দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, কৃষিজমির জলকাদায় একে অপরকে জড়িয়ে রয়েছে দু’টি বিষধর সাপ। তখনই এক যুবক সেখানে পৌঁছান। ওই যুবকের আওয়াজে সাপ দু’টি পালাতে থাকে। পরে ওই ব্যক্তি সাপ দুটিকে লেজ ধরে বন বন করে ঘোরাতে থাকেন।
খেতের মধ্যে একে অপরকে জড়িয়ে ছিল বিশালাকার দু’টি বিষধর সাপ। দেখে মনে হবে যে, সাপ দু’টি সঙ্গমে লিপ্ত কিংবা যুদ্ধে ব্যস্ত। তবে তাদের তাল কাটলো অবাঞ্ছিত অতিথির আগমনে! সামনে এক যুবককে দেখেই জলকাদার মধ্যেই পালাতে যাচ্ছিল সাপ দুটি। তবে পারলো না। সাপ দু’টিকে লেজ ধরে মাথার উপর বনবন করে ঘোরাতে থাকলো ওই যুবক। সেই ঘটনার একটি ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে নেটমাধ্যমে। সমালোচনার ঝড় উঠেছে নেটদুনিয়ায়। ঘটনাটি কোথায় ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছে, তা অবশ্য ওই ভিডিও থেকে স্পষ্ট নয়।
তবে বিতর্কও তৈরি হয়েছে। কীভাবে দুটো প্রাণীকে বিনা কারণে এভাবে উত্ত্যক্ত করলেন ওই যুবক? সেই প্রশ্নও তুলেছেন অনেকেই। ভিডিও দেখে তীব্র প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন নেটিজেনের একাংশ। অনেকেই ওই যুবকের ব্যবহারে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। একজন লিখেছেন, ‘‘সজ্ঞানে কেও সাপেদের বিরক্ত করবে না। আমাদের গ্রামের বড়রা সব সময় সেই কথায় বলেন।’’ অপর একজন লিখেছেন, ‘‘সাপ দু’টিকে দেখে মনে হচ্ছে তাদের বিষ নেই। তাই বাহুবলীর মতো ভাব দেখাচ্ছে ওই যুবক। বিষাক্ত হলে সব জারিজুরি বেরিয়ে যেতো।’’ তৃতীয় এক জনের ভাষায়, ‘‘খুবই খারাপ। কেনো এভাবে সাপের মিলনে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে? এইসব সাপ কৃষকদের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। এরা ইঁদুর, কীটপতঙ্গ মেরে ফসল বাঁচায়।” তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on ডিসেম্বর ১, ২০২৪ 3:32 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ১৯৫১ সালের নভেম্বর মাসে বিয়ে হয় ফে ও রবার্টের। বিয়ের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৬ পৌষ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঘুম থেকে উঠেই সকাল বেলা দুধ চা খেতে বারণ করেছেন…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জনপ্রিয় গায়ক মনির খানের প্রথম অ্যালবাম ‘তোমার কোনো দোষ নেই’।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গাড়ি-ঘোড়ায় প্রবল এক সংঘর্ষ ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের বাগপতে। দিল্লি-সাহারানপুর হাইওয়েতে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৫ পৌষ ১৪৩১…