দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা সবাই জানি ডাবের পানি খুবই উপকারী। এটি বিভিন্ন খনিজ উপাদানে ভরপুর। পুষ্টিগুণও অনেক বেশি। তবে সকলের জন্যই কী এটি ভালো?
ডাবের পানি ভালোবাসেন না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। গরমের দিনে পিপাসা মেটাতে নরম পানীয়ের চেয়ে ডাবের পানি খাওয়ারই পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। শরীরে পানিশূন্যতার সমস্যা হলে কিংবা পেটের গোলমাল হলে তখনও ডাবের পানি যেনো মহৌষধ। স্বাদে হোক কিংবা পুষ্টিগুণেই হোক, এর জুড়ি নেই। ডাবের পানিতে ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম থাকে। এক গ্লাস ডাবের পানিতে ক্যালোরির পরিমাণ থাকে মাত্র ৪৫। ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, জজ়িঙ্কসহ নানা খনিজে পরিপূর্ণ থাকে ডাবের পানি। তবে কথা হলো, সকলের জন্যই কী এটি ভালো? কোন কোন রোগ থাকলে ডাবের পানি খাওয়া অস্বাস্থ্যকর হতে পারে, তা জেনে নিন।
কিডনির অসুখে খাওয়া নিষেধ
ডাবের পানিতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে। চিকিৎসক সোনালি ঘোষ পরামর্শ দিয়েছেন যে, যাদের কিডনির অসুখ আগে থেকেই রয়েছে, তারা নিয়মিত ডাবের পানি খেতে শুরু করলে শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা আরও বেড়ে ‘হাইপারক্যালিমিয়া’ও হতে পারে। যে কারণে শরীরে খনিজ উপাদানগুলোর ভারসাম্য বিঘ্নিতও হতে পারে।
অ্যালার্জি থাকলে
অনেকেরই বিভিন্ন রকম খাবারে অ্যালার্জি থাকে। যদি তেমন হয়, তাহলে ডাবের পানি খাওয়া মোটেও চলবে না। এতে অ্যালার্জিজনিত সমস্যা আরও বেড়ে যাবে। চিকিৎসকের ভাষায়, ‘ফুড অ্যালার্জি’র চিকিৎসা যদি চলে কিংবা কোনও রকম ওষুধ খান, তাহলে ডাবের পানি খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শও নিতে হবে। রোগীর অবস্থা দেখে তবেই বলা সম্ভব যে, তিনি ডাবের পানি আদতেও খেতে পারবেন কি-না।
ফুসফুসের রোগ
দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসে সংক্রমণ এবং তার থেকে সিস্টও হতে পারে অনেকের। ফুসফুসের সমস্ত সংক্রমণেরই ঠিকভাবে চিকিৎসা না হলে শেষ পর্যন্ত ফাইব্রোসিসে পরিণত হতে পারে। ফুসফুসের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ধীরে ধীরে স্থূল এবং কঠিন হয়ে পড়ে ও শ্বাসকার্যে বাধা তৈরি করে। তখন একে বলে ‘সিস্টিক ফাইব্রোসিস’। এমন অবস্থা থাকলে ডাবের পানি স্বাস্থ্যকর নাও হতে পারে।
রক্তচাপের সমস্যা
ডাবের পানিতে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম এবং পটাশিয়াম থাকে। যদি কখনও শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায়, তাহলে রক্তচাপও বাড়বে। আবার পটাশিয়াম বেড়ে গেলে রক্তচাপ কমে যাবে। তাই যাদের রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, তাদের ডাবের পানি না খাওয়াই ভালো। যদি কখনও খেতেই হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ডায়াবেটিসে ডাব ভালো নাকি খারাপ?
ডায়াবেটিসে ডাবের পানি খাওয়া স্বাস্থ্যকর কি-না, সে নিয়ে মতান্তর রয়েছে। চিকিৎসকের ভাষায়, ডায়াবেটিসের রোগী যদি সপ্তাহে এক দিন ডাবের পানি পান করেন, তাহলে তেমন কোনো ক্ষতি হবে না। তবে প্রতিদিন যদি ডাবের পানি খেতে থাকেন, তাহলে চিন্তার কারণ রয়েছে। সাধারণত দেখা যায়, বাজারচলতি নরম পানীয় কিংবা প্যাকেটজাত ফলের রসের হতে ডাবের পানির শর্করার মাত্রা অনেকটা কম থাকে। সেদিক থেকেও ডাবের পানি নিরাপদ। তবে ডায়াবেটিসের রোগী কী মাত্রায় ইনসুলিন নিচ্ছেন বা কোন ওষুধ খাচ্ছেন, তার উপরে সবটা নির্ভর করবে, তাই চিকিৎসকের পরামর্শেই খেতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৪ 5:30 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ২৯ কার্তিক ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যদি আপনি হৃদরোগের থেকে দূরে থাকতে চান তাহলে ভরসা রাখতে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্রিটিশ কাউন্সিলের আয়োজনে রাজধানী ঢাকার রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে গতকাল…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাশ্রয়ী দামে শক্তিশালী ব্যাটারি, দ্রুত চার্জিং সুবিধা; সাথে দৃঢ়তা ও…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মারণব্যধি ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করছেন ভারতীয় জনপ্রিয় অভিনেত্রী হিনা খান।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দীর্ঘ ৭৪ বছরের মধ্যে এবারই প্রথমবারের মতো নভেম্বর মাসে চারটি…