দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যাদের সুগার, প্রেশার, কোলেস্টেরল, কোষ্ঠকাঠিন্য কিংবা গ্যাস, অ্যাসিডিটি রয়েছে? তারা এই নিবন্ধটি পড়লে উপকার পাবেন। কারণ হলো, এই প্রতিবেদনে বিশেষজ্ঞ পুষ্টিবিদ এইসব অসুখের ডায়েট নিয়ে বিশদে আলোচনা করেছেন।
একটি বিষয় হলো সুগার, প্রেশার, কোলেস্টেরলের মতো অসুখগুলোকে কন্ট্রোলে রাখা ভীষণ জরুরি একটি বিষয়। অন্যথায় শরীর এবং স্বাস্থ্যের হাল বিগড়ে যেতে সময় লাগবে না। তবে মনে রাখবেন, শুধু ওষুধের মাধ্যমে ক্রনিক রোগগুলোকে কন্ট্রোলে রাখা সম্ভব নয়। সেইসঙ্গে ডায়েটেরও বদল জরুরি। এই বিষয়টি সম্পর্কে বিশদে বলেছেন কলকাতা শহরের বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ মীনাক্ষী মজুমদার। তিনিই আমাদের ৫টি ক্রনিক রোগে কী খাবেন আর কী খাবেন না, এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন।
ডায়াবেটিসে আপনি কী খাবেন?
এই সম্পর্কে মীনাক্ষী মজুমদার বলেছেন, ‘ডায়াবেটিস রোগীদের সবার প্রথমেই মিষ্টি, কোল্ড ড্রিংকস, ফাস্টফুড, রিফাইন ফুড ও প্রসেসড খাবারের থেকে দূরে থাকতে হবে। এর বদলে হাই ফাইবার ডায়েটে রাখুন ভরসা রাখতে পারে। যে কারণে প্রতিদিন নিয়ম করে শাক, সবজি ও ফল খাওয়া শুরু করুন। সেইসঙ্গে মাছ, মাংস, ডিমও নিয়মিত খেতে হবে। আমিষ না খেলে দুধ, পনির, ছানা, সোয়াবিন, টোফুর মতো খাবার হতে প্রোটিন সংগ্রহ করতে পারেন।’
কোলেস্টেরলে ভুক্তভোগীরা ডায়েটের দিকে নজর দিন
রক্তে কোলেস্টেরল লেভেল বাড়লে রক্তনালীতে সেটি জমে যেতে পারে। যে কারণে বিপদে ফেলতে পারে হার্ট অ্যাটাক এবং পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজের মতো সমস্যা। যে কারণে চেষ্টা করুন যেভাবেই হোক কোলেস্টেরলকে বশে রাখার। এতে আপনাকে সাহায্য করতে পারে শাক, সবজি, আটার রুটি, ব্রাউন রাইস, ডাল ও বিনসের মতো ফাইবার সমৃদ্ধ কিছু খাবার।
প্রেশার নিয়ে ছেলেখেলা মোটেও নয়
মূলত হাই প্রেশার হলো একটি নীরব ঘাতক। এই রোগ ধীরে ধীরে শরীরের একাধিক অঙ্গের বারোটা বাজাতে পারে। তাই চেষ্টা করুন এই সমস্যাকে বশে রাখতে। এই কাজে সাফল্য পেতে হলে সবার আগে কাঁচা লবণ খাওয়ার অভ্যাস ছাড়তে হবে। আবার রান্নাতেও বেশি লবণ দেবেন না। এড়িয়ে চলুন ফাস্টফুড ও প্রসেসড ফুড। এর পরিবর্তে ভরসা রাখুন মৌসুমী তাজা ফল, শাক এবং সবজিতে।
কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ে বড় বিপদ
এই রোগে ভুক্তভোগীরা অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানিপান করুন। দিনে অন্তত ৩ লিটার পানি খেতে হবে। সেইসঙ্গে শাক, সবজি ও ফলের মতো ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারও খেতে হবে।
গ্যাস ও অ্যাসিডিটি
পেটের সমস্যার পিছনে নানা ধরনের কারণ থাকতে পারে। তাই সবার আগে সমস্যার নেপথ্য কারণ খুঁজে বের করতে হবে। সেই মতোই তৈরি করতে হবে ডায়েট। তবে এই সমস্যায় ভুক্তভোগীরা একবারেই বাইরের খাবার খাওয়া চলবে না। এছাড়াও বাড়িতেও তেল-মশলা সমৃদ্ধ গুরুপাক খাবার খাবেন না। তথ্যসূত্র: এই সময়।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on অক্টোবর ৮, ২০২৪ 2:54 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গাজার মতোই অধিকৃত পশ্চিম তীরকেও ধ্বংসস্তূপে পরিণত করতে চাই ইসরায়েলি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সোনা ভেবে রাস্তা থেকে পাথর কুড়িয়ে এনেছিলেন এক ব্যক্তি। ১৫…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২৬ পৌষ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শীতে মধু মাখলে বেশ উপকার পাওয়া যাবে। যে কারণে এই…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সম্প্রতি বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিপাইনের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আসলে ২০২৫ সালের প্রযুক্তি–দুনিয়া কেমন যাবে, তা নিয়ে অনেক জল্পনা-কল্পনা…