সংগীতের মূর্ছনা এবং আশার বার্তা নিয়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের কল্যাণে ‘উৎস সন্ধ্যা ২০২৪’

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ২৫ অক্টোবর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ কমপ্লেক্স (কেআইবিসি) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হল ‘উৎস সন্ধ্যা ২০২৪।’ বিশেষ এই সংগীত সন্ধ্যায় জনপ্রিয় শিল্পী ঋতুরাজ বৈদ্য, সানজিদা মাহমুদ নন্দিতা ও মাশা ইসলামের গানের পরিবেশনায় শ্রোতারা হারিয়ে যান সুরের এক অনন্য ভুবনে।

প্রান্তিক এবং সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের জন্য তহবিল সংগ্রহ এবং এ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অসহায় ও অবহেলিত শিশু-কিশোরদের জীবনের মানোন্নয়নে ভূমিকা রাখার উদ্দেশ্য নিয়ে এ সংগীত সন্ধ্যার আয়োজন করে তৃণমূল পর্যায়ের কমিউনিটি-ভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান উৎস বাংলাদেশ। তহবিল সংগ্রহে বার্ষিক এ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন পৃষ্ঠপোষক, বিভিন্ন পর্যায়ের সমাজসচেতন মানুষ ও সংগীতপ্রেমীরা। আয়োজনে অংশ নেয়ার মাধ্যমে তারা একটি মহৎ উদ্দেশ্যপূরণের যাত্রায় শামিল হন; কেননা, অনুষ্ঠানে প্রতিটি টিকেট বিক্রির অর্থ সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের শিক্ষা, আশ্রয় এবং সঠিক যত্ন নিশ্চিতে ভূমিকা রাখবে।

এই সংগীত সন্ধ্যার আয়োজন নিয়ে উৎস বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক মাহমুদা মাহবুব লীনা বলেন, “এ আয়োজন কেবলমাত্র সংগীত সন্ধ্যাই ছিল না; এ আয়োজন আশা ও স্বপ্নপূরণের বার্তা নিয়ে এসেছে। আমরা এমন একটি পৃথিবী গড়ার স্বপ্ন দেখি, যেখানে প্রতিটি শিশু যত্নে বড় হবে। আমরা অনুষ্ঠানে আগত সকল অতিথি, শিল্পী, অনুষ্ঠানের স্পনসর ও পার্টনার সহ এ আয়োজনের সাথে সংশ্লিষ্ট সবার কাছে কৃতজ্ঞ। সবার সমবেত প্রচেষ্টা এ আয়োজনকে সফল ও অর্থবহ করে তুলতে ভূমিকা রেখেছে। অনুষ্ঠানে পরিবেশিত প্রতিটি গান সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতের ক্ষেত্রে আমাদের লক্ষ্যপূরণের আরও কাছে নিয়ে গেছে।”

Related Post

এই সন্ধ্যার টিকিট বিক্রি থেকে পাওয়া অর্থ উৎস বাংলাদেশের পরিচর্যায় থাকা শিশু-কিশোরদের কল্যাণে ও সংস্থাটির বিভিন্ন কল্যাণমুখী উদ্যোগ সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে ব্যয় করা হবে।

এই বছর উৎস সন্ধ্যা আয়োজনে টাইটেল স্পন্সর হিসেবে ছিল ওয়ান ওশান নেটওয়ার্ক এক্সপ্রেস; এবং পার্টনার হিসেবে ছিল: এঅ্যান্ডই, এবি ব্যাংক, এবিসি রিয়েল এস্টেট, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, এপেক্স, বার্জার, ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, কমার্শিয়াল ব্যাংক, ড্যান কেক, ডিবিএইচ, ঢাকা ব্যাংক, এবাদি (এইচ), আইডিএলসি, ইফাদ, আইপিডিসি, ইস্পাহানি, লংকাবাংলা, এমটিবি, নভোএয়ার, পদ্মা অ্যাপারেলস, পোলার, প্রাইম ব্যাংক, রেকিট, রানার, ইউনিলিভার এবং ঊর্মি গ্রুপ।
এই অনুষ্ঠানে আয়োজন অবদান রাখার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞ উৎস বাংলাদেশ। তাদের সহায়তায় প্রতিটি শিশুর জন্য একটি সুরক্ষিত এবং উন্নত ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

মনোজ্ঞ এই অনুষ্ঠানটির ইভেন্ট পার্টনার হিসেবে ছিল মঙ্গলদীপ ফাউন্ডেশন, এশিয়াটিক ইএক্সপি, ফোরথট-পিআর, নেভিগেটরস ও ইয়েলো র‍্যাপটর। টিকেটিং পার্টনার হিসেবে ছিল টিকিফাই। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on অক্টোবর ২৮, ২০২৪ 6:09 অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

মিলনের নতুন গান ‘কলি যুগে পুরুষের প্রেমের মূল্য নাই’ [ভিডিও]

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মোহাম্মদ মিলন। সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে তার…

% দিন আগে

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ১৮০ সাংবাদিক নিহত

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় রবিবার (২৭ অক্টোবর) আরও ৩ জন…

% দিন আগে

ভয়ঙ্কর যুদ্ধ নাকি আদুরে চুমু? দুই গোখরোর শরীরী প্যাঁচ দেখে প্যাঁচে নেটিজেনরা!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা এক ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, একে অপরের দিকে…

% দিন আগে

পুকুর বা ডোবার পানিতে ঝাঁপাঝাঁপি

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ১২ কার্তিক ১৪৩১…

% দিন আগে

পুষ্টিবিদের মতামত: অমলেট খাওয়া উপকারী নাকি ক্ষতিকর?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ একটি প্রশ্ন হলো আপনি কী নিয়মিত অমলেট খান? তবে আপনি…

% দিন আগে

হোয়াটসঅ্যাপ এবার গুজব ঠেকাতে উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান সময় উদ্বেগজনক একটি বিষয় হয়ে উঠেছে গুজব। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোকে…

% দিন আগে