দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এ বছরের ৩১ মার্চ শেষ হওয়া অর্থবছরের ২য় প্রান্তিকের ফল ঘোষণা করেছে ভিসা ইনকরপোরেশন (এনওয়াইএসই: ভি)। ডিজিটাল পেমেন্টে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ভিসা।
ভিসা তাদের আর্থিক পারফরম্যান্স ঘোষণা করেছে যেখানে রাজস্ব, লেনদেনের পরিমাণ এবং আন্তঃসীমান্ত কার্যক্রমের ফলে হওয়া শক্তিশালী গ্রাহক-কেন্দ্রিক কার্যক্রম উঠে এসেছে। এই শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স ক্রমপরিবর্তনশীল ডিজিটাল অর্থনীতির ক্ষেত্রে ভিসা’র অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করেছে।
এই বছরের গত মার্চ পর্যন্ত, অর্থাৎ মাত্র ৩ মাসে ভিসা ৯.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রাজস্ব অর্জন করেছে; যা এর আগের বছরের এই সময়ের তুলনায় ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ডলারকে ভিত্তিমান ধরে মুদ্রা উঠানামার হার সমন্বয় করার পর এই বৃদ্ধি ১১ শতাংশে দাঁড়ায়। বিশেষ করে, পেমেন্টের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায়, আন্তঃসীমান্ত লেনদেন জোরদার হওয়ায় ও ডিজিটাল পেমেন্টের দিকে বৈশ্বিক পরিবর্তন ঝুঁকে পড়ায় এই প্রবৃদ্ধি সম্ভব হয়েছে। স্থিতিশীল গ্রাহক ব্যয়ের ফলে ভিসা’র এই প্রান্তিকের গ্যাপ (জেনারেলি এক্সেপটেড অ্যাকাউন্টিং প্রিন্সিপালস) নেট ইনকাম দাঁড়িয়েছে ৪.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, কিংবা শেয়ার প্রতি ২.৩২ মার্কিন ডলার। কিছু নির্দিষ্ট বিষয় বাদ দিলে, নন-গ্যাপ নেট ইনকাম দাঁড়িয়েছে ৫.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, কিংবা শেয়ার প্রতি ২.৭৬ মার্কিন ডলার। বছর থেকে বছরে (ইয়ার-অন-ইয়ার) পেমেন্টের পরিমাণ বেড়েছে মোট ৮ শতাংশ, ইউরোপের অভ্যন্তরীণ লেনদেন বাদে আন্তঃসীমান্ত লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে ১৩ শতাংশ; একইসঙ্গে, প্রসেসড (সফল ও নিরাপদ) লেনদেন বেড়েছে ৯ শতাংশ।
সামষ্টিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যেও প্রতিষ্ঠানের প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে গ্রাহকদের চাহিদা ধারাবাহিকভাবে বাড়তে থাকা ও বৈচিত্র্যপূর্ণ ব্যবসায়িক মডেলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ভিসা’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রায়ান ম্যাকইনার্নি। তিনি বলেন, “পেমেন্ট, আন্তঃসীমান্ত এবং প্রসেসড (সফল ও নিরাপদ) লেনদেনের পরিমাণের কারণেই ভিসা’র এই অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হয়েছে। অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা থাকার পরও গ্রাহকের ব্যয় স্থিতিশীল ছিল। কনজ্যুমার পেমেন্ট, বাণিজ্যিক এবং মুদ্রা স্থানান্তরে সমাধান এবং মূল্য সংযোজন সেবার ক্ষেত্রে আমাদের কৌশল; একইসাথে, বৈচিত্র্যপূর্ণ ব্যবসায়িক মডেল এবং উদ্ভাবনের প্রতি মনোযোগ এই অর্থবছর ও এরপরেও আমাদের ভালো অবস্থান বজায় রাখতে সহায়ক হবে বলে আশাবাদী আমরা।”
প্রতিষ্ঠান এই প্রান্তিকে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৫.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের শেয়ার পুনঃক্রয় ও নগদ ডিভিডেন্ড প্রদান করেছে। এছাড়াও, দীর্ঘমেয়াদী প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের আত্মবিশ্বাসের ফলশ্রুতি হিসেবে পরিচালনা পর্ষদ নতুন করে আরও ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ‘মাল্টি-ইয়ার শেয়ার রিপারচেজ প্রোগ্রাম’ অনুমোদন করেছে। এই বছরের ১৩ মে পর্যন্ত নিবন্ধিত শেয়ারহোল্ডারদের জন্য প্রতি শেয়ারে ০.৫৯০ মার্কিন ডলার নগদ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ভিসা; যা আগামী ২ জুন প্রদান করা হবে।
অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে ভিসা’র সাফল্য এবং দীর্ঘমেয়াদী প্রবৃদ্ধি কৌশলের ধারাবাহিক বাস্তবায়নের কারণেই দ্বিতীয় প্রান্তিকে এই ফলাফল এসেছে। দীর্ঘমেয়াদী সক্ষমতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মতো উদীয়মান বাজারে ডিজিটাল পেমেন্ট সহজলভ্য করার প্রতি গুরুত্বারোপ করছে ভিসা। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ত্বরান্বিত করতে বাংলাদেশে ডিজিটাল পেমেন্টের পরিবেশকে রূপান্তরিত করাই ভিসা’র লক্ষ্য।
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on মে ৬, ২০২৫ 5:19 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতীয় অভিনেত্রী দীপিকা কক্কর যে কোনো মূল্যেই হোক না কেনো…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুমোদিত নতুন জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলকে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কানাডার কুইবেকে কিছু তরুণ বরফে জমে যাওয়া হ্রদের নিচে ডুব…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২৩ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শীতকালে বাতাসের আর্দ্রতা কমে যাওয়া এবং ঠাণ্ডা হাওয়ার কারণে মুখের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা পরিচালিত পারসিভিয়ারেন্স রোভার সম্প্রতি…
View Comments
I do not even understand how I ended up here, but I assumed this publish used to be great
I like the efforts you have put in this, regards for all the great content.