দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাজারে মহিলাদের প্রসাধনীর ছড়াছড়ি। সিরাম থেকে স্লিপিং মাস্ক- কোনও কিছুরই যেনো কোনো অভাব নেই। মহিলারাও ত্বক নিয়ে বেশ খুঁতখুঁতে। সানস্ক্রিন ছাড়া বাইরে বের হন না। একটু ট্যান পড়লেই তখন প্যাক লাগিয়ে নেন মুখে।
অপরদিকে, পুরুষদের ত্বকের যত্ন নিয়ে কোনো মাথা ব্যথা নেই। অনেকেই তো গায়ে মাখার সাবানই মুখে মেখে নেন। সানস্ক্রিন মেখে আদৌ ক’জনই রাস্তায় বের হন! তবে ত্বকের দেখভাল পুরুষ-নারী নির্বিশেষে সকলেরই কিন্তু করা উচিত। ৫টি ত্বকের সমস্যা রয়েছে, যা পুরুষদের একেবারেই অবহেলা করা মোটেও উচিত নয়।
ব্রণ
শুধুমাত্র যে মহিলাদের ত্বকে ব্রণ বের হয়, তা নয়। অনেক পুরুষেরও গাল ভর্তি ব্রণ রয়েছে। কারও দাড়ির মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে, আবার কারও স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে ব্রণ। তবে এটা নিয়ে মাথা ঘামাতে চান না কেও। ত্বকের উপরিতলে ঘাম, তেল, ময়লা কিংবা ব্যাকটেরিয়া জমে ব্রেকআউটের সমস্যাও ডেকে আনতে পারে। এই সমস্যাকে এড়িয়ে চলতে হলে দিনে দু’বার ভালো মানের ফেসওয়াশ দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করাটা জরুরি। ব্যবহার করুন মুখ মোছার পরিষ্কার তোয়ালে।
দুর্গন্ধ
সাধারণ শরীরের দুর্গন্ধ বড়ই অস্বস্তিকর হয়ে থাকে। এটি নিজের যেমন ভালো লাগে না, তেমনি আপনার আশেপাশে থাকা মানুষ বিরক্ত হয়। ঘাম হলেই যে দুর্গন্ধ ছাড়বে এমনটি কিন্তু নয়। ঘাম যখন ত্বকের উপরিতলে থাকা ব্যাকটেরিয়ার সংস্পর্শে চলে আসে, আর তখন ব্যাকটেরিয়াগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে, আর তখন দুর্গন্ধ ছাড়তে থাকে। এটা থেকে মুক্তি পেতে হলে শুধু ডিওডোরেন্ট মাখলে চলবে না। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান মেখে গোসল করুন। এইক্ষেত্রে সুতির জামাকাপড় পরুন।
শুষ্ক ত্বক
যতোক্ষণ না ত্বকে টান ধরছে ময়েশ্চারাইজার মাখবো না- এমনটিই করে পুরুষরা। তবে দিনের পর দিন শুষ্ক ত্বক একাধিক সমস্যাও ডেকে আনতে পারে। এতে ত্বক চুলকানি, অস্বস্তিও ডেকে আনতে পারে। একজিমার মতো সমস্যাও জাঁকিয়ে বসতে পারে। তাই ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে হলে প্রচুর পরিমাণ পানি খান ও সেইসঙ্গে ময়েশ্চারাইজার মাখুন।
ট্যান ও সানবার্ন
সানস্ক্রিন না মেখে রোদে বের হলে ত্বক পুড়তে কিন্তু বাধ্য। এতে ট্যান পড়বেই। সেইসঙ্গে ত্বকে র্যাশের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ত্বককে ভালো রাখার জন্য সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। এতে ত্বক ক্যান্সারের ঝুঁকি এড়ানো যাবে। ইচ্ছে করলে পুরুষরা মাখতে পারেন এসপিএফ ৩০ যুক্ত সানস্ক্রিন। তথ্যসূত্র: এই সময়।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on অক্টোবর ৩০, ২০২৪ 4:57 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল উদ্ভাবনী অপারেটর বাংলালিংক গতকাল (শনিবার) ঢাকা, চট্টগ্রাম,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতীয় অভিনেত্রী দীপিকা কক্কর যে কোনো মূল্যেই হোক না কেনো…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুমোদিত নতুন জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলকে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কানাডার কুইবেকে কিছু তরুণ বরফে জমে যাওয়া হ্রদের নিচে ডুব…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২৩ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শীতকালে বাতাসের আর্দ্রতা কমে যাওয়া এবং ঠাণ্ডা হাওয়ার কারণে মুখের…