ড. ফেরদৌস আহমদ কোরেশী ॥ কিছুকাল আগে একটি লেখায় ফেনীর জয়নাল হাজারীকে ‘আমার অতি প্রিয়’ উল্লেখ করায় অনেকে মনে করেছেন আমি বিদ্রূপ করে এই কথাটা বলেছি। আমি মোটেই সেভাবে কথাটা বলিনি। হাজারী ষাটের দশকে আমার অতিশয় প্রিয়ভাজনদের একজন ছিল। তার অনেক অনাসৃষ্টি কাণ্ডের পরেও আমার মনোভাব সে রকমই আছে। পুরনো সহযোগীদের প্রতি কঠোর হতে না পারা মোটেই ভালো নয়। এজন্য অনেক খেসারত দিতে হয়।
১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জয়নাল হাজারী ছিল ফেনী-২ আসনে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী। ওই নির্বাচনে হাজারী আমাকে ‘পরাজিত’ করে সংসদে ঢুকেছে। কীভাবে এ ‘বিজয় অর্জিত’ হয়েছিল তার বিস্তারিত বিবরণ দিতে গেলে নিউজপ্রিন্টের বাজারে টান পড়বে।
আমি তখন বিএনপিতে ছিলাম। আমার নির্বাচনে দাঁড়ানোর কোন প্রস্তুতি ছিল না। দলের নেত্রী এবং অন্যদের অনুরোধে একেবারে শেষ মুহূর্তে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পরদিন জয়নাল হাজারীর সঙ্গে টেলিফোনে আমার কথা হয়। হাজারী আমার নির্বাচনে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তে অবাক হয়েছে। বলেছে, ‘আপনি নির্বাচনে দাঁড়াবেন আগে কেউ বলেননি। আপনার মনে আছে, একবার আপনি চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে আমি ফেনী রেলস্টেশনে ট্রেন থামিয়ে মানপত্র পড়েছিলাম। আমি নিজ হাতে লিখেছিলাম। এখনও সেটা আমার কাছে আছে। আমি তো এখনও গ্রামেই পড়ে আছি। এখন আপনি এখানে নির্বাচনে এসেছেন। ঠিক আছে, আমি আমার ছেলেদের বলে দিয়েছি, এবারে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হবে।’ আমি বলেছি, ‘তোমার তো সংগঠন খুব ভালো। আমাদের দলের কী অবস্থা এখনও জানি না। দলের সিদ্ধান্তে আমাকে নির্বাচন করতে হচ্ছে। দেখা হলে আবার কথা হবে।’
আর দেখা হয়নি। দু’দিন পর কয়েকজন সহকর্মীসহ আমার নিজ গ্রামে যাওয়ার পথে দাগনভূঁইয়া বাজারে পৌঁছলে পরিচিতজনরা গাড়ি থামিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে থাকেন। আমি নির্বাচনে দাঁড়াব এটা তাদেরও মাথায় ছিল না। দেখতে দেখতে বেশ কিছু লোক জড়ো হয়ে গেল। আমি তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে বাজারের মাঝখানের বড় রাস্তা ধরে এগিয়ে যাচ্ছি। এমন সময় হঠাৎ বিকট শব্দে হতচকিত হয়ে উঠলাম। দেখলাম বিপরীত দিক থেকে আমাদের দিকে বৃষ্টির মতো বোমা ছুড়তে ছুড়তে এগিয়ে আসছে বিশ-পঁচিশজন যুবক। বোমার আঘাতে আমার সঙ্গীদের কয়েকজন রক্তাক্ত হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েছেন। ওই ‘সোনার ছেলেরা’ কাছে এসে অস্ত্র উঁচিয়ে আমাকে ঘিরে দাঁড়ায় এবং আমাদের এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলে। লোকজন ভয়ে আতংকে নিরাপদ দূরত্বে সরে গেছে। দু’-চারজন আমাকে সরে যাওয়ার জন্য টানাটানি করছে।
