দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্মার্টফোনের একটি বড় সুবিধা হলো ব্রাইটনেস আপনার ইচ্ছামতো কমিয়ে বাড়িয়েও নিতে পারবেন। আবার ইচ্ছে করলে অটো করে রাখতে পারবেন।
এতে বাইরের আলোর সঙ্গে প্রয়োজন অনুযায়ী ফোনের ব্রাইটনেস কমবে-বাড়বে। তবে সারাক্ষণ ফোনের ব্রাইটনেস বাড়িয়ে রাখাও হতে পারে বিপজ্জনক। তবে খুব বেশি উজ্জ্বলতা ফোনের জন্য কিন্তু ক্ষতিকর হতে পারে, সেটি অনেকেই জানেন না। কিছু ফ্ল্যাগশিপ ফোন ৬ হাজার নিট পর্যন্ত সর্বোচ্চ ব্রাইটনেস অফার করে থাকে।
তবে এই উচ্চ উজ্জ্বলতা আমাদের ফোনের তাপমাত্রা আরও দ্রুত বাড়িয়ে দিতে পারে। কিছু ফোন রয়েছে যেগুলো অতিরিক্ত গরম হওয়া রোধ করতে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ডিসপ্লের উজ্জ্বলতা অ্যাডজাস্ট করে থাকে। যদি ফোন দ্রুত গরম হতে শুরু করে, তাহলে ম্যানুয়ালি স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা কমিয়ে সেটি ঠাণ্ডা রাখতে হবে। অত্যাধিক উজ্জ্বলতা শুধু ফোনটিকে যে গরমই করে তা নয়, বরং এর ব্যাটারিও দ্রুতই শেষ করে দেয়।
তাছাড়াও ফোন গরম হওয়ার বেশ কয়েকটি কারণও রয়েছে। ফোনে বেশিক্ষণ গেম খেললেই স্মার্টফোন খুব গরম হয়ে যেতে পারে- সেটিই কিন্তু স্বাভাবিক। বিশেষ করে যদি গরম ঘরে কিংবা বাড়ির বাইরে অর্থাৎ সরাসরি সূর্যের আলোর নিচে দাঁড়িয়ে যদি কেও গেম খেলেন, তাহলে ফোন দ্রুত গরম হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে।
ফোনকে অতিরিক্ত গরম হওয়া হতে রক্ষা করতে এবং ফোনের আয়ু বাড়াতে ফোনে কিছু সময় অন্তর বিরতি দিয়ে ও বাড়ির ভেতরে বায়ু চলাচল করে এমন ঘরে বসেই গেম খেলা উচিত। এতে করে ফোন দ্রুত গরম হওয়া থেকে রক্ষা করা যাবে।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on জুন ১২, ২০২৪ 3:47 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেক খাবারে চিনির পরিমাণ এতোই বেশি থাকে যে, পৃথক করে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মর্যাদাপূর্ণ স্টাডি ইউকে অ্যালামনাই অ্যাওয়ার্ডের ১১তম সংস্করণের ঘোষণা দিয়েছে ব্রিটিশ…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতীয় নির্মাতা মাইকেল জ্যাকসনের বায়োপিক বানাতে চান। ওই চলচ্চিত্র পরিচালক…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নুমায়ের আলমকে পরিচালক হিসেবে পরিচালনা পর্ষদে নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে বিএটি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতের উত্তরপ্রদেশের নয়ডায় বরাতজোরে প্রাণে রক্ষা পেলেন এক তরুণী। গাড়ির…