দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। সংসদের রীতি অনুযায়ী সংসদে সরকারি দলের পাশাপাশি বিরোধী দল থাকতে হবে। যেহেতু বিএনপি নেই, তাই এবারের নির্বাচনে জাতীয় পার্টিই বিরোধী ভূমিকায় আসছেন। তবে কে হবেন বিরোধী দলীয় নেত্রী তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
এই সংশয়ের মূল কারণ এইচ. এম. এরশাদ। তিনি নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিলেও তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। পেয়েছেন ৩৩টি আসন। কিন্তু তিনি আদতেও শপথ নেবেন কিনা তা নিয়েই রয়েছে সন্দেহ। আর তাই বিকল্প হিসেবে রওশনকে ভাবা হচ্ছে। এরশাদ যদি শপথ না নেন বা নির্বাচনকে না মানেন তাহলে রওশন এরশাদ হতে পারেন বিরোধী দলীয় নেতা- এমনটাই শোনা যাচ্ছে।
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ঐক্যের সরকারের আহ্বান জানালে এরশাদের ভাই জি এম কাদেরসহ অনেকেই মন্ত্রিসভায় থাকবেন। পার্টির সূত্র এমন আভাস দিয়ে বলছে, জাতীয় পার্টির নির্বাচিত ৩৩ সংসদ সদস্য যথাসময়েই শপথ নেবেন। তবে বিরোধীদলীয় সংসদ উপনেতা কে হচ্ছেন তা এখনো নির্ধারণ হয়নি। জাতীয় পার্টির নির্বাচিত সদস্যরা শপথ নেবেন কিনা, কে হচ্ছেন প্রধান বিরোধী দলের নেতা জানতে চাইলে পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার জানান, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বে দল ঐক্যবদ্ধ। জনগণের রায়ে পার্টির সদস্যরা বিজয়ী হয়েছেন। পার্টির চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা করেই শপথ নেওয়া হবে। পার্টির কে বিরোধী দলের প্রধান হবেন এক্ষেত্রেও পার্টির চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষেই সিদ্ধান্ত হবে।
রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, অস্বাভাবিক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে নির্বাচন শেষ হলেও সংকট উত্তরণে বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগের এক টেবিলে বসতে হবে। প্রচারণা ছাড়াও পটুয়াখালী-১ আসনের জনগণ তাকে বিজয়ী করায় এলাকাবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। জাপা মহাসচিব শপথ নেবেন কিনা জানতে চাইলে বলেন, জনগণের প্রত্যাশা উপেক্ষা করা কঠিন। এরশাদ কবে বাসায় ফিরবেন- জবাবে জাপা মহাসচিব বলেন, তিনি অন্তরীণ। হাসপাতালে দেখতে যাচ্ছি। পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ঢাকা-৬ আসন থেকে বিজয়ী অ্যাডভোকেট কাজী ফিরোজ রশিদ প্রতিবেদককে জানান, দশম জাতীয় সংসদে বেগম রওশন এরশাদ বিরোধীদলীয় নেতা হবেন। জাতীয় পার্টির নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা রওশন এরশাদকে সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে নির্বাচিত করতে সম্মত হয়েছেন। দুই-একদিনের মধ্যে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে। পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদও একই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করতে ১০ম জাতীয় সংসদে কার্যকরী পদক্ষেপ নেবে জাতীয় পার্টি।
উল্লেখ্য, জাতীয় পার্টির বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হন ২১ জন। আর ৫ জানুয়ারি ব্যালটের মাধ্যমে বিজয়ী হয়েছেন ১২ জন। এবার দশম জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির আসনসংখ্যা ৩৩।
This post was last modified on জানুয়ারী ৭, ২০১৪ 10:52 পূর্বাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইতিমধ্যেই হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও তার…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এক দশকেরও বেশি সময়ে বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে সুরা কৃষ্ণ চাকমা যেমন…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভুট্টা এবং মরিচ চাষিদের জন্য ব্যাংক অর্থায়ন ও ঋণ পরিশোধের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সুপারস্টার শাকিব খান এবং বিন্দুকে নিয়ে ‘এই তো প্রেম’ নির্মাণ…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ১৯ মে সুনামগঞ্জ সদরের প্রিয়াঙ্গন কমিউনিটি সেন্টারে জেলার ১২টি উপজেলার…