সাইবার সিকিউরিটি আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছে বেসিস

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাইবার সিকিউরিটি আইন-২০২৩ বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)।

এই আইনটি ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন-২০১৮ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইন-২০০৬-এর ধারা ৫৭ এর দমনমূলক আচরণ অব্যাহত রেখেছে, যা সংবিধান পরিপন্থি ও একইসঙ্গে এটি মানবাধিকারের ওপর চরম হুমকিস্বরূপ।

৯ আগস্ট এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বেসিস এই তথ্য জানিয়েছে। বেসিসের এক সাধারণ সভায় বেসিস পরিচালক এম আসিফ রহমান বিষয়টি উত্থাপন করেন। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, বেসিস সর্বপ্রথম অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু করবে।

Related Post

সাইবার সিকিউরিটি আইন-২০২৩ আইনটি সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী ও ভিন্নমতাবলম্বীদের লক্ষ্য করে ব্যবহার করা হয়েছে হরহামেশায়। যদিও আইন প্রণয়নকারীরা বারবার এই আইনটি প্রণয়নের পক্ষে বিভিন্ন যুক্তি প্রদর্শন করে আসছিলেন এতোদিন। সাম্প্রতিক ঘটনা, যেমন কোটাব্যবস্থার সমালোচনার জন্য অসংখ্য ব্যক্তিকে গ্রেফতার ও ব্যঙ্গাত্মক পোস্টের জন্য অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এই আইনের অপব্যবহারের উদাহরণ।

সাইবার সিকিউরিটি আইন নিয়ে বেসিস পরিচালক এম আসিফ রহমান বলেছেন, সাইবার সিকিউরিটি আইন-২০২৩ মূলত ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন এর বেশিরভাগ বিধানই বজায় রেখেছে। এই আইন কর্তৃপক্ষকে কোনো অনুমতি ছাড়াই ব্যক্তিদের অনুসন্ধান, গ্রেফতার এবং আটক করার অতিরিক্ত ক্ষমতা প্রদান করেছে। এই আইন সরকারকে অনলাইন কন্টেন্টের ওপর নিয়ন্ত্রণের সুবিধাও দেয় ও ব্যক্তি বাকস্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্তও করে।

বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, আমি আমার সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতার আলোকে বলতে পারি, এই আইনের অনেক অপব্যবহার হয়। সাইবার সিকিউরিটি আইন-২০২৩ বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও ব্যক্তি নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। ভিন্নমত দমনের অবসান ঘটাতে ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানগুলোর সঙ্গে সঙ্গতি রাখতে এই আইন বাতিল করতে হবে। বেসিস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সাইবার সিকিউরিটি আইন-২০২৩ বাতিল কিংবা উল্লেখযোগ্যভাবে সংশোধন করার জন্য আহ্বান জানায়। একইসঙ্গে এই আইনের আওতায় আটক ব্যক্তিদের মুক্তি দেওয়ার ও তাদের বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ প্রত্যাহারের উদাত্ত আহ্বানও জানায়। একইসঙ্গে সংবিধান পরিপন্থি আইনটি বাতিলের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানায়।

উল্লেখ্য যে, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোতে বেআইনি প্রবেশ, কম্পিউটার এবং কম্পিউটার সিস্টেমে ক্ষতি সাধন, সাইবার সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও হ্যাকিং সংক্রান্ত অপরাধের জন্য অজামিনযোগ্য ৪টি ধারা রেখে গত বছরের ২৮ অগাস্ট সাইবার নিরাপত্তা আইনের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় আওয়ামী লীগ সরকার। আগের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংস্কার করে এই আইন হলেও নতুন আইনকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং ব্যক্তি নিরাপত্তার জন্য ‘হুমকি’ হিসেবে দেখা হচ্ছিল। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on আগস্ট ১১, ২০২৪ 12:11 অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

বেসিসের চার সদস্য কোম্পানি পেলো এশিয়া স্মার্ট অ্যাপ অ্যাওয়ার্ডস ২০২৪

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)-এর চার সদস্য…

% দিন আগে

সাবেক ‘মিস আয়ারল্যান্ড’ এর কন্যাসন্তান এখন নেট দুনিয়ায়

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গত ৭৭তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় নিজেকে ধরা দিয়েছিলেন…

% দিন আগে

ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির আঘাত: ভিয়েতনামে নিহত ১৭৯

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রবল আঘাতে ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়সহ ভিয়েতনামের বিভিন্ন অঞ্চলে…

% দিন আগে

ঘুরে বেড়াচ্ছিল আরশোলা, হাতে তুলে বার্গারের ভিতর পুরে দিলেন এক তরুণী!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঘুরে বেড়াচ্ছিল একটি আরশোলা, মুহূর্তের মধ্যে আরশোলাটিকে বার্গারের ভিতর ভরে…

% দিন আগে

যতোই সৌন্দপূর্ণ স্থান হোক এখানে কিন্তু যাওয়া নিষেধ!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ২৮ ভাদ্র ১৪৩১…

% দিন আগে

শুধু ওজন কমাতেই নয়, ফিট থাকতেও সাহায্য করবে খেজুর!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা জানি ওজন কমাতে সাহায্য করে খেজুর। তবে শুধু ওজনই…

% দিন আগে