দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নতুন অরাস এলিট সিরিজ পাওয়ার সাপ্লাই নিয়ে আসার এক ঘোষণা দিলো প্রিমিয়াম গেমিং হার্ডওয়্যারের ক্ষেত্রে বৈশ্বিকভাবে শীর্ষস্থানীয় উৎপাদক প্রতিষ্ঠান গিগাবাইট টেকনোলজি কোম্পানি লিমিটেড।
বাংলাদেশের পেশাজীবী গেমারদের জন্য আরও বেশি স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে এতে ব্যবহার করা হয় ১২০ মিলিমিটার ফ্লুইড ডায়নামিক বেয়ারিং (এফডিবি) স্মার্ট সাইলেন্ট ফ্যান এবং অরাস ইউনিক ম্যাগনেটিক প্লেট। এই সিরিজের নজরকাড়া পণ্যগুলো ব্যবহারকারীর জন্য অনবদ্য পারফরম্যান্সের নিশ্চয়তাও দিচ্ছে।
মডেলগুলো হলো- অরাস এলিট পি১০০০ডব্লিউ৮০+ প্লাটিনাম মডুলার পিসিআইই ৫.০ (ব্লাক), অরাস এলিট পি৮৫০ডব্লিউ৮০+ প্লাটিনাম মডুলার পিসিআইই ৫.০ (ব্লাক), অরাস এলিট পি১০০০ডব্লিউ৮০+ প্লাটিনাম মডুলার পিসিআইই ৫.০ আইসিই (হোয়াইট) এবং অরাস এলিট পি১০০০ডব্লিউ৮০+ প্লাটিনাম মডুলার পিসিআইই ৫.০ আইসিই (হোয়াইট)।
অরাস এলিট সিরিজটি সর্বাধুনিক গ্রাফিক্স কার্ড সহজেই পরিচালনা করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। এগুলো ইনটেল এটিএক্স ৩.০ এবং পিসিএলই জেন ৫.০ স্ট্যান্ডার্ডসে ব্যবহার করা যাবে। যে কারণে, জিপিইউয়ের চেয়ে ৩ গুণ এবং সামগ্রিকের দ্বিগুণ বিদ্যুৎ পরিবহন সক্ষম হবে এই সিরিজের পাওয়ার সাপ্লাই। কেবলমাত্র একটি ১৬ পিনের ক্যাবলের মাধ্যমে পিসিএলই জেন ৫.০ গ্রাফিক্স কার্ডে সরাসরি বিদ্যুৎ পরিবহন করতে পারবে অরাস এলিট পাওয়ার সাপ্লাই। ৬০০ ওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুতে কাজ করতে সক্ষম এই একক পিসিএলই জেন ৫.০ ১৬ পিনের ক্যাবল। এতে করে এখন গ্রাফিক্স কার্ড ইনস্টল করা হবে আরও বেশি নিরাপদ এবং স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক। যে কারণে, একদিকে যেমন বাতাসের প্রবাহ অবাধ হবে, অপরদিকে তেমনি নান্দনিকতা বজায় থাকবে।
গিগাবাইটের বিশেষজ্ঞরা পাওয়ার সাপ্লাইয়ের আকার ১৪০ মিলিমিটার পর্যন্ত ছোট করে আনতে সক্ষম হন। তারা এই সিরিজটিতে হাই-পারফরম্যান্স ফ্লুইড ডাউনামিক বেয়ারিং (এফডিবি) ফ্যানও ব্যবহার করেছেন। যেখানে কার্যকরভাবে নয়েজ (বা আওয়াজ) কমিয়ে আনতে এবং ফ্যানের ব্যবহারকাল বৃদ্ধি করতে অয়েল ফিল্ম শক অ্যাবজর্পশন টেকনোলজিও ব্যবহার করা হয়েছে।
সেইসঙ্গে, পাওয়ার ডিটেকশনের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই গতি কম-বেশি করে নেয় এই ফ্যান। একইসঙ্গে, কাজ না করলে কিংবা লো-লোডের সময় নিজে-নিজেই বন্ধ হতেও সক্ষম এই ফ্যান।
ব্যবহারকারীর প্রয়োজনকে প্রাধান্য দিয়েই পাওয়ার সাপ্লাইয়ের বিভিন্ন দিকে অরাস ম্যাগনেটিক প্লেট স্থাপন করা হয়। এতে আরও রয়েছে ৮০ প্লাস প্লাটিনাম, যা ৯২ শতাংশ পর্যন্ত এফিসিয়েন্সি (কার্যক্ষমতা) রেটিংও অর্জন করেছে। এই উচ্চ-কার্যক্ষমতার কারণে জ্বালানি রূপান্তরে ক্ষয়ের হার কমে আসবে, বর্জ্য তাপ উৎপাদনের পরিমাণ কমবে ও বিদ্যুৎ বিল কমে আসবে। এতে কার্যকারিতা, স্থিতিশীলতা এবং স্থায়িত্বকাল অনবদ্যভাবে বাড়াতে শতভাগ উচ্চমানসম্পন্ন জাপানি ক্যাপাসিটর ব্যবহার করা হয়েছে। ওয়ার্কলোড এবং তাপমাত্রা অনেক বেশি বেড়ে গেলেও সমানভাবেই কার্যকর থাকবে এই ক্যাপাসিটর। সেইসঙ্গে এতে ব্যাপকহারে সুরক্ষিত সার্কিট ব্যবহার করা হয়।
গিগাবাইটের নতুন এই অরাস এলিট সিরিজ পাওয়ার সাপ্লাইয়ে ৮৫০ ওয়াট এবং ১,০০০ ওয়াট দুটি অপশন রয়েছে। এই দু’টিই নিজের পছন্দ অনুযায়ী সাদা কিংবা কালো, দুটি রঙে নেওয়ার সুযোগও রয়েছে। নেক্সট-জেনারেশন গ্রাফিক্স কার্ডের উপযোগী এই পাওয়ার সাপ্লাইগুলোর কেবল পারফরম্যান্স অনবদ্য নয়; একইসঙ্গে, এগুলো দীর্ঘস্থায়ী নিরাপত্তা এবং স্থায়িত্বও নিশ্চিত করবে।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on আগস্ট ২৬, ২০২৪ 6:39 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ২০২৪ সাল ছিলো এক আলোচনার বছর। পুরো বছরজুড়ে অনেক ঘটনা,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দক্ষিণ আফ্রিকার দেশ জিম্বাবুয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মৃত্যুদণ্ড বাতিল করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মালদ্বীপের তরুণ-তরুণীর কাছে ২৪.১২.২৪ তারিখটি বিশেষ একটি দিন। এই ম্যাজিক…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বুধবার, ১ জানুয়ারী ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ১৭ পৌষ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যাদের সুগার রয়েছে, তারা অনেক ভেবেচিন্তেই খাবার খান। স্বাস্থ্যকর হলেও…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ২০২৪ সালের আজ শেষ দিন। প্রতিবছর কিছু ঘটনা, দুর্ঘটনা, ব্যক্তিত্ব,…