সম্পর্কে ‘স্পার্ক’ বজায় রাখতে ‘স্পেস’ কতটা জরুরি?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ একজন মানুষের সম্পর্ক যখনই জীবনের বোঝা হয়ে দাঁড়াবে, তখন হয় মুশকিল। তখনই আপনি সেই সম্পর্ক থেকে বের হওয়ার পথ খুঁজবেন।

যে কোনও সম্পর্কেই ‘স্পেস’ দরকার হয়। ব্যক্তিগত পরিসরেরও প্রয়োজন পড়ে। তাতেই সম্পর্ক থাকে সুন্দর। দু’টি মানুষই সম্পর্কে বেশ সুখী থাকেন। সম্পর্কে আছি বলেই প্রতি মুহূর্তের আপডেট পার্টনারকে পাঠাতে হবে, তা নয়। বা সারাক্ষণ পার্টনারের খোঁজখবর নিতে হবে, সেটিও ভুল।

দু’টো মানুষ একসঙ্গে রয়েছেন বলেই যে, তাদের চাওয়া-পাওয়াগুলোও একই রকম হবে, তাও কিন্তু নয়। দু’জনের ব্যক্তিগত পছন্দ, শখ আলাদা হতেই পারে। সেগুলো এক্সপ্লোর করার জন্যই, নিজের যত্ন নেওয়ার জন্য আরও বেশি করে প্রয়োজন পার্সোনাল স্পেস। তবে এই ‘স্পেস’ যেনো বিচ্ছেদের কারণ হয়ে না দাঁড়ায়- সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।

Related Post

সম্পর্ক যখন জীবনের বোঝা হয়ে দাঁড়াবে, তখনই কিন্তু মুশকিল। তখনই আপনি সেই সম্পর্ক থেকে বের হওয়ার পথ খুঁজবেন। তবে প্রথম থেকেই যদি সম্পর্কে একে-অন্যকে স্পেস দেনই, তাহলে ভবিষ্যতে আর এই ধরনের সমস্যায় পড়বেন না। রিলেশনশিপে স্পেস ভীষণভাবে জরুরি। এটি স্ট্রেস কমায়, সম্পর্ককেও মজবুত করে, একে-অন্যের প্রতি সম্মানও বজায় থাকে। সর্বোপরি সম্পর্কে স্পার্ক কখনও আবার চলে যায় না।

আজকাল অনেক সময়ই দেখা যায় যে, স্পেস নিতে গিয়ে সম্পর্কে ব্রেক নিয়ে ফেলছেন অনেকেই। যখন স্পেস চাইছেন, সঙ্গী তাকে ভুল বুঝছেন। যে কারণে জটিলতাও তৈরি হচ্ছে। আবার নিজের সঙ্গে সময় কাটাতে গিয়ে, বা শখ এক্সপ্লোর করতে গিয়ে, পার্টনারের চাওয়া-পাওয়াকে কেও গুরুত্বই দিচ্ছেন না- এমনও হয় অনেক সময়। স্পেসের অর্থ পার্টনারের থেকে দূরে যাওয়া নয়। বরং, সম্পর্কের পাশাপাশি নিজেকেও আরও গুরুত্ব দেওয়া।

সম্পর্কে স্পেস কীভাবে কাজ করে?

সম্পর্কে নিজস্ব পরিসর থাকাটা দরকার। সেখানে আপনি নিজের ভালো লাগার কাজগুলোও করতে পারেন। প্রেম-বৈবাহিক জীবনের বাইরেও যে আসলে সম্পর্কগুলো রয়েছে, সেগুলোকেও সময় দিন। তবে, সম্পর্ক থেকে স্পেস নিয়েছেন বলে, পার্টনারের সঙ্গে কখনও যোগাযোগ বন্ধ করবেন না। প্রতিদিন ফোন করে কথা না বললেও তাকে টেক্সট করতেই পারেন। প্রতিদিন দেখা করার বদলে উইকএন্ডে একসঙ্গে সময়ও কাটাতে পারেন। এতে সম্পর্কের ভিত আরও অনেকটা মজবুত হবে। ইমোশনাল ইন্টিমেসিও তৈরি হবে। তথ্যসূত্র: এই সময়।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on ফেব্রুয়ারী ৪, ২০২৫ 4:55 অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

হোয়াটসঅ্যাপে যুক্ত হলো অনুবাদের নতুন সুবিধা

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভাষাগত ব্যবধান কমাতে জনপ্রিয় যোগাযোগমাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপ এবার নতুন একটি বিল্ট–ইন…

% দিন আগে

‘ধুরন্ধর’ এর অভিনেত্রী সারা যা বললেন

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্প্রতি বড় পর্দায় মুক্তি পেয়েছে আদিত্য ধর পরিচালিত সিনেমা ‘ধুরন্ধর’।…

% দিন আগে

মহান বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি জাতির শ্রদ্ধা: জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজ মহান বিজয় দিবস। বাঙালি জাতির হাজার বছরের বীরত্বগাথার এক…

% দিন আগে

বিমানে যাত্রার মাঝেই আজগুবি আচরণ: পাসপোর্ট খাবার আর টয়লেটে ফেলা!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইতালির মিলান থেকে লন্ডনগামী একটি বিমানে উড়ান শুরু হওয়ার পর…

% দিন আগে

শীত ও গ্রামের মানুষ

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ১ পৌষ ১৪৩২…

% দিন আগে

প্রতিদিন কী পরিমাণ হাঁটলে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বাস্থ্য রক্ষায় ব্যায়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, আর তার মধ্যে সবচেয়ে সহজ,…

% দিন আগে