দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ খিচুড়িই হোক বা নিরামিষ তরকারিই হোক, কুমড়া থাকলে আর কথায় নাই। শুধু রান্নায় নয়, কুমড়া চাইলে রূপচর্চাতেও ব্যবহার করা যায়। এই কুমড়াও সানস্ক্রিন হিসাবে কাজ করে। এটি ত্বকের কী কী উপকার করে? আজ জেনে নিন সেটি।
অনেকেই হয়তো কুমড়া মাখার কথা শুনে আঁতকে উঠতে পারেন। তবে ত্বকের জন্য কুমড়া ভীষণ উপকারী। কুমড়ায় রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে থাকে। ত্বক টান টান রাখতেও কুমড়া দারুণ উপকারী। কুমড়ার ব্যবহারে মসৃণ হয় ত্বক। ত্বকে আসে আলাদা এক দীপ্তি। এখন প্রশ্ন হলো রূপচর্চায় কীভাবে ব্যবহার করবেন এই কুমড়া? এই সব্জি দিয়ে আপনিও তৈরি করে নিতে পারেন ফেসপ্যাক।
কুমড়ার ফেসপ্যাক
আধা কাপ কুমড়া, ১ টেবিল চামচ মধু ও এক চিমটে দারচিনি গুঁড়া। প্রতিটি উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে থকথকে মিশ্রণ তৈরি করে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন।
রোদে পোড়া দাগছোপ দূর করতে কুমড়া ভীষণ উপকারী। ঘাড়, হাত বা শরীরের অন্যান্য অংশের ট্যান দূর করতে এই প্যাকটি ব্যবহার করতেই পারেন। এতে সুফল পাবেন।
কী উপকার পাওয়া যাবে কুমড়ার প্যাক ব্যবহারে?
# কোলাজেন হলো ত্বকের পুষ্টি। কুমড়া ত্বকে কোলাজেন বৃদ্ধি করে। যে কারণে ত্বক টান টান ও একই সঙ্গে মসৃণ হয়।
# আবার সানস্ক্রিনের কাজও করে কুমড়া। এই সব্জিতে জিঙ্কের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। সূর্যের ইউভি রশ্মি হতে ত্বক সুরক্ষিত রাখে কুমড়া। যে কারণে ট্যান পড়তে পারে না।
# কুমড়া এক্সফোলিয়েটর হিসাবে কাজ করে। ত্বকে মরা চামড়া জমে জেল্লা ঢাকা পড়ে যায়- কুমড়ো সেই মরা চামড়ার আস্তরণ সরিয়ে দিতে সাহায্য করে। তথ্যসূত্র: এই সময়।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on জানুয়ারী ৯, ২০২৫ 4:32 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান সময়ে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় মেসেজিং ও কলিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভিটামিন, ফাইবার কিংবা নানা ধরনের খনিজে ভরপুর হরেক রকম বাদাম,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সেই ৯০ দশকের মাঝামাঝির কথা। তামিল চলচ্চিত্রের গুরুত্বপূর্ণ সময় ছিল…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রোজ়ের যখন বয়স মাত্র ৬ মাস বয়স, তখন তাকে বাড়ি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসন থেকে মুক্তি পেতে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২ মাঘ ১৪৩১…