এটা যে হাজারীর পরিকল্পিত কর্মকাণ্ড ছিল তাতে সন্দেহের কোন কারণ নেই। উদ্দেশ্য ছিল অতি স্পষ্ট। মুখে মিষ্টি কথা বলে বাস্তবে এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি করা যাতে আমি ভয় পেয়ে যাই এবং নিজে থেকেই নির্বাচন ছেড়ে ঢাকায় ফিরে আসি। আমি ব্যাপারটা বুঝতে পারি এবং জীবন বাজি রেখে ওই দুর্বৃত্তদের মোকাবেলা করার সিদ্ধান্ত নিই।
হাজারীর সম্ভবত স্মৃতিভ্রম ঘটেছিল। নইলে আমাকে তো তার খুব ভালো করেই জানার কথা। তার তো জানা থাকার কথা যে, মানুষ প্রজাতির মধ্যে এমন কিছু প্রাণীও আছে যাকে মিষ্টি কথায় ভোলানো যায়, প্রতারণা করে ঠকানো যায়, কিন্তু চাপ দিয়ে বাঁকানো যায় না।
কীভাবে ভোট ডাকাতি হয়
১৯৯৬ সালের ওই নির্বাচন আমাকে অমূল্য জ্ঞান উপহার দিয়েছে। জনসমর্থন থাকলেই হবে না, সেই জনগণকে ঠিকভাবে ভোট দেয়ার সুযোগও দিতে হবে; ঠিকভাবে ভোট দিলেও হবে না, সেই ভোট ঠিকভাবে গোনাগুনতি হচ্ছে কিনা, ঠিকভাবে গোনার পর টেবুলেশনের সময় তাতে হেরফের ঘটানো হচ্ছে কিনা, টেবুলেশনেরও পরে রিটার্নিং অফিসার ও প্রিসাইডিং অফিসার একজোট হয়ে ফলাফল পাল্টানোর কৌশল উদ্ভাবন করছেন কিনা, সব শেষে ভোটের ফলাফল ঘোষণার সময় নির্বাচন কমিশনের কর্তারা নাক গলাচ্ছেন কিনা- প্রতিটি স্তরেই আছে কারচুপি, অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের নানা ফাঁকফোকর।
নির্বাচনী দুর্বৃত্তপনার যেসব কর্মকাণ্ড সেবারে চোখের সামনে দেখেছি তার কয়েকটি নিম্নরূপ : (ক) প্রিসাইডিং অফিসার এবং পুলিশের যোগসাজশে সশস্ত্র দুর্বৃত্ত দিয়ে ‘কেন্দ্র দখল’ করে অন্য দলের এজেন্ট ও সমর্থকদের বের করে দেয়া, অতঃপর ইচ্ছামতো সিল মেরে বাক্স ভর্তি করা, (খ) জোর করে প্রতিপক্ষের ভোটারদের হাত থেকে ব্যালটপত্র ছিনিয়ে নেয়া এবং তাতে নিজেদের মার্কায় সিল দিয়ে বাক্সে ফেলা, (গ) ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে বাধা দেয়া, বিশেষ করে যাওয়ার পথে মহিলাদের রিকশা উল্টে, শাড়ি টানাটানি করে বাধা দেয়া, (ঘ) আগের রাতে বোমা মেরে আতংক সৃষ্টি করা এবং মহিলাদের কেন্দ্রে যেতে বারণ করা, (ঙ) প্রিসাইডিং অফিসারকে বন্দুকের মুখে