দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) সদস্যদের জন্য বিশেষ জামানতবিহীন ঋণ সুবিধা চালু করার লক্ষ্যে বেসিস ও ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি মধ্যে ৩১ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ ব্র্যাক ব্যাংক এর প্রধান কার্যালয়, গুলশানে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
এর মাধ্যমে বেসিসের সদস্যরা সহজে এবং দ্রুত সময়ে প্রয়োজনীয় ঋণ সুবিধা পাবেন, যা তাদের ব্যবসায়িক উদ্যোক্তা পর্যায়ের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা ও উন্নয়নের পথকে ত্বরান্বিত করবে।
এই সমঝোতা স্মারকের উদ্দেশ্য হলো বেসিস সদস্যদের জন্য জামানতবিহীন সহজ অর্থায়নের সুযোগ তৈরি করা, যা তাদের উদ্ভাবন, টেকসই ব্যবসায়িক সম্প্রসারণ এবং তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে অর্থনৈতিক অবদানকে সহায়তা করবে। এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বেসিস সদস্যরা তাদের আর্থিক সাফল্য অর্জন ও ব্যবসায়িক লক্ষ্য পূরণে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যেতে পারবেন।
বেসিসের পক্ষে সহ-সভাপতি (অর্থ) এম আসিফ রহমান এবং ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি- এর ডিএমডি ও এসএমই বিভাগের প্রধান সৈয়দ আবদুল মোমেন স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
এছাড়াও, স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেসিসের সভাপতি এম রাশিদুল হাসান, পরিচালক বিপ্লব ঘোষ রাহুল, মীর শাহরুখ ইসলাম, বেসিস মেম্বার সার্ভিসেস এন্ড ওয়েলফেয়ার বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান আনিসুল হক ভূইয়া এবং বেসিস সচিবালয়ের নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম জাকারিয়া ইসলাম।
এছাড়া ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, এসএমই বিভাগ প্রধান; ইমার্জিং মার্কেটের প্রধান, ইমার্জিং কর্পোরেট ইউনিটের প্রধানসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে বেসিস সভাপতি এম রাশিদুল হাসান উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, “ব্র্যাক ব্যাংকের সাথে আমাদের এই অংশীদারিত্ব আমাদের সদস্যদের জন্য নতুন অর্থায়নের সুযোগ উন্মুক্ত করবে, যা তাদের উদ্ভাবন এবং ব্যাবসা সম্প্রসারণকে উত্সাহিত করবে।”
ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি-এর উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং এসএমই প্রধান সৈয়দ আব্দুল মোমেন বলেন, “আমরা বেসিসের সাথে অংশীদার হতে পেরে আনন্দিত। এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে আইটি উদ্যোক্তাদের জন্য জামানত ছাড়াই গুরুত্বপূর্ণ অর্থায়ন সুবিধা প্রদান করবে।”
বেসিসের সহ-সভাপতি (অর্থ) এম আসিফ রহমান বলেন, “এই সমঝোতা স্মারক বেসিস সদস্যদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি জামানতবিহীন ঋণ সুবিধা তাদের ব্যবসা প্রবৃদ্ধি ও শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”
এই সহযোগিতার ফলে উদ্ভাবন, কার্যক্রম সম্প্রসারণ এবং আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থায়ন সহজলভ্য হবে, যা বিশেষত অনিয়মিত আয় চক্র বিশিষ্ট স্টার্টআপগুলোকে উল্লেখযোগ্যভাবে সহায়তা করবে এবং আইটি উদ্যোক্তাদের প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করবে।
# খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on নভেম্বর ৫, ২০২৪ 12:10 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ১২ চৈত্র ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কৃষ্ণপক্ষের রাত। উত্তাল দিন শেষে সন্ধ্যা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এক সময়ের জনপ্রিয় ফিচার ফোন নকিয়া ৩২১০ নতুন রূপে আবারও…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অ্যালার্জিক রাইনাইটিস হতে ত্বকের অ্যালার্জিও হয়ে থাকে অনেকের। ত্বক শুষ্ক…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে শুরু হওয়া কাহিনী স্টুডিও কোন রেগুলার প্রডাকশন…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হাজীদের জন্য নতুন বাধ্যবাধকতা আরোপ করলো সৌদি আরব। এবার দেশটি…