দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেক সময়ই ব্রণের মেয়াদ হয় দীর্ঘদিন। তবে ঠিক কী কারণে হাজার চেষ্টা করেও ব্রণ যেতে চায় না সেটি আপনি বুঝে উঠতে পারছেন না। তাহলে গলদ কোথায়? সেটি আগে খুঁজে বের করুন।
ব্রণ যে কোনও বয়সেরই সঙ্গী হতে পারে। বয়ঃসন্ধি থেকে শুরু করে ত্বকের সমস্যা— ব্রণের নেপথ্যেও থাকে নানা কারণ। তবে কারণ যা’ই হোক না কেনো, একবার ব্রণ দেখা দিলে সহজে তা যেতেই চায় না। ব্রণ তাড়ানোর জন্য চেষ্টার কসুরও করেন না আপনি। একেবারে উঠেপড়ে লাগেন। নামীদামি সংস্থার প্রসাধনী থেকে ঘরোয়া টোটকা— সব কিছুই যেনো এক বার করে ব্যবহার করেন। তবুও ব্রণ যেতেই চায় না। অনেক সময় ব্রণের মেয়াদ হয় দীর্ঘদিন। তবে ঠিক কী কারণে হাজার চেষ্টা করেও ব্রণ যেতে চায় না সেটি ভাববার বিষয়।
# অনেকেই আবার ব্রণ খুঁটে ফেলেন। বার বার ব্রণ স্পর্শ করলে কিংবা ব্রণ সারাক্ষণ পরখ করে দেখলে ব্রণের জীবাণু ত্বকের অন্যত্রও ছড়িয়ে পড়তে পারে। যে কারণে ব্রণ তো কমেই না, উল্টো বেড়ে যেতে পারে।
# বার বার রূপটানের সামগ্রী বদল করলেও অনেক সময় খারাপ প্রভাবও পড়তে পারে ত্বকে। বিশেষ করে হরেক রকমের প্রসাধনী একইসঙ্গে ব্যবহার করলে হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কাও থাকে বেশি। এতে ত্বকেরও ক্ষতি হতে পারে, আবার ব্রণও বেড়ে যায়।
# ত্বকের যত্নে অনেকেই বিভিন্ন ময়শ্চারাইজ়ার, ক্লিনজ়ার বা এক্সফলিয়েটর ব্যবহার করে থাকেন। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে এবং ময়লা দূর করতে এগুলো বেশ কার্যকরী। তবে যে কোনও প্রসাধনীই ব্যবহার করতে হবে যথাযথভাবে, তার বেশি হয়ে গেলে এই উপাদানগুলোই আরও বাড়িয়ে দিতে পারে ব্রণ।
# দৈনন্দিন জীবনচর্চাও অনেক সময় ব্রণ না কমার কারণ হতে পারে বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। অতিরিক্ত তেলমশলাযুক্ত খাবার খাওয়া, অলস জীবনযাপন করা, হরমোনের ভারসাম্য বিগড়ে যাওয়া কিংবা অনিদ্রা ইত্যাদি নানা কারণেও দেখা দিতে পারে ব্রণের সমস্যাগুলো। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on জুন ১০, ২০২৪ 3:14 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’- এর অন্যতম সমন্বয়ক…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতিশ্রুতি দেন…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অবশেষে গত ৩১ বছর ধরে চলা ‘গোল্ডেন আউল’ বিতর্কের অবসান…