দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অবশেষে গত ৩১ বছর ধরে চলা ‘গোল্ডেন আউল’ বিতর্কের অবসান ঘটলো। অবশেষে শেষ হলো গোল্ডেন আউল গুপ্তধন খোঁজার মিশন। কারণ হলো ২ অক্টোবর এটি খুঁজে পাওয়া গেছে বলে জানান প্রতিযোগিতার অন্যতম আয়োজক মিশেল বেকার।
তিনি ঘোষণা করেন যে, আমরা গোল্ডেন আউল খুঁজে বের করার অধ্যায়ের সমাপ্তি করতে চাইছি। কারণ হলো গোল্ডেন আউলের ‘কাউন্টার-ব্রান্ড’ অবশেষে খুঁজে পাওয়া গেছে।
মিশেল বেকার একটি অনলাইন ডিসকর্ড বার্তায় জানান যে, আমরা এটি নিশ্চিত করছি যে, গতরাতে গোল্ডেন আউল খুঁজে পাওয়া গেছে ও এর সঠিক সমাধান আমাদের অনলাইন যাচাইকরণ সিস্টেমে জমাও দেওয়া হয়েছে। এখন সমাধান যাচাই প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। একইসঙ্গে তিনি জানান যে, এখন আর সঠিক স্থান খোঁজার জন্য ভ্রমণের প্রয়োজন হবে না, কারণ হলো সঠিক সমাধান অবশেষে পাওয়া গেছে। -খবর লিবারেশনের।
ওই প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, গুপ্তধন খোঁজার এই অদ্ভুত খেলা শুরু হয় ১৯৯৩ সালে। রেজিস হাউসার (যিনি ম্যাক্স ভ্যালেন্টিন নামে পরিচিত) ও মিশেল বেকারের উদ্যোগে। খেলার উদ্দেশ্যই ছিলো একটি সোনা এবং রুপার তৈরি চ্যাসোট (গুপ্তধনের প্রতীক), যেটি ফ্রান্সের কোথাও মাটির নিচে পুঁতে রাখা হয় তা খুঁজে বের করা। রেজিস হাউসার ২০০৯ সালে মারা যাওয়ার পর, দীর্ঘদিন এই রহস্যের সমাধান কেও বের করতে পারেনি। পরবর্তীতে মিশেল বেকার ২০২০ সালে নতুন আরেকটি সূত্র প্রদান করে খেলাটি পুনরায় চালু করেছিলেন।
যদিও খেলাটি পুনরায় চালু হওয়ার পর গবেষকরা বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট উৎসাহ দেখিয়েছেন। অনেক সমালোচক অবশ্য অভিযোগ করেছেন যে, মিশেল বেকার ইচ্ছাকৃতভাবেই সমাধানটি দ্রুত সময়ে করতে চেয়েছেন। দীর্ঘদিনের এই খেলাটি নিয়ে নানা মামলা-মোকদ্দমা ও বিতর্কের সৃষ্টি করেছিলো। একাধিক প্রজন্মের গুপ্তধন সন্ধানীদের মধ্যে ‘গোল্ডেন আউল’ উন্মাদনা সৃষ্টি করে।
তবে গুপ্তধন খুঁজে পাওয়ার ঘোষণার পর হাজারও মানুষ অনলাইনে লগইন করে এই খবর দেখে আবিভুত হন। যাদের অনেকেই বছরের পর বছর ধরে এই গুপ্তধনটি খুঁজছিলেন। এখন পর্যন্ত বিজয়ীর নাম প্রকাশও করা হয়নি, তবে সবার এখন একটাই প্রত্যাশা- আর তা হলো ১১টি ধাঁধার সমাধান।
এই খেলাটি দীর্ঘ ৩১ বছর ধরে বহু মানুষকে উজ্জীবিত করেছে ও এর সমাপ্তি অনেকের কাছেই ঐতিহাসিক এক মুহূর্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, গোল্ডেন আউল মূলত একটি প্রতীকী গুপ্তধন। এর ভেতরে সোনা এবং রুপার তৈরি একটি চ্যাসোট রয়েছে। ফ্রান্সের একটি অজ্ঞাত স্থানে মাটির নিচে গুপ্তধনটি পুঁতে রাখা হয়। গোল্ডেন আউলের সন্ধানে বিভিন্ন ধাঁধার সমাধানও করতে হয়।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on নভেম্বর ১৩, ২০২৪ 11:29 পূর্বাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’- এর অন্যতম সমন্বয়ক…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতিশ্রুতি দেন…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ২৯ কার্তিক ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যদি আপনি হৃদরোগের থেকে দূরে থাকতে চান তাহলে ভরসা রাখতে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্রিটিশ কাউন্সিলের আয়োজনে রাজধানী ঢাকার রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে গতকাল…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাশ্রয়ী দামে শক্তিশালী ব্যাটারি, দ্রুত চার্জিং সুবিধা; সাথে দৃঢ়তা ও…