দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মোহাম্মদ মামদুদুর রশীদ সম্প্রতি ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। আর্থিক পরিষেবা খাতে মামদুদ তিন দশকের বিপুল অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন।
ইতিপূর্বে, তিনি ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক পিএলসি (এনসিসি) র ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। যেখানে তিনি ব্যাংকের ব্যবসা প্রসার, বৈদেশিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং সার্বিক সুনাম উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও পালন করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে, এনসিসি ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সেরা প্রাথমিক ডিলার হিসাবে স্বীকৃতি ও গ্লোবাল ব্র্যান্ড ম্যাগাজিন দ্বারা ২০২৩ সালে দ্রুত বর্ধনশীল ব্র্যান্ড হিসাবে পুরস্কৃত হওয়াসহ বেশ কয়েকটি মাইলফলক অর্জন করেছে। তাঁর কৌশলগত দিকনির্দেশনাতেই এনসিসি ইসলামী ব্যাংকিংয়ের সফল যাত্রা শুরু হয়।
ব্যাংকিং সেক্টরের খ্যাতিমান ব্যক্তি মামদুদের কর্মজীবন শুরু হয় ১৯৯৫ সালে বহুজাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান সিটিব্যাংক এনএ-বাংলাদেশে যোগদানের মাধ্যমে। তিনি এই ব্যাংকে বাংলাদেশ, ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি করপোরেট এবং এসএমই, ফিন্যান্স, অপারেশন্স, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা (ক্রেডিট, মার্কেট ও অপারেশনাল), কমপ্লায়েন্স, মানবসম্পদ ও সাধারণ সেবাসহ ব্যাংকিংয়ের বিভিন্ন কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। সিটিব্যাংক এনএ-তে ১৫ বছর দায়িত্ব পালনকালে তিনি সিটিব্যাংক এনএ-অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের করপোরেট ও ইনস্টিটিউশনাল ব্যাংকিং ব্যবসায় প্ল্যানিং বিভাগের প্রধান ছিলেন এবং সিটিব্যাংক এনএ-বাংলাদেশের চিফ অপারেটিং অফিসার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তার আগে মামদুদ ইউসিবি এবং ব্র্যাক ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ব্র্যাক ব্যাংকে, তিনি হোলসেল ব্যাংকিংয়ের নেতৃত্ব দেন ও এসএমই ব্যবসার কৌশলগত প্রধান এবং প্রধান আর্থিক কর্মকর্তার মতো সিনিয়র পদে অধিষ্ঠিত হন।
এছাড়াও তিনি ব্র্যাক এবং ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের গ্রুপ চীফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) হিসেবে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
উপাচার্য স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত মামদুদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) থেকে এমবিএ (ফিন্যান্স) সম্পন্ন করেন ও ফুলব্রাইট স্কলার হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ব্র্যান্ডাইস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক অর্থনীতি এবং ফিন্যান্স বিষয়ে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি মেরিন একাডেমি থেকে প্রেসিডেন্ট স্বর্ণপদক লাভ করেন। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী মামদুদুর রশীদ ব্যাংকিং পেশায় যোগদানের পূর্বে একজন নাবিক ছিলেন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনিস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে প্রভাষক (ফিন্যান্স) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি সিপিএ অস্ট্রেলিয়ার একজন ফেলো মেম্বার (এফসিপিএ)। পেশাজীবনে তিনি নেতৃত্ব ও প্রযুক্তিগত দক্ষতার ক্ষেত্রে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন।
# খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on অক্টোবর ১, ২০২৪ 12:56 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইসলামিক সঙ্গীত জগতে এক নয়াদিগন্তের সূচনা করলেন হোসাইন নূর। তার…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দু’টি কচ্ছপ নিয়ে রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলেছেন এক তরুণী। কচ্ছপ…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৭ পৌষ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিটনেস প্রশিক্ষকরা বলেছেন, হাঁটাহাঁটি, দৌড়ানো, জগিং, সাইকেল চালানো কিংবা সাঁতার…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রায় একযুগেরও বেশি সময় পর মৌলিক গান নিয়ে মিউজিক ডোমেইনে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ১৯৫১ সালের নভেম্বর মাসে বিয়ে হয় ফে ও রবার্টের। বিয়ের…