ওষুধ ছাড়াই কমতে পারে ফ্যাটি লিভার! কীভাবে?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণত অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণেই ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বাড়তে পারে। সেইসঙ্গে দোসর হয় ওবেসিটি, টাইপ-২ ডায়াবেটিস, হাই কোলেস্টেরল ও এমনকি উচ্চ রক্তচাপ।

বর্তমান সময়ে নেটের বদৌলতে ফুড অ্যাপ খুললেই পছন্দের খাবার নিমেষে অর্ডার করে নেওয়া যায়। এছাড়াও পাড়ার মোড়ে মোড়ে ফাস্ট ফুডের দোকান তো রয়েছেই। মুখরোচক খাবার খাওয়ার এখন অনেক উপায়ও রয়েছে। তবে এইসব মুখরোচক খাবারই যে একটু একটু করে রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে, সে খেয়াল আছে ক’জনার? অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণেই ফ্যাটি লিভারের সমস্যাও বাড়ছে দিনকে দিন। যাকে নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারও বলা হয়ে ধাতে। যারসঙ্গে দোসর হয় ওবেসিটি, টাইপ-২ ডায়াবেটিস, হাই কোলেস্টেরল ও উচ্চ রক্তচাপ।

তাই সময় থাকতে ফ্যাটি লিভারের সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে লিভার সিরোসিস, লিভার ফেলিয়রের মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। প্রাথমিক পর্যায়ে সহজেই ফ্যাটি লিভারের সমস্যাকে বাগে আনা সম্ভব। তাও আবার ঘরোয়া টোটকা মেনে। এতে ওজন কমবে ও অন্যান্য শারীরিক জটিলতাও এড়ানো যাবে।

Related Post

শরীরচর্চা

ব্যায়ামের বিকল্প নেই। ফ্যাটি লিভার, হাই কোলেস্টেরল, ওবেসিটি কিংবা টাইপ-২ ডায়াবেটিসের মতো সমস্যাকে এড়িয়ে যেতে হলে ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখাটা জরুরি। এই ক্ষেত্রে প্রতিদিনই শরীরচর্চা করতে হবে আপনাকে।

ডায়েটের প্রতিও নজর দিন

খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন না আনলে ফ্যাটি লিভারের হাত হতে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে না। প্রথমত: জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলতে হবে। সেইসঙ্গে বিভিন্ন ধরনের শাকসব্জি, ফল, ডাল, দানাশস্যও বেশি করে খেতে হবে। উদ্ভিজ্জ খাবার লিভারের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী।

কফি খেতে পারেন

আপনি চাইলে লিভারের স্বাস্থ্য উন্নত করতে কফিও খেতে পারেন। কারণ হলো লিভারের প্রদাহ কমাতে উপযোগী কফি। তবে অত্যাধিক পরিমাণে কফি খাওয়া যাবে না। দিনে ৩ কাপ কফি খেতে পারেন। তাও দুধ এবং চিনি ছাড়া।

চিনি বর্জন করুন

ফ্যাটি লিভার ধরা পড়লে জাঙ্ক ফুড খাওয়া মোটেও চলবে না। যতো তেলে ভাজা খাদ্য এড়িয়ে চলবেন, ততোই ভালো। সেইসঙ্গে চিনি রয়েছে এমন খাবার এবং পানীয় এড়িয়ে চলুন। চিনি ফ্যাটি লিভারের পাশাপাশি একাধিক রোগের ঝুঁকি আরও বাড়াতে পারে। তথ্যসূত্র: এই সময়।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on এপ্রিল ১০, ২০২৫ 5:19 অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

শীতকালীন ঝড়ে গাজায় চরম মানবিক বিপর্যয়

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শীতকালীন ঝড় এবং অবিরাম বৃষ্টির কারণে ফিলিস্তিনের গাজায় এক ভয়াবহ…

% দিন আগে

হঠাৎ ধরা পড়লো তাসমানিয়ার সৈকতে ওপারফিস!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়ার এক সৈকতে একজন কুকুরচালক হঠাৎ দেখতে পান একটি…

% দিন আগে

গাছিদের রস সংগ্রহের দৃশ্য

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ৩ পৌষ ১৪৩২…

% দিন আগে

আপনি কেনো খাবেন ছোট মাছ?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ছোট মাছ যেমন- মলা, কাচকি, পুঁটি, টেংরা, তিনকাটা, খরে ইত্যাদি…

% দিন আগে

এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন পিএলসি-এর ৩০তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন পিএলসি এর ৩০ তম বার্ষিক সাধারণ সভা…

% দিন আগে

গণিতের “শূন্য’ কেনো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যা

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গণিতের বিশাল জগতে কোন সংখ্যাটি আসলে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে?…

% দিন আগে