দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চট্রগ্রামের দক্ষিণ বাঁশখালী এলাকা সম্পূর্ণ জামাত শিবিরের নিয়ন্ত্রিত একটি এলাকা, এখানে স্থানীয়দের বেশীরভাগ মানুষ মনে করেন তাদের এলাকা এখনো পাকিস্তানের একটি অংশ।
স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা স্থানীয় সাধারণ কিছু সংখ্যক মানুষ মিডিয়াকে জানিয়েছে বাঁশখালি একটি জামাত শিবির নিয়ন্ত্রিত এলাকা এখানে দেশের অন্য কোন দলের কোন কর্মকাণ্ড চোখে পড়েনা একই সাথে এখানে প্রশাসনও অনেকটাই নিরীহ অবস্থায় আছে। ঘটনার সত্যতা জানা যায় বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল হাসান কাছে, তিনি বলেন, বাঁশখালিতে শিবির জামাত শক্ত ঘাঁটি গেড়েছে এখানে বেশিরভাগ মানুষ জামাত সমর্থক, এখানে প্রশাসনের ক্ষমতা কোন কাজেই আসেনা। আমরা নিজেরা যখন এসব এলাকায় যাই আমাদের নিজেদেও নিরাপত্তা থাকেনা ফলে আমরা অনেক ক্ষেত্রেই নীরব থাকতে বাধ্য হই।
স্থানীয় কিছু সূত্রের বরাত দিয়ে একটি অনলাইন সংবাদ মাধ্যম জানায়, সেখানে মূলত শাসন চলে জামাত শিবিরের স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের নির্দেশে, মূলত চট্রগ্রামের দক্ষিণ বাঁশখালী এলাকায় যদি স্থানীয় জামাত শিবিরের নেতাদের কোন বিষয়ে প্রতিবাদ করা হয় তবে প্রান যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
স্থানিয় সূত্রে জানা যায়, বাঁশখালি এলাকা চট্রগ্রাম কিংবা বাংলাদেশের অন্যান্য যেকোনো এলাকা থেকে আলাদা এখানে যুদ্ধঅপরাধীদের বিচার ইস্যুতে অনেক বেশি উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করে। মূলত অন্যান্য এলাকায় যুদ্ধঅপরাধী ইস্যু নিয়ে জ্বালাও পোড়াও ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হলেও বাঁশখালিতে ২৮ জানুয়ারিতেই বিক্ষোভ শুরু হয়।
২৮ জানুয়ারি স্থানীয় বাজারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে যুদ্ধ অপরাধের দায়ে দণ্ডিত দেলোয়ার হোসেন সাইদির ব্যানার নামিয়ে ফেলা নিয়ে শুরু হয় থমথমে অবস্থা এবং তা এখনো বিরাজমান।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ অপরাধী বিচারকে কেন্দ্র করে এখানে ঘটে ভয়ংকর সন্ত্রাস এতে স্থানীয়, উপজেলা বিচারিক হাকিম আদালত ও দেওয়ানি আদালতে অগ্নিসংযোগ এবং আরও কয়েকশ দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত ফৌজদারি ও দেওয়ানি উভয় আদালতের চার হাজার ৮০০ মামলা এবং আদালতের সংরক্ষিত বিভিন্ন নথিপত্র, হাজতখানা, বিচারিক হাকিম ও সহকারী জজের দুই কক্ষসহ আদালত ভবনের বিভিন্ন স্থাপনা পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এর জন্য মামলার বাদী-বিবাদী ও আইনজীবীরা চরম বিপাকে পড়েছেন। স্থবিরতা নেমে এসেছে আদালতের কার্যক্রমে। দীর্ঘ দুই থেকে ৬ মাস এসব আদালতে কোন কার্যক্রম হয়নি ফলে স্থানীয় অনেক মামলার আসামী ফরিয়াদি এবং সংশ্লিষ্টরা পড়ে বিপাকে।
এই এলাকাতেই যুদ্ধ অপরাধের দায়ে দণ্ডিত আসামী দেলোয়ার হোসেন সাইদির ছবি চাঁদে দেখা গিয়েছে বলে মাইকে মাইকিং করে চালানো হয় ভয়ংকর তাণ্ডব সে সময়ে থানায়ও আক্রমণ করে পুলিশ হত্যা করা হয়।
বাঁশখালি বিষয়ে কথা বলতে গেলে চট্রগ্রাম জোনের পুলিশ সুপার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন বাঁশখালি, সাতকানিয়া এবং লোহাগারা এই এলাকা সমূহ অনেকটাই সন্ত্রাস প্রবণ এবং জামাত শিবির নিয়ন্ত্রিত ফলে দেশে কোন নিরাপত্তা জোরদার করার বিষয় এলেই এসব এলাকার কথাই প্রথম বিবেচনায় আসে।
এদিকে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায় সেখানে জামাতের স্থানীয় আমীর মো. জহিরুল ইসলাম অনেক ক্ষমতাধর এবং দক্ষিণ বাঁশখালি এলাকা তিনিই নিয়ন্ত্রণ করেন। মূলত তার নির্দেশেই এই এলাকা নিয়ন্ত্রিত হয় এবং স্থানীয় জামাত সমর্থকরা নিজেদের এলাকাকে পাকিস্তানের ভূখণ্ড বলেই ভাবেন।
This post was last modified on ডিসেম্বর ৩০, ২০১৩ 3:46 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নতুন এআই মডেল মাত্র ১৫ সেকেন্ডের অডিও থেকে ভয়েস ক্লোনিং…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পরিচালক কিরণ রাওয়ের আলোচিত সিনেমা ‘লাপাতা লেডিস’ অবশেষে মুক্তি পেলো…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্চ মাস থেকেই গরমের আভাস দেওয়া হয়েছিলো ভারতে। তবে এপ্রিলের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা এতোদিন দেখে আসছি বাঁশ দিয়ে বাঁশি বানানো হয়। আর…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ২০ বৈশাখ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রক্তে ইউরিক অ্যাসিড বেশি থাকলে খাওয়া-দাওয়ায় রাশ টানতে হবে। তবে…
View Comments
100%rong
i m not agree to ur report becasue in 2008 election awamilig get more than 1lac vote. Nearest winer BNP. i want to say banaskhali is awami best position if have no internal fight .ok thank u?