দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রাশিয়ার ভূখণ্ডের গভীরে হামলা ঘটলে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন এবং পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগের হুমকি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এক সাংবাদিক সম্মেলনে পুতিন পশ্চিমা বিশ্বকে এই সতর্ক বার্তা দিয়েছেন।
ইউক্রেন পশ্চিমা অস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলার ছাড়পত্র পাওয়ার কারণে যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি যে বদলেও যেতে পারে, মস্কোয় সেই আশঙ্কা আরও বেড়ে চলেছে। এই নিয়ে পুতিন পশ্চিমা বিশ্বকে সতর্ক করে বলেছেন যে, পশ্চিমা অস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার ভূখণ্ডের আরও গভীরে হামলা হলে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের খুব কাছে অন্যান্য দেশেও প্রচলিত ক্ষেপণাস্ত্রও মোতায়েন করতে পারেন।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাগুলোর উচ্চপদস্থ সম্পাদকদের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতে পুতিন এমন হুঁশিয়ারি দিলেন। তিনি আরও বলেন যে, রাশিয়া কখনও পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগ করবে না, পশ্চিমা বিশ্বের এমন অনুমান একেবারেই ভুল।
আপাতত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের অস্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে ইউক্রেনকে কিছু শর্তও মেনে চলতে হচ্ছে। খারকিভের উপর রাশিয়ার হামলার প্রেক্ষাপটে সীমান্তের ঠিক অপর প্রান্তেই রাশিয়ার লক্ষ্যবস্তুর উপর কিছু পশ্চিমা অস্ত্র প্রয়োগের ছাড়পত্রও পেয়েছে রাশিয়া।
পুতিন বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরে আরও বলেন, ইউক্রেন যদি আরও শক্তিশালী অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় আঘাত হানেই, সেইক্ষেত্রে পশ্চিমা বিশ্বও রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটাক্যামস ও ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের মিসাইল সিস্টেম হামলার সময় ধ্বংস করা হবে বলে তিনি হুমকিও দেন।
রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, উন্নত মিসাইল ব্যবহারের ক্ষেত্রে পশ্চিমা বিশ্বের সামরিক বাহিনীর সদস্যরা নিয়ন্ত্রণ এবং লক্ষ্যবস্তু বাছাইয়ের কাজে জড়িত থাকেন। সেই কারণে মস্কোও বিশ্বের যে কোনো প্রান্তেই ‘অপ্রতিসম’ পদক্ষেপও নিতে পারে। মার্কিন সেনাবাহিনী অবশ্য এমন অভিযোগকে অস্বীকার করেছে।
পুতিন আরও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের মনে ইউক্রেন সম্পর্কে কোনো রকম আগ্রহই নেই। তারা আসলে নিজের দেশের মহিমায় আগ্রহী। আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলের পরোয়া না করে পুতিন আরও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভেতর থেকেই নিজেকে ও নিজস্ব রাজনৈতিক ব্যবস্থা পুড়িয়ে দিচ্ছে। বিশেষ করে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধেও আইনি প্রক্রিয়ার সমালোচনা করেন তিনি।
তবে জো বাইডেন কিংবা ট্রাম্প, যিনিই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হোন না কেনো, রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো রকম পরিবর্তনের আশা করছেন না পুতিন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে লেখা এক চিঠির উল্লেখ করে তিনি দাবি করেন, যে পশ্চিমা বিশ্ব চাইলে দুই কিংবা তিন মাসের মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে পারতো। ওয়াশিংটন ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করলেই শান্তি ফেরানো সম্ভব হতো।
তিনি আরও দাবি করে বলেন, ইউক্রেনের হাতে ১,৩০০-রও বেশি রুশ সৈন্য বন্দি অবস্থায় রয়েছে। রাশিয়া ৬,৪০০-রও অনেক বেশি ইউক্রেনীয় সৈন্যকে যুদ্ধবন্দি করেছে। তথ্যসূত্র: ডয়চে ভেলে।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on জুন ৬, ২০২৪ 5:38 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ‘ট্রেন ড্রিমস’ সিনেমার গল্পে জীবন এবং মৃত্যু পাশাপাশি হাঁটে- ঠিক…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শীতকালীন ঝড় এবং অবিরাম বৃষ্টির কারণে ফিলিস্তিনের গাজায় এক ভয়াবহ…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়ার এক সৈকতে একজন কুকুরচালক হঠাৎ দেখতে পান একটি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ৩ পৌষ ১৪৩২…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ছোট মাছ যেমন- মলা, কাচকি, পুঁটি, টেংরা, তিনকাটা, খরে ইত্যাদি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন পিএলসি এর ৩০ তম বার্ষিক সাধারণ সভা…