ভোটের হিসাব বদলাতে বাধ্য করা এবং সব শেষে (চ) প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের যোগসাজশে ব্যালটের হিসাবে রদবদল করে জনগণের রায় পাল্টে দেয়া, ইত্যাদি। (এসব ‘বৈপ্লবিক’ কর্মকাণ্ড কীভাবে সুচারুরূপে সম্পন্ন করা যায় সে ব্যাপারে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার আলোকে ‘নির্বাচনে জেতার সহজ উপায়’ নামে একটি বই লেখার ইচ্ছা আমার অনেক দিনের।)
যারা নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করছেন, তাদের ব্যবস্থাপত্রে এসবের এলাজ থাকতে হবে। নইলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, জাতীয় সরকার, স্বাধীন নির্বাচন কমিশন, সবই নস্যি।
আমাদের বর্তমান নির্বাচন ব্যবস্থায় রিটার্নিং অফিসার (সাধারণত ডিসি) এবং প্রিসাইডিং অফিসারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। তারা যে কোন অনিয়ম দেখেও না দেখার ভান করতে পারেন, আবার যে কোন কারণ দেখিয়ে একটি কেন্দ্রের নির্বাচন বাতিলও করে দিতে পারেন। এক্ষেত্রে তাদের সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনও পাল্টাতে পারে না। ভোট ডাকাতরা এ সুযোগটাই কাজে লাগায়। ক্ষমতাসীন সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় রিটার্নিং অফিসারের মাধ্যমে বিশেষ বিশেষ কেন্দ্রে নিজেদের পছন্দের লোকদের প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার নিযুক্ত করা হয়। কোথাও বা ঘুষ দিয়ে কিংবা ভয়-ভীতিতে তাদের বশ করা হয়। তারপর সব অনিয়মের মহোৎসব চলতে থাকে।
সেবারে উপরের সব পন্থা কাজে লাগানোর পরও যখন নির্বাচনের ফলাফল নিজেদের দিকে নেয়া যাচ্ছিল না তখন মাঝরাতে ভোট গণনা ও ফলাফল ঘোষণা বন্ধ করে দেয়া হয়। পরদিন ভোরে জানানো হয়, ‘গোলযোগের কারণে’ দুটি কেন্দ্রের নির্বাচন বাতিল করা হয়েছে, আবার নির্বাচন হবে। অতএব ফলাফল স্থগিত, সাতদিন পর উপনির্বাচন। এরই মধ্যে প্রতিপক্ষ দল সরকার গঠন চূড়ান্ত করে ফেলেছে। সাতদিন পরের কাহিনী না বলাই ভালো।
ছাত্রজীবনে জয়নাল হাজারীকে জেলা পর্যায়ে ছাত্রলীগের একজন দক্ষ ও নিবেদিতপ্রাণ সংগঠক হিসেবে পেয়েছিলাম। আমি স্থির করেছিলাম হাজারী যদি নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে জয়ী হয় আমি তাকে অভিনন্দন জানিয়ে মাল্যভূষিত করব। আমার দুঃখ হয় যখন দেখি একজন স্বাধীনতাসংগ্রামী তথাকথিত ‘গডফাদার’ হিসেবে চিত্রিত হচ্ছে এবং সেই পরিচয় সগর্বে ধারণ করছে। ‘গডফাদার’ শব্দটি তো সম্মানসূচক পরিচয় নয়।
দুই.
