কাল বেড়াতে যাওয়ার প্রোগ্রাম আর আজই মুখে ব্রণ? টোটকায় রাতারাতি দূর করুন সমস্যা

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা জানি টিন এজারদের ব্রণ হতে দেখা যায়। কিন্তু মাঝে-মধ্যেই এর ব্যতিক্রমও ঘটে। ত্বকের পরিচর্যায় অনীহা থেকে শুরু করে অস্বাস্থ্যকর ডায়েট- ব্রণ হওয়ার একাধিক কারণ হতে পারে। ব্রণ হলেই ত্বকে ব্যথা, প্রদাহ, জ্বালাভাব নানা সমস্যা দেখা দিতেই পারে। ব্রণ কমাতে সাহায্য নিতে পারেন ঘরোয়া টোটকাতে।

এই টোটকায় রাতারাতি দূর হতে পারে সমস্যা

ঠিক যেদিন কোনও বিয়ে বাড়ি থাকবে, বা বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান থাকবে, মুখে একটা ব্রণ বেরোবেই সর্বনাশ। এই সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় প্রায় সব মহিলাকে। ব্রণের ফোলাভাবের সঙ্গে ত্বকে মারাত্মক ব্যথাও থাকতে পারে। ত্বকের প্রদাহ বাড়তে থাকে এর জেরেই। ব্রণের ফোলাভাব কমতে ও শুকনো হতেও বেশ সময় লাগে। সেইসঙ্গে ব্রণের দাগ তুলতেও কালঘাম ছুটে যায় অনেক সময়। ব্রণের সমস্যা এড়াতে গেলে সঠিক স্কিন কেয়ার রুটিন মেনে চলাটা জরুরি। ঠিকভাবে মুখ পরিষ্কার করতে হবে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ময়েশ্চারাইজারও মাখতে হবে। রোদে বের হওয়ার আগে সানস্ক্রিন আবশ্যিক। এছাড়াও মানতে হবে স্বাস্থ্যকর ডায়েটও। এতোকিছু করেও রাতারাতি ব্রণ তাড়ানো যাবে না। তবে বিশেষ দিনের আগে যদি মুখে ব্রণ দেখা যায় তাহলে কাজে লাগাতে পারেন সহজ এই টোটকা।

Related Post

অ্যাসপিরিন

অ্যাসপিরিন শুধু মাথার যন্ত্রণা কমায় না। ব্রণের সমস্যা দূর করতেও উপযোগী এই ওষুধটি। অ্যাসপিরিনের মধ্যে স্যালিসিলিক অ্যাসিডও রয়েছে। এই উপাদান ব্রণের লালচে ভাব, প্রদাহ, ফোলাভাব কমাতেও উপকারী। প্রথমে অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট গুঁড়ো করে নিন। তারপর অল্প পানি মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি ব্রণের উপর লাগিয়ে রাখুন। রাতে ঘুমানোর পূর্বে এই কাজটা করলে সকালে দূরে পালাবে ব্রণ।

টি ট্রি অয়েল

ব্রণের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে এই টি ট্রি অয়েল। এই এসেনশিয়াল অয়েল ত্বকের প্রদাহ কমায় ও সংক্রমণের হাত থেকেও রক্ষা করে থাকে। টি ট্রি অয়েলের মধ্যে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানও রয়েছে। তবে টি ট্রি অয়েল আসলে ত্বকের উপর সরাসরি প্রয়োগ করা যায় না। পানি বা অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে দু’ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে ব্রণের উপর লাগাতে হবে। ২-৩ দিন এই কাজটা করলে ব্রণের সমস্যা থেকে নিস্তার পাবেন।

স্পট ট্রিটমেন্ট

ব্রণের চিকিৎসায় স্পট ট্রিটমেন্টের জনপ্রিয়তা আরও বেড়েছে। স্পট ট্রিটমেন্ট শুধুমাত্র ব্রণের উপরেই ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। ত্বকের বাকি অংশে কোনও প্রসাধনী কিংবা উপাদান প্রয়োগও করতে হবে না। স্পট ট্রিটমেন্টে বেনজল পারক্সাইড, স্যালিসিলিক অ্যাসিড কিংবা সালফারের মতো উপাদানও থাকে। এগুলো ব্রণের ব্যথা, ফোলাভাব কমাতেও উপযোগী। বাজারে খুব সহজেই এই স্পট ট্রিটমেন্ট প্যাচ পেয়ে যাবেন। সেটিই ব্রণের উপর লাগিয়ে নিতে হবে। রাতে স্পট ট্রিটমেন্ট প্যাচ লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়লে সকালে উঠেই পরিষ্কার ত্বক পেয়ে যাবেন! তথ্যসূত্র: এই সময়।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on নভেম্বর ৫, ২০২৪ 11:56 পূর্বাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

দীপিকা ছেলের জন্য সুস্থ হয়ে উঠতে চান

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতীয় অভিনেত্রী দীপিকা কক্কর যে কোনো মূল্যেই হোক না কেনো…

% দিন আগে

নাখোশ ইউরোপ: যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিরাপত্তা কৌশল নিয়ে খুশি রাশিয়া

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুমোদিত নতুন জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলকে…

% দিন আগে

কানাডায় বরফের নিচে আয়োজন হলো পার্টি!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কানাডার কুইবেকে কিছু তরুণ বরফে জমে যাওয়া হ্রদের নিচে ডুব…

% দিন আগে

বরফে আচ্ছাদিত রাস্তা

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২৩ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২…

% দিন আগে

শীতে ঠোঁট ফাটা হতে রক্ষা পেতে করণীয়

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শীতকালে বাতাসের আর্দ্রতা কমে যাওয়া এবং ঠাণ্ডা হাওয়ার কারণে মুখের…

% দিন আগে

নাসার রোভার মঙ্গল গ্রহে বজ্রপাতের সম্ভাব্য শব্দ ধারণ করলো

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা পরিচালিত পারসিভিয়ারেন্স রোভার সম্প্রতি…

% দিন আগে