দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কাজ করতে গেলে ভুলত্রুটি হবে সেটিই স্বাভাবিক। আর তাই কাজের গুণমান বাড়িয়ে তোলার জন্য মনোযোগী হওয়াটা জরুরি। মনোযোগ বাড়াতে কিছু অভ্যাসও তৈরি করতে হবে।
সুস্থ থাকার শেষ কথায় হলো পরিমিত খাওয়া, শরীরচর্চা, মন ভালো রাখা ও সর্বোপরি নিজের প্রতি যত্ন নেওয়া। প্রতিদিনের ব্যস্ততায় নিজের যত্নআত্তির ফুরসত পাওয়া যায় না। তবে ফিট থাকতে হলে কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে। এছাড়াও কাজের গুণমান বাড়িয়ে তোলার জন্য মনোযোগী হওয়াটাও জরুরি। আর মনোযোগ বাড়াতে কিছু অভ্যাস তৈরি করতে হবে।
দ্রুত ঘুম ভাঙুক
তাড়াতাড়ি সকাল শুরু করার কিছু উপকারিতাও রয়েছে। সকালে দ্রুত বিছানা ছাড়লে অন্যান্য কাজে তাড়াহুড়ো থাকে না। ধীরেসুস্থে, মন দিয়ে সব কিছু সামলানো সম্ভব। দেরি করে ঘুম থেকে উঠলে কোনও কাজই গুছিয়ে করার সময় পাওয়া যায় না। আর তখন ভুল হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিও থাকে।
শরীরচর্চা করুন
ওজন কমানো, শরীরচর্চা মনোযোগও বৃদ্ধি করে। শরীর চনমনে থাকলে কাজেও তখন গতি আসে। চাঙ্গা মন নিয়ে কাজ করলে ভুলত্রুটি কমে আসবে। কাজে মন বসবে। মনোযোগও বাড়বে।
যন্ত্র থেকে দূরে থাকতে হবে
সকাল বেলায় চোখ খুলেই অনেকেই হাতে তুলে নেন মোবাইল ফোন। অফিসের কাজ থেকে দৈনন্দিনের নানা প্রয়োজন, প্রযুক্তি জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ওতপ্রোতভাবে। তবে দিনের শুরুতেই একটানা যন্ত্রের সঙ্গে কাটালে, শরীর ও মনে খারাপ প্রভাবও ফেলে।
পর্যাপ্ত খাদ্য গ্রহণ
মনোযোগ বাড়ানোর একটি উপায়ই হলো ভারি খাবার খাওয়া। সুষম খাবার শরীরকে ভিতর থেকে চনমনে রাখে। এছাড়াও শরীর যদি সঠিক পুষ্টি পায়, তখন মনও চাঙ্গা হয়ে ওঠে। মন ভালো হলে কাজেও মন বসবে। তথ্যসূত্র: এই সময়।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on এপ্রিল ১০, ২০২৫ 5:54 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল উদ্ভাবনী অপারেটর বাংলালিংক গতকাল (শনিবার) ঢাকা, চট্টগ্রাম,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতীয় অভিনেত্রী দীপিকা কক্কর যে কোনো মূল্যেই হোক না কেনো…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুমোদিত নতুন জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলকে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কানাডার কুইবেকে কিছু তরুণ বরফে জমে যাওয়া হ্রদের নিচে ডুব…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২৩ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শীতকালে বাতাসের আর্দ্রতা কমে যাওয়া এবং ঠাণ্ডা হাওয়ার কারণে মুখের…