দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নির্ধারিত একটা বয়সের পর মানুষের উচ্চতা বাড়ার কোনও সম্ভাবনা থাকে না। তবুও উচ্চতা বাড়ানোর জন্য অনেকেই দড়িলাফের উপর নির্ভর করেন। তবে সত্যিই কী উচ্চতা বাড়ে?
অনেকের উচ্চতায় খাটো হওয়ায় নানা কটূক্তি শুনতে হয়। হাজার ব্যায়াম করেও সমস্যার সমাধান পান না। নির্ধারিত একটা বয়সের পর মানুষের উচ্চতা বাড়ার কোনও সম্ভাবনা থাকে না। তবুও উচ্চতা বাড়ানোর জন্য অনেকেই দড়িলাফের উপর নির্ভর করেন।তবে সত্যিই কী উচ্চতা বাড়ে?
মেয়েদের ক্ষেত্রে সাধারণত ১৪-১৫ বছর বয়স পর্যন্ত বাড়তে থাকে এবং ছেলেদের ক্ষেত্রে সেটি ১৬-১৮ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে। চিকিৎসকরা মনে করেন, বয়ঃসন্ধিকালে বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি মূল নিয়ামকই হলো গ্রোথ হরমোন, যা ৯-১১ বছরের দিকে সবথেকে বেশি সক্রিয় থাকে, তারপর ধীরে ধীরে কমতে থাকে এই হরমোনের উৎপাদনটি। শরীরের দীর্ঘ হাড়ের প্রান্তের কাছে তরুণাস্থি দিয়ে তৈরি গ্রোথ প্লেটও থাকে, যা কি না উচ্চতা বৃদ্ধিতে যথেষ্ট ভূমিকা রেখে থাকে। একটি শিশুর মধ্যে বৃদ্ধির প্লেটগুলো বন্ধ হয় না। তাই যে সব খেলাধুলার মধ্যে দৌড় ও লাফ— দুইই রয়েছে, উচ্চতা বৃদ্ধিতে সেগুলো ভূমিকা রাখতেই পারে। তবে, একবার বয়ঃসন্ধি পৌঁছে গেলে এই বৃদ্ধির প্লেটগুলো তখন বন্ধ হয়ে যায়। তারপর ব্যায়াম করলেও একজন ব্যক্তির উচ্চতায় তেমন একটা হেরফের হয় না।
ফিটনেস বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, দড়িলাফ বা স্কিপিং খুব ভালো শরীরচর্চা। সুস্বাস্থ্য পেতে, বিশেষ করে হৃদযন্ত্রকে ভালো রাখতে এই ব্যায়ামের জুড়ি নেই। তবে এই ব্যায়াম করলেই যে আপনার উচ্চতা বেড়ে যাবে, এমনটি কিন্তু নয়। কার উচ্চতা কতোটা হবে, তার পুরোটাই বংশগতির উপরে নির্ভরশীল। খুব বেশি ব্যায়াম করলেও উচ্চতায় বিশেষ কোনো হেরফের হয় না।
দড়িলাফের অভ্যাস কেনো স্বাস্থ্যকর?
পেশির শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে
একজন মানুষকে একটানা লাফাতে গেলে যথেষ্ট পরিমাণে শক্তি প্রয়োজন পড়ে। যা অতিরিক্ত ক্যালোরি পোড়াতেও সাহায্য করে। ক্রমাগত লাফানো ও হাতের ব্যায়ামের কারণে পা ও হাতের পেশি আরও মজবুত হয়।
কার্ডিওর দারুণ বিকল্প
গোটা মানবদেহের দেহের যাতে হয়, সেজন্যই অনেকেই ‘কার্ডিও’ অভ্যাস করেন। দড়িলাফের অভ্যাস করলে এই কার্ডিও আরও উন্নত হয়। সেইসঙ্গে, শ্বাসযন্ত্রের উন্নতি ও দেহে রক্ত এবং অক্সিজেনের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এই ব্যায়ামটির অভ্যাস করা যেতেই পারে।
ভারসাম্য রক্ষা করতে
লাফানোর কারণে দেহের ভারসাম্য রক্ষা পায়। সেইসঙ্গে, হাত-পায়ের পেশিও মজবুত হয়। দু’এক দিন অভ্যাস করলেই যে, দেহের ভারসাম্য রক্ষা করা যাবে, এমনটি অবশ্য নয়। ধীরে ধীরে দ্রুত গতিতে দড়িলাফ অভ্যাস করতে শুরু করলে সুফল পেতে পারেন।
ওজন কমাতে
দড়িলাফের কারণে যে পরিমাণ ক্যালোরি পোড়ানো সম্ভব, তা অন্য কোনও উপায়ে সম্ভব নয়। তার উপর যদি হাত, পা ও কাঁধের পেশির গঠন মজবুত করতে চান, সেই ক্ষেত্রে অন্যান্য ব্যায়াম ছেড়ে দড়িলাফের উপর ভরসা করতে পারেন।
মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে
সব রকমের ব্যায়ামই মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। তবে দড়িলাফ অভ্যাস করলে হরমোনের উপর খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রভাব পড়ে। নিয়মিত এই ব্যায়াম অভ্যাস করলে আনন্দের হরমোন ‘ডোপামাইন’-এর ক্ষরণও বেড়ে যায়। সেইসঙ্গে, কর্টিজ়লের মাত্রাও তখন নিয়ন্ত্রিত থাকে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on জুন ২, ২০২৪ 12:11 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রতিদিনের ডায়েটে রাখুন সজনে শাককে। এতেই ডায়াবেটিসকে বশে রাখতে পারবেন।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে উদ্বেগ উল্লেখ করে শিশুদের সামাজিক…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মনির খানের কণ্ঠে ‘বন্যা’ নিয়ে গান ইউটিউবে। এই গান লিখেছেন…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আলোচনা-সমালোচনার পর ভারতে রপ্তানি করা হয় বাংলাদেশের ইলিশ। শুক্রবার (২৭…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্ল্যাটফর্মে এঁকেবেঁকে ঘুরে বেড়াচ্ছে ৬ ফুট লম্বা সাপ! যা দেখে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১…