ্যপ্রযুক্তি পরিষেবা খাতের উন্নয়নে কার্যকর অবদান রাখতে চাই। আমরা একসঙ্গে কাজ করবো এবং আমরা বেসিস কে আরও উত্তরোত্তর সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবো।”
এছাড়া, বেসিস সভাপতি বেসিসের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সদস্যদের স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতা কামনা করেন। অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে বিশেষ করে বেসিস সদস্যদের জন্য একটি ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশ তৈরিতে কার্যকর ভূমিকা নেওয়ার জন্য সদস্যরা বেসিস নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানান।
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on মার্চ ১৮, ২০২৪ 10:14 পূর্বাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এই জঙ্গলের মধ্যে নদী রয়েছে। রয়েছে সার দেওয়া গাছ। চারপাশে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমানে পড়াশোনার জন্য দিনের বেশির ভাগ সময় কম্পিউটারে চোখ রাখতে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের গৃহঋণ প্রদানকারী স্পেশালিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠান ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি সম্প্রতি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রবিবার (১২ মে) সেমিনারে বক্তারা বলেন, সরকারকে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রক্রিয়ায়…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ৮ বছর পূর্বে ‘কে তুমি’ শিরোনামে একটি গান গেয়েছিলেন জনপ্রিয়…