Categories: জাতীয়

মহান বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি জাতির শ্রদ্ধা: জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজ মহান বিজয় দিবস। বাঙালি জাতির হাজার বছরের বীরত্বগাথার এক গৌরবময় দিন আজ। ১৯৭১ সালের এই দিনে ১৬ই ডিসেম্বর পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের আত্মপ্রকাশ ঘটে।

দিবসটির প্রথম প্রহরে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা। তারপর স্মৃতিসৌধের প্রবেশদ্বার সর্বস্তরের মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয়।

ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে লাখো শহীদের আত্মত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার স্মরণে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে হাজির হন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সকাল ৬.৩১ মিনিটে তিনি শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপরে সকাল ৬টা ৫৫ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ফুল দিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।

Related Post

পুষ্পস্তবক অর্পণের পর রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান উপদেষ্টা কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এই সময় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদান করে এবং বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে। তিন বাহিনীর পক্ষ হতে শহীদদের সম্মানে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। পাশাপাশি বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিক এবং উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরাও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

তারপর জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ঢল নামে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে। শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে ওঠে জাতীয় স্মৃতিসৌধ। এই উপলক্ষে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে শুধু একটি দিনই নয়, এটি বিজয়, স্বাধীনতা এবং আত্মমর্যাদার প্রতীক। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্যদিয়ে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের অবসান ঘটে ও অর্জিত হয় কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। বিজয় দিবস বাঙালি জাতির প্রতিটি প্রজন্মকে দেশপ্রেম, ত্যাগ এবং দায়বদ্ধতার চিরন্তন বার্তার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দি ঢাকা টাইমস্ এর পক্ষ থেকে পাঠক-পাঠিকা, বিজ্ঞাপনদাতা, শুভানুধ্যায়ী এবং দেশবাসীদের শুভেচ্ছা।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on ডিসেম্বর ১৬, ২০২৫ 10:28 পূর্বাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

View Comments

Recent Posts

হোয়াটসঅ্যাপে যুক্ত হলো অনুবাদের নতুন সুবিধা

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভাষাগত ব্যবধান কমাতে জনপ্রিয় যোগাযোগমাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপ এবার নতুন একটি বিল্ট–ইন…

% দিন আগে

‘ধুরন্ধর’ এর অভিনেত্রী সারা যা বললেন

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্প্রতি বড় পর্দায় মুক্তি পেয়েছে আদিত্য ধর পরিচালিত সিনেমা ‘ধুরন্ধর’।…

% দিন আগে

বিমানে যাত্রার মাঝেই আজগুবি আচরণ: পাসপোর্ট খাবার আর টয়লেটে ফেলা!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইতালির মিলান থেকে লন্ডনগামী একটি বিমানে উড়ান শুরু হওয়ার পর…

% দিন আগে

শীত ও গ্রামের মানুষ

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ১ পৌষ ১৪৩২…

% দিন আগে

প্রতিদিন কী পরিমাণ হাঁটলে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বাস্থ্য রক্ষায় ব্যায়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, আর তার মধ্যে সবচেয়ে সহজ,…

% দিন আগে

শক্তিশালী ব্যাটারিযুক্ত এমন এক স্মার্টফোন পানি ও চা-কফি পড়লেও নষ্ট হয় না

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের বাজারে শক্তিশালী ব্যাটারিযুক্ত নতুন মডেলের স্মার্টফোন নিয়ে আসার ঘোষণা…

% দিন আগে