দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নিজের আইফোনের ব্যাটারি হেলথ নিয়ে যদি কৌতূহলী হয়ে থাকেন কিংবা যদি ইতিমধ্যে ব্যাটারি নিয়ে সমস্যায় পড়ে থাকেন কিংবা অপ্রত্যাশিতভাবে ফোন বন্ধ হয়ে যায়, তবে জেনে রাখুন আইওএসে ব্যাটারি হেলথ পরীক্ষা করা খুবই সহজ একটি কাজ।
আইফোন ব্যবহারকারী যদি প্রতিবছর কিংবা ২ বছর পর পর আইফোন আপগ্রেড করেন, সেইক্ষেত্রে ত্রুটিযুক্ত ফোন না কিনলে ব্যাটারিতে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনাও অনেক কম।
যাদের কাছে ২ বছর কিংবা তার বেশি বয়সের আইফোন রয়েছে, তাদের জন্য ব্যাটারি কম থাকাই যেনো স্বাভাবিক হয়ে থাকে। কেমিক্যাল এজিং কিংবা রাসায়নিক বার্ধক্যের কারণে ও ব্যাটারিটি কতোগুলো চার্জ সাইকেলের মধ্যদিয়ে গেছে তার কারণে এটি হতে পারে বলেও লিখেছে প্রযুক্তি সাইট ৯টু৫ম্যাক।
যেভাবে ব্যাটারি হেলথ পরীক্ষা করবেন
# প্রথমে আইফোনে সেটিংস অ্যাপ চালু করুন।
# তারপর সেখান থেকে ‘ব্যাটারি’ অপশনে ট্যাপ করুন।
# এখন ‘ব্যাটারি হেলথ অ্যান্ড চার্জিং’ অপশনে চলে যান।
# এরপর ফোনের বর্তমান ব্যাটারি ক্যাপাসিটি পেইজের একদম ওপরে দেখা যাবে।
কখন আইফোনের ব্যাটারি বদলানো দরকার?
আইফোনের ব্যাটারি ক্ষমতা ৮০ শতাংশের নিচে নেমে গেলেই, ব্যাটারির কর্মক্ষমতার ওপরে নির্ভর করেই পরিবর্তনের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে বলে পরামর্শ দিচ্ছে ৯টু৫ম্যাক। এ ছাড়াও, ব্যাটারির ক্ষমতা কমে যাওয়ার বিষয়ে ফোনের দেখানো সতর্কতা কিংবা ব্যাটারি চার্জ ধরে না রাখার ক্ষেত্রেও পরিবর্তনের কথা বিবেচনা করা দরকার।
আর ওপরের ‘ব্যাটারি হেলথ অ্যান্ড চার্জিং’ অপশনে গেলে, আর তখন ব্যাটারি স্বাস্থ্যের অবনতি হলে, অপ্রত্যাশিত শাটডাউন হলে বা সর্বোচ্চ পারফরম্যান্স বজায় রাখতে না পারলে একটি সতর্কতাও দেখাবে।
তবে অ্যাপলের মতে, আইফোনের ব্যাটারি এমনভাবে নকশা করা হয়েছে, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে এটি কাজ করলে, ৫০০ চার্জ সাইকেল কিংবা ৫০০ বার সম্পূর্ণ চার্জ দেওয়ার পরও ব্যাটারি মূল ক্ষমতার ৮০ শতাংশ ধরে রাখবে।
আইফোনের ব্যাটারি মূল ক্ষমতার ৮০ শতাংশের নিচে নেমে গেলেই ‘পারফরম্যান্স ম্যানেজমেন্ট’ নামে একটি ফিচার স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রয়োগ করা হতেও পারে। ফিচারটি অপ্রত্যাশিত শাটডাউন কিংবা ফোন বন্ধ হয়ে যাওয়া আটকাতে সাহায্য করে থাকে।
তাছাড়াও, আইফোনে যদি এমন কোনো সতর্কবার্তা দেখতে পান যেখানে ব্যাটারি স্বাস্থ্যের অবনতির কথাও বলা হচ্ছে, সেই ক্ষেত্রে অ্যাপলের অনুমোদিত ব্যাটারির সঙ্গে পুরোনো ব্যাটারিটি পরিবর্তনের জন্য অ্যাপল স্টোর কিংবা অ্যাপলের সাপোর্ট সেন্টারে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ওই প্রতিবেদনটিতে।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on মে ২, ২০২৪ 1:45 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বপ্ন দেখে তা মনে রাখা সত্যিই দুষ্কর। আর তাই রাতের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৩০ কার্তিক ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’- এর অন্যতম সমন্বয়ক…