দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের মধ্যে অনেকেই বদহজমের সমস্যায় ভোগেন। এমনকী কিছু ব্যক্তিকে প্রায় সময় বিরক্ত করে কোষ্ঠকাঠিন্য। এমন পরিস্থিতিতে অবশ্যই প্রতিদিন খাওয়া শুরু করুন ব্রকোলি।
পেটের সমস্যা আমাদের প্রায় সময় লেগেই থাকে। বিশেষত: বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্যে আক্রান্তের সংখ্যাই দেখা যায় বেশি। এই দুই সমস্যায় ভুগলে সবার প্রথমেই বাইরের খাবার খাওয়ার লোভ সামলে নিতে হবে। এর পরিবর্তে বাড়ির তৈরি হালকা খাবার খান। সম্ভব হলে প্রতিদিন পাতে জায়গা করে দিন ব্রকোলির মতো একটি উপকারী সবজিকে। তাতে এই দুই সমস্যাকে অনায়াসে বশে রাখতে পারবেন।
এবার আপনি প্রশ্ন করতে পারেন, ঠিক কীভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজমের সমস্যা কমাতে পারে এই সবজিটি?
পেটের জন্য সেরার সেরা
এই ব্রকোলিতে রয়েছে উপকারী কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা অন্ত্রের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। যে কারণে পেটের সমস্যা প্রতিরোধও করা যায়। শুধু তা-ই নয়, এতে মজুত রয়েছে অত্যন্ত উপকারী ফাইবারও। এই ফাইবার কোলোনে উপস্থিত উপকারী সব ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে। ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়লে, তখন সুস্থ থাকে পেট। বদহজমের মতো সমস্যা থেকে দ্রুত সেরে ওঠা যাবে। তাই এই সমস্যায় ভুক্তভোগীরা প্রতিদিনের ডায়েটে অবশ্যই ব্রকোলিকে জায়গা করে দিতে হবে।
কোষ্ঠকাঠিন্যের উত্তম দাওয়াই
এই রোগে ভুক্তভোগীদের প্রতিদিন পেট পরিষ্কার হয় না। তবে এই সমস্যার সহজ সমাধান দিতে পারে ব্রকোলি। কারণ হলো, এই সবজিতে রয়েছে ফাইবারের ভাণ্ডারও। এই উপাদান অন্ত্রে মলের গতিবিধিও বাড়ায়। এমনকী মল নরম করে। যে কারণে সকাল সকাল পেট পরিষ্কারে বেগও পেতে হয় না। তাই এই রোগে ভুক্তভোগীদেরও নিয়মিত ব্রকোলি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে শুধু বদহজম কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেওয়া নয়, এর সঙ্গে আরও একাধিক উপকার করে এই ব্রকোলি।
হার্টের জন্য উপকারী
রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল এলডিএল ও ট্রাইগ্লিসারাইডসের মাত্রা বাড়লেই হার্টের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বাড়ে। তাই যেভাবেই হোক এই দুই উপাদানের মাত্রাকে স্বাভাবিকের গণ্ডিতে নামিয়ে আনাটা জরুরি। সেই কাজেও আপনাকে সাহায্য করতে পারে ব্রকোলির মতো একটি উপকারী সবজি।
সুগারের ওষুধ
হাই ব্লাড সুগার একটি জটিল রোগ। এই রোগকে বশে না রাখলে কিডনি, চোখ, হার্টসহ দেহের একাধিক অঙ্গের বারোটা বেজে যাবে। তাই চেষ্টা করুন যেভাবেই হোক সুগারকে বশে রাখার। সেই কাজেও আপনার হাতের পাঁচ হতে পারে এই ব্রকোলি।
বাড়বে ইমিউনিটি
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হলে শরীরকে ঘিরে ধরতে পারে একাধিক জটিল রোগ। তাই যেভাবেই হোক ইমিউনিটি বাড়াতে হবে। সেই কাজেও আপনাকে সাহায্য করতে পারে ভিটামিন সি ও অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ব্রকোলি। তাতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে।তথ্যসূত্র: এই সময়।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on অক্টোবর ২৭, ২০২৪ 3:04 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অবশেষে গত ৩১ বছর ধরে চলা ‘গোল্ডেন আউল’ বিতর্কের অবসান…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ২৯ কার্তিক ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যদি আপনি হৃদরোগের থেকে দূরে থাকতে চান তাহলে ভরসা রাখতে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্রিটিশ কাউন্সিলের আয়োজনে রাজধানী ঢাকার রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে গতকাল…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাশ্রয়ী দামে শক্তিশালী ব্যাটারি, দ্রুত চার্জিং সুবিধা; সাথে দৃঢ়তা ও…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মারণব্যধি ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করছেন ভারতীয় জনপ্রিয় অভিনেত্রী হিনা খান।…