নাইজারে মসজিদে হামলা: অন্তত ৪৪ জন নিহত

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একটি মসজিদে স্থানীয় জঙ্গিগোষ্ঠীর হামলায় অন্তত ৪৪ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। শুক্রবার (২১ মার্চ) এই হামলায় আহত হয় আরও কমপক্ষে ১৩ জন।

নাইজারে মসজিদে হামলা: অন্তত ৪৪ জন নিহত 1নাইজারে মসজিদে হামলা: অন্তত ৪৪ জন নিহত 1

গতকাল (শনিবার) দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বুরকিনা ফাসো ও মালি লাগোয়া নাইজারের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কোকোরো শহরের ফোমিতা গ্রামের মসজিদে শুক্রবার নামাজের সময় এই হামলার ঘটনাটি ঘটে। পশ্চিম আফ্রিকার সশস্ত্র ইসলামপন্থি গোষ্ঠী ইআইজিএস এই হামলা চালিয়েছে বলে দাবি দেশটির কর্তৃপক্ষের। স্থানীয় এই গোষ্ঠীটি আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেট (আইএস) অনুসারী। নাইজারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে ইসলামিক স্টেট (আইএস) অনুসারী ইআইজিএস গোষ্ঠীকে এই হামলার জন্য দায়ী করা হয়। তবে এই হামলার বিষয়ে গোষ্ঠীটির
কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

বিবৃতিতে বলা হয়, ভারি অস্ত্রে সজ্জিত জঙ্গিরা একটি মসজিদকে ঘিরে রাখে। সেখানে পবিত্র রমজান মাসে নামাজের জন্য জড়ো হওয়া লোকজনের ওপর “নিষ্ঠুর গণহত্যা’ চালিয়েছে জিহাদিরা। পরে সেখান থেকে চলে যাওয়ার সময় জিহাদিরা স্থানীয় একটি বাজার এবং কিছু বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা সৈন্যরা হামলায় ৪৪ জন বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু এবং ১৩ জন গুরুতর আহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করে। এই হামলার ঘটনায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য দেশটিতে তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালে মালির ইসলামপন্থি তুয়ারেগ বিদ্রোহীরা দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় একটি ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ নেয়। এর জেরে স্থানীয় একাধিক জঙ্গিগোষ্ঠী মালিতে ব্যাপক সহিংসতা শুরু করে দেয়। পরে বুরকিনা ফাসো, নাইজারসহ সাহেল অঞ্চলেও জঙ্গিদের এই সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইরত স্থানীয় সৈন্যদের সহায়তার জন্য পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ ওই অঞ্চলে সৈন্য মোতায়েন করে। বিদ্রোহের বিরুদ্ধে লড়াইরত স্থানীয় সৈন্যদের সহায়তা করতে চাওয়া হয় পশ্চিমা দেশগুলোর প্রধান মিত্র নাইজার। নাইজারের জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো বিভিন্ন গ্রাম, সামরিক এবং পুলিশি তল্লাশি চৌকি ও সেনাবাহিনীর ঘাঁটিতে প্রায়ই সময় হামলা চালায়। জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর হামলায় নাইজারে এ পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি ও লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

Related Post

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on মার্চ ২৩, ২০২৫ 9:40 পূর্বাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

আজ ঐতিহাসিক ২৬ শে মার্চ : মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজ ২৬ মার্চ, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস । ১৯৭১…

% দিন আগে

সমুদ্রের জলরাশির উত্থান

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ১২ চৈত্র ১৪৩১…

% দিন আগে

আজ সেই ভয়াল বিভীষিকাময় কালরাত্রি

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কৃষ্ণপক্ষের রাত। উত্তাল দিন শেষে সন্ধ্যা…

% দিন আগে

দীর্ঘ ২৫ বছর পর নতুন ডিজাইনে বাজারে এলো নকিয়া ৩২১০

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এক সময়ের জনপ্রিয় ফিচার ফোন নকিয়া ৩২১০ নতুন রূপে আবারও…

% দিন আগে

ধুলোধোঁয়ায় হাঁচি থামতে চায় না? অ্যালার্জিক রাইনিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখবেন কিভাবে?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অ্যালার্জিক রাইনাইটিস হতে ত্বকের অ্যালার্জিও হয়ে থাকে অনেকের। ত্বক শুষ্ক…

% দিন আগে

গল্প যখন শুধুই শোনাতে সীমাবদ্ধ থাকে না, তখন তা হয়ে যায় কাহিনী

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে শুরু হওয়া কাহিনী স্টুডিও কোন রেগুলার প্রডাকশন…

% দিন আগে