দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ “হ্যাকার” শব্দটির বহুমাত্রিক ব্যবহার রয়েছে। তবে এটি জনপ্রিয়তা পেয়েছে ইন্টারনেটের কারণে। বর্তমানে হ্যাকারের অর্থ ধরা হয় এমন একজন ব্যক্তি যিনি অপর কোনো ব্যক্তির কম্পিউটারে সেই ব্যক্তির অনুমতি ছাড়াই ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে প্রবেশ করেন, যেটিকে এখন সাইবার ক্রাইম বলা হয়। এ পর্যন্ত ধরা পড়া কয়েকজন কুখ্যাত হ্যাকারকে নিয়েই আজকের এই প্রতিবেদন।
স্কুলের পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে ২০০৪ সালে হ্যাকার বনে যান Jeanson James Ancheta। ২০০৪ সালে একটি সফটওয়্যার রোবোট বটনেট এর কাজ শুরু করেন। প্র্যাকটিস চলাকালে তিনি আবিষ্কার করে একটি কম্পিউটার ভাইরাস যেকোনো কম্পিউটার নেটওয়ার্ককে ধ্বংস করে দিতে পারে। তিনি আমেরিকার প্রথম ব্যক্তি যিনি বহু কম্পিউটার হাইজ্যাকের কারণে আইনের চোখে নিষিদ্ধ হন।
Kevin Poulsen জনপ্রিয় অনলাইন ম্যাগাজিন Wired.com এর INVESTIGATIONS EDITOR হবার আগে দক্ষ একজন হ্যাকার ছিলেন। Porsche 944 S2 গাড়ি জেতার জন্য টেলিফোন লাইন হ্যাক করার ঘটনা তাঁকে বিখ্যাত করে তুলেছে। এর জন্য তাঁকে জেলও খাটতে হয়। জেল থেকে মুক্তির পর তিনি কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ছেড়ে দেন, এবং সাংবাদিক বনে যান।
অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে ব্যাংক থেকে ১৭০ মিলিয়ন ডলার নিজের একাউন্টে নিয়ে নেয়ার ঘটনা Albert Gonzalez কে হ্যাকিং জগতে খ্যাতি এনে দিয়েছে। এই হ্যাকিংকে বিশ্বের সবচেয়ে বিতর্কিত হ্যাকিং বলা হয়। SQL injections এর মাধ্যমে তিনি কম্পিউটারের ডাকা চুরি করে ARP spoofing attacks করে একটি ফেইক মেসেজ পাঠিয়ে টাকা হাতিয়ে নেন।
Kevin David Mitnick বর্তমানে আমেরিকার একজন সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ। কিন্তু এর আগে তিনি ছিলেন বিতর্কিত একজন কুখ্যাত হ্যাকার। মাত্র ১২ বছর বয়সেই লস এঞ্জেলেসের বাসের টিকিট পাঞ্চের নিরাপত্তা ভেঙে তিনি আলোচনায় আসেন। এরপর তিনি ধীরে ধীরে পরিণত হন আমেরিকার সবচেয়ে দূর্ধর্ষ সাইবার অপরাধীতে। পরবর্তীতে সুস্থ জীবনে ফিরতে চাইলে তিনি আত্মসমপর্ণ করেন এবং কিছু সাজা ভোগ করে নিরাপত্তা বিভাগে কাজ শুরু করেন।
Gary McKinnon ৯৭টি মিলিটারী ঘাঁটি এবং নাসা কম্পিউটার হ্যাকের জন্য গ্রেফতার হন। ২০০২ সালে তিনি সমগ্র আমেরিকার সেনাবাহিনী ক্যাম্পের প্রায় ২০০০ কম্পিউটারের সমস্ত ডাটা মুছে দেন মাত্র ২৪ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে যার ক্ষতি আমেরিকা আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি!
Robert Tappan Morris কে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় হ্যাকার বলা হয়। কারণ হ্যাকিংয়ের জন্য বহুল ব্যবহৃত worm ভাইরাস তাঁরই উদ্ভাবন করা। কৃতকর্মের জন্য ৩ বছরের জেল ভোগ করার আগে তিনি ছিলেন Massachusetts Institute of Technology এর Electrical Engineering and Computer Science প্রফেসর!
Kristina Svechinskaya বিখ্যাত একজন রাশিয়ান হ্যাকার। আমেরিকা এবং যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন ব্যাংকের একাউন্টে ট্রোজান ভাইরাসের আক্রমণ ঘটিয়ে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার তুলে নিয়েছিলেন তিনি!
জার্মান হ্যাকার Karl Koch জনপ্রিয়তা পান ১৯৮০ এর দশকে। তাঁকে বলা হয় ৬০ এর দশকে আমেরিকা এবং রাশিয়ার মাঝে cold war চলাকালীন সময়ে সবচেয়ে দক্ষ হ্যাকার যিনি রাশিয়ার KGB Agent হয়ে কাজ করতেন! এছাড়াও তিনি CCC (Chaos Computer Club) এবং Dirk-Otto-Brezinski এবং Urmel নামের দুইজন হ্যাকারের সাথে কাজ করতেন। তাঁর সবচেয়ে বড় সাফল্য ছিলো নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আমেরিকান সেনাবাহিনীর অস্ত্রের সমস্ত তথ্য চুরি করে KGB এর কাছে তুলে দেয়া।
উইকিলিক্স দিয়ে জনপ্রিয়তায় আসেন Julian Paul Assange। আমেরিকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রের দলিল তুলে ধরে তিনি সম্ভবত আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় হ্যাকিংয়ের কাজটি করেন। ১৬ বছর বয়সেই Mendax নামের একটি হ্যাকিং গ্রুপের সাথে যুক্ত থেকে তিনি হ্যাকিংয়ে দক্ষ হয়ে ওঠেন।
ক্রেডিট কার্ডের তথ্য চুরি করে টাকা তুলতে ওস্তাদ Raphael Gray, যিনি নিজেকে The Bill Gates Hacker নামে পরিচয় দিয়েছিলেন। বলা হয় তাঁর সামনে কোনো কম্পিউটার নেটওয়ার্কই নিরাপদ নয়, কারণ যেকোনোভাবেই সব নিরাপত্তা ভাঙতে সক্ষম Raphael Gray. ২০০০ সালে F.B.I এর তৎপরতায় Raphael Gray ধরা পড়েন।
ভিডিও দেখুন
তথ্যসূত্রঃ list25
This post was last modified on মার্চ ২৮, ২০১৭ 1:51 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রবিবার (১২ মে) সেমিনারে বক্তারা বলেন, সরকারকে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রক্রিয়ায়…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ৮ বছর পূর্বে ‘কে তুমি’ শিরোনামে একটি গান গেয়েছিলেন জনপ্রিয়…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মধ্যপ্রাচ্যে ইরান এবং ইসরায়েলের উত্তেজনা স্থায়ী সংঘাতে পরিণত হওয়ার শঙ্কার…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে লাইব্রেরিতে টেবিলের সামনে বই নিয়ে বসে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। সোমবার, ১৩ মে ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শরীরচর্চার সব উপায়ের মধ্যে হাঁটাকেই বেশি গুরুত্ব দেন অনেকেই। তবে…
View Comments
Julian Paul Assange amar mote valo kaj korse. is not kukkhetho...................