দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অধিকাংশ মানুষের মধ্যেই সঠিক খাদ্যাভ্যাস নিয়ে নানা ভ্রান্ত ধারণা বিদ্যমান রয়েছে। বিশেষত: গর্ভাবস্থায় কী ধরনের খাবার খাওয়া দরকার, সন্তান এবং মা দুজনের শরীরের জন্য কতোটা প্রোটিন, ভিটামিন জরুরি সেগুলো নিয়ে সচেতনতার অভাবও রয়েছে।
আপনি সন্তানকে সবই খাওয়াচ্ছেন, তবে তারপরও প্রোটিনের ঘাটতি হচ্ছে? বাবা-মায়েরা অনেক সময়ই বুঝতেই পারেন না যে, কেবল মাছ-মাংস খাইয়ে গেলেই প্রোটিনের চাহিদা মিটবে না। সুষম খাবার খাওয়াতে হবে শিশুকে। সেইসঙ্গে উদ্ভিজ্জ প্রোটিনও প্রয়োজন। বাইরের খাওয়া, ভাজাভুজি, প্রক্রিয়াজাত মাংস বেশি খেলে শরীরের প্রয়োজনীয় প্রোটিনের চাহিদাও মিটবে না, বরং বিভিন্ন রকম অসুখ-বিসুখ হানা দেবে কম বয়স থেকেই। দেখা গেছে, অধিকাংশ মানুষের মধ্যে সঠিক খাদ্যাভ্যাস নিয়ে নানা রকম ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। বিশেষত: গর্ভাবস্থায় কী ধরনের খাবার খাওয়া দরকার, সন্তান এবং মা দুজনের শরীরের জন্য কতোটা প্রোটিন, ভিটামিন জরুরি সেগুলো নিয়ে সচেতনতার অভাবও রয়েছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শিশুদের বড় হয়ে ওঠার জন্য প্রোটিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শারীরিক বিকাশের পাশাপাশি মস্তিষ্কের বিকাশেও প্রোটিন অত্যন্ত জরুরি। বাড়ন্ত শিশুর পেশি-হাড়ের গঠন মজবুত করবে এবং ত্বক, চুল ভালো রাখতেও প্রোটিন অত্যন্ত জরুরি। তাই শিশুদের খাবারে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন— সব কিছুর সাম্যও রাখতে হবে।
প্রোটিনের ঘাটতি হলে শিশু খুব তাড়াতাড়ি ক্লান্ত অবসন্ন হয়ে পড়ে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যাবে, যে কারণে বিভিন্ন সংক্রামক রোগও আপনাকে ভোগাতে পারে। পেশির শক্তি কমে যাবে। গায়ে হাত-পায়ে ব্যথাও হবে। শিশুর বৃদ্ধি এবং বুদ্ধির বিকাশেও ঘাটতি হতে পারে। মনোযোগ কমে যাবে, মনে রাখার ক্ষমতাও কমে আসবে। শরীরে কোনও ক্ষত হলে তা সহজেই সারতে চাইবে না।
প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে শিশুকে কী খাওয়াতে হবে
শিশুকে বিভিন্ন রকম ডাল ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খাওয়াতে হবে। ডালে প্রোটিনের পাশাপাশি ভিটামিন ও খনিজ রয়েছে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও এটি উপযোগী।
আপনার শিশুকে সিদ্ধ ডিম খাওয়াতে ভুলবেন না। ডিমে প্রোটিন তো রয়েছেই, সেইসঙ্গে ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রণ, সেলেনিয়াম, ভিটামিন এ, বি ১২, বি ৫, ভিটামিন ডি, জিঙ্ক প্রচুর থাকে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে, প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়াতে পারেন।
মাছ কিংবা মাংসের মধ্যে ছোট মাছ খাওয়াই ভালো। মলা, দেশি ট্যাংরা, ফলুইতে প্রোটিন-ভিটামিন থাকে ভরপুর মাত্রায়। শিশুকে রেড মিট বেশি দেবেন না। এর পরিবর্তে কম তেল এবং মশলা দিয়ে চিকেন রান্না করে দিন। সব্জি দিয়ে চিকেন স্যুপ খুবই উপকারী একটি জিনিস।
আর যদি শিশু আমিষ খেতে না চায়, তাহলে দুধ, সয়াবিন রাখুন শিশুর ডায়েটে। প্রোবায়োটিকের জন্য দই খাওয়াতে হবে। তবে মিষ্টি দই নয়; সবচেয়ে ভালো হয়, যদি ঘরে পাতা দই প্রতিদিন আপনার শিশুকে খাওয়াতে পারেন। কয়েক রকম বাদাম খাওয়াতে হবে। পেস্তা, কাঠবাদাম, আখরোট খেলে প্রোটিনের চাহিদা যেমন মিটবে, তেমনি আপনার শিশু পর্যাপ্ত ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডও পাবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on আগস্ট ২০, ২০২৪ 4:06 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ড এবং লেবাননজুড়ে ভয়াবহ হামলা চলমান রেখেছে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বপ্ন দেখে তা মনে রাখা সত্যিই দুষ্কর। আর তাই রাতের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৩০ কার্তিক ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…