দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনে গাজা উপত্যকায় দীর্ঘ ১৫ মাসেরও বেশি সময় পর হামাস-ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হয়েছে। যুদ্ধবিরতির পর নিজ নিজ এলাকায় ছুটে যাওয়া গাজাবাসী ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া ভবনে স্বজনদের মরদেহ খুঁজে বেড়াচ্ছেন। তবে কঙ্কাল ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় ১৫ মাসের বেশি সময় ধরে ভয়াবহ তাণ্ডব চালিয়ে এসেছে বর্বর ইসরায়েলি বাহিনী। ইতিমধ্যেই অবরুদ্ধ উপত্যকাটির লাইফলাইন খ্যাত রাফার ধ্বংসস্তূপের মধ্যে মৃতদের দেহাবশেষ খুঁজে বেড়াচ্ছেন স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা। যুদ্ধবিরতি শুরুর পূর্বে হারানো স্বজনদের খুঁজতে হতভাগ্য পরিবারের শতাধিক ফোন পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তারা।
এক স্বেচ্ছাসেবী বলেছেন, দুই দিনে গাজায় অন্তত ১২০টি গলিত মৃতদেহ উদ্ধার করেছি আমরা। কঙ্কাল ছাড়া আর কোন কিছুই অবশিষ্ট নেই এখানে।
স্বাভাবিক জীবনযাপনের আশায় ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ। তবে ভারি যন্ত্রপাতির অভাবে ধ্বংসাবশেষ সরানোর কাজে বেগ পেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে ২২ জানুয়ারি গাজায় মানবিক সহায়তা নিয়ে প্রায় ৯০০ ট্রাক প্রবেশ করেছে বলে জানায় জাতিসংঘ।
গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলেও অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সেনারা হামলা তীব্র করেছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার জেনিন শহরে অভিযান চালিয়েছে দখলদাররা। এতে অন্তত ১০ জন নিহত এবং অনেকেই আহত হয়েছেন। এই সময় গ্রেফতার করা হয় বেশ কয়েকজন নিরীহ ফিলিস্তিনিকে।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on জানুয়ারী ২২, ২০২৫ 11:07 পূর্বাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতীয় অভিনেত্রী দীপিকা কক্কর যে কোনো মূল্যেই হোক না কেনো…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুমোদিত নতুন জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলকে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কানাডার কুইবেকে কিছু তরুণ বরফে জমে যাওয়া হ্রদের নিচে ডুব…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২৩ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শীতকালে বাতাসের আর্দ্রতা কমে যাওয়া এবং ঠাণ্ডা হাওয়ার কারণে মুখের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা পরিচালিত পারসিভিয়ারেন্স রোভার সম্প্রতি…