দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মে মাসের প্রথম ২৪ দিনে প্রবাসীরা ১৭৮ কোটি ৯৭ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে। ২৬ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
প্রবাসীদের পাঠানোর রেমিট্যান্সের মধ্যে বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে আসে ১৫৮ কোটি ৪০ লাখ ৪০ হাজার ডলার। এ ছাড়াও রাষ্ট্রায়াত্ব মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৯ কোটি ১২ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার, আর বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৮৫ লাখ ২০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৯ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।
ইতিপূর্বে, এ বছরের জানুয়ারিতে ২১০ কোটি ডলার, ফেব্রুয়ারিতে আসে ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার, মার্চে আসে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ডলার ও এপ্রিল মাসে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ২০৪ কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে জানা যায়, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে প্রবাসীরা ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। ফেব্রুয়ারিতে ১৫৬ কোটি ডলার, মার্চ মাসে ২০২ কোটি, এপ্রিল মাসে ১৬৮ কোটি, মে মাসে পাঠায় ১৬৯ কোটি, জুনে ২২০ কোটি, জুলাই মাসে ১৯৭ কোটি, আগস্ট মাসে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে পাঠায় ১৩৩ কোটি, অক্টোবর মাসে ১৯৭ কোটি, নভেম্বর মাসে ১৯৩ কোটি ডলার এবং ডিসেম্বর মাসে পাঠিয়েছিলো ১৯৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স।
উল্লেখ্য যে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রবাসীরা ২ হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠান। ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল বাংলাদেশে।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on মে ২৬, ২০২৪ 7:20 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্ষার এই সময় ডায়াবেটিকদের পায়ের যত্নে বাড়তি মনোযোগও দিতে হবে।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ইন্ডাস্ট্রি এবং একাডেমিয়ার মাঝে ব্যবধান কমিয়ে সেতুবন্ধন…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ২০০৬ সালের ১৬ জুন বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যায় আর্জেন্টিনার কনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতের মুকেশ আম্বানির ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানির বিয়ের অনুষ্ঠানে বিশ্বের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গৃহকর্মী নিয়োগ সহজ করার জন্য নতুন পদক্ষেপের ঘোষণা দিলো মধ্যপ্রাচ্যের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এটি একটি ধাঁধা। উপরের ছবিতে রয়েছে একটি অগোছালো ঘরের ছবি।…