তবে আমি চির আশাবাদী মানুষ। এত কিছুর মধ্যেও আশা করছি, এই সন্ত্রাসনির্ভর রাজনীতির অবসান সম্ভব। ’৯৬-এর নির্বাচনে আমাকে সমর্থন জানাতে গিয়ে যারা সেদিন নানাভাবে নিগৃহীত হয়েছে (গাছের সঙ্গে বেঁধে কুকুর লেলিয়ে দেয়া, ড্রিল মেশিন চালিয়ে সারা শরীর ছিদ্র করে দেয়া, তলোয়ার দিয়ে মাথার ওপর কোপ দেয়াঃ ইত্যাদি), তাদের মনে প্রচণ্ড ক্ষোভ ছিল আমিও কেন এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নিলাম না। কেন ‘সমুচিত’ জবাব দিলাম না।
একপর্যায়ে সমর্থকদের চাপ এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের উপদেশ উপেক্ষা করা কঠিন হয়ে উঠেছিল। কিন্তু সন্ত্রাস দিয়েই সন্ত্রাস দমন করার কথা যারা বলেন, তাদের সঙ্গে আমি একমত হতে পারি না। ডাকাত মারতে গিয়ে নিজেই ডাকাত হয়ে যাওয়া আত্মঘাতী হঠকারিতা ছাড়া আর কিছুই নয়। এতে সাময়িকভাবে অভীষ্ট সিদ্ধ হতে পারে, কিন্তু এ প্রক্রিয়ায় আত্মার মৃত্যু ঘটে; যার পরিণতি কখনোই শুভ হতে পারে না।
তাছাড়া, এখানে-সেখানে দু’-চারজন সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করলেই কি সন্ত্রাস দূর হয়ে যাবে? প্রতিদিনই তো সন্ত্রাস-পাল্টা সন্ত্রাসে বহু সন্ত্রাসীর মৃত্যু ঘটছে। কিন্তু এক সন্ত্রাসীর মৃত্যু ঘটলে দু’দিনেই তার জায়গায় নতুন সন্ত্রাসীর আবির্ভাব ঘটছে। সন্ত্রাসের প্রকৃত উৎস চিহ্নিত করে তা নির্মূল না করা গেলে এ থেকে মুক্তির কোন পথ নেই।
সন্ত্রাসের উৎস কোথায়
সন্ত্রাসের উৎস কোথায়? আমার সাফ জবাব, সন্ত্রাসের উৎস হচ্ছে আমাদের জাতীয় পর্যায়ের অসুস্থ রাজনীতি। প্রায় সব রাজনৈতিক দলই আজ সন্ত্রাসকে রাজনীতির জন্য অপরিহার্য মনে করছে। বিশেষ করে সব বড় দলের ভেতরেই আজ সন্ত্রাসী লালনের প্রতিযোগিতা চলছে। যেসব দলে সন্ত্রাসী নেই তারাও সন্ত্রাসী সংগ্রহের সুযোগ পেলে পিছিয়ে থাকে না। আমাদের জাতীয় নেতৃত্ব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বিস্ময়করভাবে নীরব। কারণ, সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষকতা আসছে দলের শীর্ষ থেকেই। কেবল নিজ দলের কেউ হতাহত হলেই তারা ক্ষণিকের জন্য সরব হয়ে ওঠেন। প্রতিপক্ষের কেউ সন্ত্রাসের শিকার হলে মনে মনে খুশি হন।
দেশব্যাপী আজকের এ অব্যাহত সন্ত্রাসের জন্য কোন ধরনের রাখঢাক না করেই আমি আমাদের দুই বড় দলকে দায়ী করছি। আমার কণ্ঠে যতটুকু জোর আছে তার সবটুকু দিয়েই বলতে পারি, আমাদের জাতীয় নেতৃত্ব, বিশেষ করে এ দুই দলের দুই নেত্রী যদি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট অবস্থান গ্রহণ করেন, তাহলে ক্যাম্পাসসহ সারাদেশ থেকে সন্ত্রাসের রাজত্ব তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে, কয়েক দিনের মধ্যে।
তিন.
একজন পাঠক আমাকে প্রশ্ন করেছেন, ‘আপনি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লেখেন। কিন্তু আপনিও কি ফেনীতে নিজ দলের সন্ত্রাসীদের মাথায় স্নেহের হাত বুলিয়ে দেননি?’
সত্যিই তো, আমিও কি মাঝেমধ্যে তা করিনি!
