দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বয়স বৃদ্ধির পর নখ কিছুটা হলেও ভঙ্গুর হতেই পারে। আবার ঔজ্জ্বল্যও হারাতে পারে ক্রমশ। তবে বয়স বৃদ্ধি ছাড়াও আরও বিভিন্ন কারণে নখের স্বাস্থ্য যে কোনও সময় বিগড়ে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। নখের আকার, ধরন ও বিশেষ করে রঙের দিকে বিশেষ করে নজর রাখাটা জরুরি।
শরীরে কোনও সমস্যা দেখা দিলে তা কী কী কারণে হচ্ছে, সেটি জানার জন্য আমরা অনেক সময় খরচ করে নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার করিয়ে থাকি। কিন্তু স্বাস্থ্যের অবস্থা কী, তা জানতে আপনার ত্বক, গলার স্বর, চুল বা নখের দিকেও লক্ষ রাখাটা খুবই জরুরি। বিশেষ করে নখের উপর তো এমনিতেই আমরা তেমন নজরই দিই না। শুধুমাত্র সৌন্দর্য বাড়ানো বাদ দিলে, নখ নজরদারিতে প্রায় বাতিলের খাতায় চলে যায়। অথচ শরীরের অধিকাংশ জটিলতা প্রথমেই প্রতিফলিত হয় আমাদের নখে।
আপনার নখ স্বাস্থ্যকর হলে দেখতে হয় মসৃণ ও নখের রংও থাকে সামঞ্জস্যপূর্ণ। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নখ কিছুটা ভঙ্গুর হতেই পারে। আবার ঔজ্জ্বল্যও হারাতে পারে ক্রমশ। তবে বয়স বৃদ্ধি ছাড়াও আরও বিভিন্ন কারণে নখের স্বাস্থ্য যে কোনও সময়ও বিগড়েও যেতে পারে। নখের আকার, ধরন ও বিশেষ করে রঙের দিকে বিশেষ করে নজর রাখাটা তাই জরুরি।
নখের আকার ও রঙের পরিবর্তনগুলি কোন কোন রোগের ইঙ্গিত করে?
# নখের স্বাভাবিক গঠন যখন বিগড়ে যায় আর তখন চামচের মতো দেখায়, তখন বুঝতে হবে যে, শরীরে আয়রণের ঘাটতি হয়েছে।
# অনেক সময় দেখা যায় যে, নখ কোনও রকম আঘাত ছাড়াই চামড়া হতে উঠে যাচ্ছে। সোরিয়াসিস (ত্বকের রোগ), ছত্রাকের সংক্রমণ, হাইপার থাইরয়েডিজ়মের কারণেও কিন্তু এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
# হয়তো ভারি কিছু পড়েও যায়নি নখের উপর, আবার নখে ব্যথাও নেই, তবে নখের রং কালচে হয়ে গিয়েছে? এমন অবস্থায় দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ হলো কিডনির সমস্যায় এমন হতে পারে। আবার যকৃতের সমস্যাও হতে পারে এটির কারণ।
# আপনার নখের রং কী ধীরে ধীরে হলুদ হয়ে যাচ্ছে? এই ক্ষেত্রেও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াটা জরুরি। লিম্ফিডেমা (পরজীবী সংক্রান্ত এক ধরনের জটিলতা, কয়েকটি জেনেটিক ব্যাধিতেও অনেক সময় এমন দেখা যায়) নামক রোগে এমনটা হয়ে থাকে। তাছাড়াও ফুসফুসের নানা সমস্যার কারণেও পায়ের নখের রং হলদে হয়ে যেতে পারে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তির সমস্যা হলেও অনেক সময় পায়ের নখের রং ধীরে ধীরে হলুদ হয়। জন্ডিস হলেও এমন হতে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াটা জরুরি।
# নখের উপর অনেক সময় সাদা ছোপ দাগ দেখতে পাওয়া যায়। এই ক্ষেত্রেও সতর্ক হতে হবে। কখনও মানসিক আঘাত লাগলে, শরীরে জিঙ্কের ঘাটতি হলে বা ছত্রাকের সংক্রমণ হলেও এই ধরনের উপসর্গ দেখা যেতে পারে নখে।
নখের কোন কোন উপসর্গ দেখে সতর্ক হবেন?
# যেমন নখের উপরিভাগ পাতলা হয়ে যাওয়া।
# আবার নখ হঠাৎ ঘন ঘন ভাঙতে শুরু হওয়া।
# নখের চার পাশে ফোলা ফোলাভাব দেখতে পাওয়া।
# নখের পাশ হতে রক্তপাত হওয়া।
# কিংবা নখের বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা হওয়া। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on এপ্রিল ৩০, ২০২৪ 11:56 পূর্বাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অবশেষে গত ৩১ বছর ধরে চলা ‘গোল্ডেন আউল’ বিতর্কের অবসান…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ২৯ কার্তিক ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যদি আপনি হৃদরোগের থেকে দূরে থাকতে চান তাহলে ভরসা রাখতে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্রিটিশ কাউন্সিলের আয়োজনে রাজধানী ঢাকার রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে গতকাল…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাশ্রয়ী দামে শক্তিশালী ব্যাটারি, দ্রুত চার্জিং সুবিধা; সাথে দৃঢ়তা ও…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মারণব্যধি ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করছেন ভারতীয় জনপ্রিয় অভিনেত্রী হিনা খান।…