দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রাখঢাক না রেখে পিরিয়ড নিয়ে মেয়ের সঙ্গে কথা বলুন মন খুলে। এই সংক্রান্ত মেয়ের যাবতীয় সন্দেহ দূর করুন আপনিই। তার শারীরিক এবং মানসিক কষ্ট দূর করতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে আগে থেকেই।
এক সময় পিরিয়ডকে একরকম অভিশাপ কিংবা অসুখ বলে মনে করা হতো। ঋতুস্রাব চলাকালীন মেয়েদের রান্নাঘরে যাওয়া নিষিদ্ধ ছিল। মানা ছিল খেলাধুলো বা লোকসমাজে মেলামেশাতেও। আধুনিক চিকিৎসা প্রমাণ করে দিয়েছে, এই সবের কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তিই নেই। বরং, ঋতুস্রাব মহিলাদের একটি স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া হিসেবেই দেখা হয়। মেয়েকে সেটি প্রথমেই জানিয়ে দিতে হবে।
সমস্যার মোকাবিলা করা
আগে থেকে জানা না থাকায় প্রথমবার পিরিয়ড কিংবা ঋতুস্রাব শুরু হলে মেয়েরা খুব ভয় পেয়ে যেতে পারেন। বড় কোনও অসুখ হয়েছে ভেবে চিন্তিত হয়ে পড়তে পারেন। আর তখন কী করা উচিত বুঝে উঠতে পারে না। অনেকেই আবার লজ্জা কিংবা সংকোচে পরিবারের কাওকে বলে উঠতে পারে না। অথচ ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার আগে এই সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিলে তারা আর তখন ভয় পাবে না। এবং অনায়াসে সমস্যার মোকাবিলা করতে পারবে।
পিরিয়ড কোনও রকম অসুখ নয়
কিশোরীকে বোঝাতে হবে যে, পিরিয়ড কোনও অসুখ নয়। বয়ঃসন্ধিকালে ছেলে মেয়ে উভয়ের শরীরে কিছু পরিবর্তন দেখা যায়, যার মাধ্যমে তারা পুর্ণবয়স্ক মানুষে পরিণত হন। সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষমতাও লাভ করে। মেয়েদের ক্ষেত্রে এই পরিবর্তনটি হলো পিরিয়ড কিংবা ঋতুস্রাব শুরু হওয়া। অর্থাৎ তার জরায়ু সন্তান ধারণের জন্য প্রস্তুত হতেও শুরু করেছে। প্রতি মাসেই হরমোনের প্রভাবে মেয়েদের জরায়ুতে পরিবর্তন দেখা দেয় ও একটি নির্দিষ্ট সময় যোনিপথ দিয়ে যে রক্ত ও জরায়ু নিঃসৃত তরল পদার্থ বের হয়ে আসে, তাকেই বলা হয় ঋতুস্রাব।
নিজের অভিজ্ঞতাকে শেয়ার করুন
সাধারণত মেয়েরা মায়ের কাছেই এই বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। তাই প্রথম পিরিয়ডের পর মেয়ের মনোভাব মন দিয়ে শুনতে হবে। নিজের অভিজ্ঞতাও শেয়ার করুন। কারণ এই সময় প্রচুর মুড সুইং হয়। যে কারণে শারীরিক যত্নের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যেরও খেয়াল রাখা প্রয়োজন। যা গল্পের ছলে মেয়েকে জানিয়ে দিন।
ছোটো থেকেই জানিয়ে রাখুন বিষয়টি
আজকের প্রজন্মের পিউবার্টি শুরু হচ্ছে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে। ৭-৮ বছরের মেয়েদেরও পিরিয়ড শুরু হয়ে যাচ্ছে অনেক সময়। তাই ছোট থেকেই পিরিয়ড সম্পর্কে মেয়েকে জানিয়ে রাখতে হবে। শরীরে হঠাৎ এমন পরিবর্তন অনেক কিশোরীই মেনে নিতে পারেন না। তাদের মনে ভয় কিংবা স্ট্রেস কাজ করে। এই সব সমস্যা মায়েরাই দূর করতে পারেন। পিরিয়ড একটি স্বাভাবিক ও প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সেটিই মেয়েকে বোঝাতে হবে।
পরিচ্ছন্নতা
পিরিয়ড হলে শরীরে কী সুবিধা ও না হলে কী অসুবিধা সে সম্পর্কে মেয়েকে সঠিক তথ্য দিতে হবে। পিরিয়ডের ক্র্যাম্পে মেয়ের কষ্ট হতে পারে। সেই ক্ষেত্রে তার আরামের ব্যবস্থা করুন। চার ঘণ্টা অন্তর অন্তর প্যাড পরিবর্তন, পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কেও বোঝান।
প্রথম পিরিয়ড সেলিব্রেেশন
পিরিয়ড কোনও রকম নিষিদ্ধ অসুখ নয়। তাই দশজনের কাছে না লুকিয়ে, মেয়ের জীবনের প্রথম পিরিয়ডের দিনটিই সেলিব্রেট করুন। ঋতুস্রাব আসলে ঊর্ব্বরতার প্রতীক। খেলোয়াড়, মহাকাশচারী, রাজনীতিবিদ, শিক্ষিকা, লেখিকা, অভিনেত্রী, বিজ্ঞানী – দুনিয়ার সব মহিলারই পিরিয়ড হয়। এটি মেয়েকে বোঝান। তথ্যসূত্র: এই সময়।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on জানুয়ারী ২৭, ২০২৫ 11:09 পূর্বাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হুবহু মানুষের মতো মুখের দাঁতওয়ালা প্রাণীটি ঝড় তুলেছে পুরো বিশ্বে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ৩ ফাল্গুন ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার ইদানীং পায়ে চাপ দিয়ে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলেও কেমন যেনো…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাম্প্রতিক সময়ে শুল্ক ও কর নীতির সংশোধন, বিশেষ করে সিগারেট…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ছোট পর্দার জনপ্রিয় এক অভিনেত্রী সাবিলা নূর। তাকে নিয়ে বিভিন্ন…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং ভারতের বর্ডার…