দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনলাইন কেনাকাটা আরও নিরাপদ করতে গুগল ক্রোমে এবার যুক্ত হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর (এআই) নতুন এক সুবিধা।
এই সুবিধার মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতারা অনলাইন দোকানের মান, পণ্যের গুণাগুণ, দাম, গ্রাহকসেবা, ফেরতনীতিসহ ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো একনজরেই জানতে পারবেন। গুগলের ভাষ্যমতে, এটি অনলাইন কেনাকাটাকে আরও সহজ, নিরাপদ এবং কার্যকর করে তুলবে।
সম্প্রতি গুগল এক ঘোষণায় জানিয়েছে, ডেস্কটপ সংস্করণের ক্রোম ব্রাউজারে ওয়েব ঠিকানার বাঁ পাশেই একটি নির্দিষ্ট আইকনে ক্লিক করলে নতুন এই ফিচারটি সক্রিয় হবে। তখন একটি পপ-আপ উইন্ডোতে সংশ্লিষ্ট অনলাইন শপ সম্পর্কে সারসংক্ষেপ তথ্যও দেখাবে। ক্রেতারাও জানতে পারবেন, ওই শপের পণ্যের প্রকৃত মান কেমন, দাম যথাযথ কি-না, গ্রাহকসেবায় সন্তোষজনক সাড়া পাওয়া যায় কি-না অথবা পণ্য রিটার্ন দেওয়ার প্রক্রিয়া কতোটা সহজ।
গুগল জানিয়েছে যে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশ্লেষণের মাধ্যমে তৈরি এই সারসংক্ষেপ বিভিন্ন রিভিউ প্ল্যাটফর্ম হতে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে উপস্থাপনও করা হবে। যারমধ্যে রয়েছে বাজারভয়েস, বিজরেট ইনসাইটস, রিপুটেশন ডটকম, রিসেলার রেটিংস, স্ক্যামঅ্যাডভাইজার, ট্রাস্টপাইলট, ইয়টপো, টার্নটু, ভেরিফায়েড রিভিউসসহ একাধিক আন্তর্জাতিক রিভিউ প্রদানকারী একটি প্রতিষ্ঠান।
আপাতত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারকারীদের জন্য ইংরেজি ভাষায় ও ডেস্কটপ সংস্করণেই এই ফিচারটি পাওয়া যাবে। মোবাইল সংস্করণে কবে নাগাদ এটি চালু হবে, সেই বিষয়ে গুগল এখনও নির্দিষ্ট করে কিছুই জানায়নি।
প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মতে, ক্রেতাসুবিধার পাশাপাশি এটি গুগলের কৌশলগত পদক্ষেপ বটে। কারণ হলো, অ্যামাজনের মতো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যেই তাদের ই–কমার্স প্ল্যাটফর্মে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে পণ্যের রেটিং এবং রিভিউ সারসংক্ষেপ, পোশাক বাছাইয়ে পরামর্শ, ব্যক্তিগত পছন্দ মোতাবেক সুপারিশ ও তুলনামূলক বিশ্লেষণের মতোই নানা সুবিধাও চালু করেছে।
অপরদিকে গুগলের জনপ্রিয় ক্রোম ব্রাউজার দীর্ঘদিন ধরেই শীর্ষ অবস্থানে থাকলেও সম্প্রতি একাধিক নতুন এআই ব্রাউজারও বাজারে এসেছে। যারমধ্যে রয়েছে পারপ্লেক্সিটির ‘কমেট’, দ্য ব্রাউজার কোম্পানির ‘ডায়া’, অপেরার ‘নিয়ন’ ও ওপেনএআইয়ের সম্ভাব্য একটি ব্রাউজারও। এইসব প্রতিযোগিতার মুখে গুগল তাদের ব্রাউজারে এআই প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর পরিকল্পনাও নিচ্ছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে গুগল একটি এআই এজেন্টও তৈরির কাজ করছে, যা ব্যবহারকারীর হয়ে সরাসরি ব্রাউজারে বিভিন্ন কাজ সম্পাদনও করতে পারবে। সেইসঙ্গে সম্প্রতি গুগল তাদের জেমিনি এআই সহকারীকে ক্রোম ব্রাউজারের সঙ্গে যুক্ত করেছে। সেইসঙ্গে অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্মের জন্য গুগল ইতিমধ্যেই চালু করেছে এআইনির্ভর ব্যক্তিগত পণ্যের সুপারিশ ও ভার্চ্যুয়াল ট্রায়াল সুবিধা, পণ্যের দামের স্বয়ংক্রিয়ভাবে পর্যবেক্ষণ, ‘এআই মোডে’ কেনাকাটা এবং এআই চেকআউট প্রক্রিয়া। চলতি বছর গুগল আই/ও সম্মেলনে এইসব সুবিধাগুলোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছিলো। তথ্যসূত্র: টেকক্রাঞ্চ অবলম্বনে প্রথম আলো।
>>>>>>>>>>>>>>>>>>
আসুন আমরা আবার মাস্ক পরা শুরু করি। কারণ করোনা তথা COVID-Omicron XBB আগের ভ্যারিয়েন্টগুলোর তুলনায় ভিন্ন ও বিপজ্জনক। এটি সহজে শনাক্তও হয় না, তাই সবার মাস্ক পরা অত্যন্ত জরুরি।
১. COVID-Omicron XBB এর নতুন উপসর্গগুলো:
i) কাশি নেই।
ii) জ্বর নেই।
বেশিরভাগ উপসর্গ হলো—
iii) অস্থিসন্ধিতে ব্যথা।
iv) মাথাব্যথা।
v) গলাব্যথা।
vi) পিঠে ব্যথা।
vii) নিউমোনিয়া।
viii) ক্ষুধা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়া।
২. এই ভ্যারিয়েন্টটি ডেল্টার চেয়ে ৫ গুণ বেশি বিষাক্ত এবং মৃত্যুহারও বেশি।
৩. উপসর্গগুলো খুব অল্প সময়েই মারাত্মক আকার ধারণ করে এবং কখনও কখনও কোনো স্পষ্ট উপসর্গ না দেখিয়েই অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে।
৪. তাই আরও বেশি সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
এই ভ্যারিয়েন্টটি নাসোফ্যারেঞ্জিয়াল (নাকের গভীর অংশ) অঞ্চলে পাওয়া যায় না, বরং সরাসরি ফুসফুসের “উইন্ডো” অংশে আঘাত করে এবং নিউমোনিয়ার লক্ষণ দেখা দেয়।
৫. কিছু রোগীর মধ্যে জ্বর বা ব্যথা না থাকলেও এক্স-রে করলে মৃদু নিউমোনিয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। এছাড়া নাক দিয়ে নেয়া স্যাম্পলে (সোয়াব) পরীক্ষায় নেগেটিভ ফল আসছে, যা পরীক্ষায় ভুল রিপোর্ট (ফলস নেগেটিভ) এর সংখ্যা বাড়াচ্ছে। এ কারণে এই ভাইরাসকে ‘ধূর্ত’ বলা হচ্ছে।
এর মানে হলো— এটি সহজেই ছড়িয়ে পড়ে, সরাসরি ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায়, ভাইরাল নিউমোনিয়া সৃষ্টি করে এবং তীব্র শ্বাসকষ্ট তৈরি করে। এই কারণে COVID-Omicron XBB এত বেশি ছোঁয়াচে ও প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছে।
৬. যতটা সম্ভব ভিড় এড়িয়ে চলুন, খোলা জায়গাতেও অন্তত ১.৫ মিটার দূরত্ব বজায় রাখুন, সঠিকভাবে মাস্ক পরুন, এবং নিয়মিত হাত ধুয়ে ফেলুন—even যদি কাশি বা হাঁচি না থাকে।
এই COVID-Omicron XBB “ওয়েভ” প্রথম COVID-19 মহামারির চেয়েও ভয়াবহ।
সতর্কতা, সচেতনতা ও বৈচিত্র্যময় সুরক্ষা ব্যবস্থাই আমাদের রক্ষা করতে পারে।
✅ দয়া করে এই বার্তাটি বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শেয়ার করুন।
✅ শুধুমাত্র নিজের কাছে রেখে দেবেন না।
✅ যত বেশি সম্ভব লোককে জানিয়ে দিন।
ঘরের বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক পরুন এবং নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on আগস্ট ৪, ২০২৫ 6:05 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতীয় অভিনেত্রী দীপিকা কক্কর যে কোনো মূল্যেই হোক না কেনো…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুমোদিত নতুন জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলকে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কানাডার কুইবেকে কিছু তরুণ বরফে জমে যাওয়া হ্রদের নিচে ডুব…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২৩ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শীতকালে বাতাসের আর্দ্রতা কমে যাওয়া এবং ঠাণ্ডা হাওয়ার কারণে মুখের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা পরিচালিত পারসিভিয়ারেন্স রোভার সম্প্রতি…