এক্ষেত্রে সেই পুরনো আপ্তবাক্য দিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করা যায়। বলতে পারি, ‘পাপকে ঘৃণা কর, পাপীকে নয়’।
তবে আমার মনে একটা প্রশ্ন : যাদের আমরা ‘সন্ত্রাসী’ বলছি তারা কোথা থেকে আসছে? আজ প্রত্যক্ষে পরোক্ষে আমাদের গোটা তরুণ সমাজই সন্ত্রাসের শিকার। এরা আমাদেরই সন্তান। ভাই, বন্ধু, আত্মীয়-স্বজনের ছেলেমেয়ে। ফেনীতে দেখেছি পনেরো-বিশ বছরের দরিদ্র পরিবারের ছেলেদেরই রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং কথিত ‘গডফাদার’রা ব্যবহার করছে। এদের লেখাপড়ার বালাই নেই। ভবিষ্যতের কোন পরিকল্পনা নেই। অনেকের মাথায় ঝুলছে নানাবিধ মামলা। পুলিশের তাড়া খেয়ে নিজ বাড়িতে থাকতে পারে না। কাজকর্মেও লাগতে পারে না। পলাতক জীবনে বেঁচে থাকার জন্য তাদের ‘বড় ভাই’/‘গডফাদার’দের অনুকম্পা, সমর্থন ও আর্থিক সহায়তার ওপর নির্ভর করতে হয়। আওয়ামী লীগের হোক, বিএনপির হোক, শিবিরের হোক- সব দলের ‘ক্যাডার’দেরই এ করুণ অবস্থা। ক্যাম্পাসের ভেতরে যারা সন্ত্রাস করছে, তাদেরও নেতৃস্থানীয় দু’-চারজন ছাড়া বাদবাকিদের একই অবস্থা। সারাদেশে এ একই চিত্র।
রাজনৈতিক দলের এসব ‘ক্যাডার’ প্রায় সবাই কম-বেশি মাদকাসক্ত। কয়েক দিন আগে টিভিতে মাদকাসক্তদের নিয়ে একটা প্রতিবেদন দেখে আমার এই ছেলেদের কথা মনে পড়েছে। ফেনীতে সেবারে নির্বাচন করার সময় লক্ষ্য করেছি এদের কাউকে কিছু বেশি টাকা দিলে দু’-তিনদিন তার কোন খোঁজ পাওয়া যায় না। পরে জানতে পারি, কিছু টাকা হাতে পেলেই তারা ছুটে যায় কিছু বিশেষ জায়গায়। তারপর নেশায় বুঁদ হয়ে পড়ে থাকে সারা রাত। ঘোর কাটতে লাগে দু’-একদিন। আবার নেশা চাপলে তারা টাকার জন্য অস্থির হয়ে পড়ে। তখন হেন কর্ম নেই যা তারা করতে পারে না বা করে না। কিছু রাজনৈতিক নেতা তাদের এই দুর্বলতার সুযোগ নেন। তাদের উৎসাহ জোগান। তাদের দিয়েই প্রতিপক্ষের ওপর নৃশংস হামলা চালানো হয়। ভোট চুরির মহোৎসব ঘটান। রাজনীতি ও দুর্বৃত্তপনায় কোন পার্থক্য থাকে না। সুস্থ ও স্বাভাবিক ছেলেদের দিয়ে এসব কাজ করানো সম্ভব নয়।
শেষ কথা
এ পরিস্থিতির জন্য আমি নিজেকেও দায়ী মনে করি। আমাদের প্রজন্মের ব্যর্থতা ও অযোগ্যতার কারণেই রাজনীতি আজ এভাবে সন্ত্রাসনির্ভর হয়ে পড়েছে। ‘সন্ত্রাসের সক্ষমতা’কেই আমাদের তরুণ প্রজন্ম আজ রাজনীতির ‘সাফল্য’ মনে করছে।
‘ক্যাডার’ নামে অভিহিত রাজনৈতিক দলের এসব হতভাগ্য কর্মীর কেউই সন্ত্রাসী হয়ে জন্মায়নি। মায়ের কোলে সব শিশুই থাকে ফেরেশতার মতো পবিত্র। এরাও তাদের মায়ের কোলে নিষ্পাপই ছিল। আমাদের ভুল রাজনীতি, ব্যর্থ রাজনীতি তাদের ভুল পথে ঠেলে দিয়েছে। অর্থাৎ, আমরাই তাদের সন্ত্রাসী বানিয়েছি।
তাদের আবার সুস্থ করে তোলা, স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা, আমাদেরই দায়িত্ব ও কর্তব্য। এ কারণেই সন্ত্রাসকে ঘৃণা করলেও সন্ত্রাসী কাজকর্মে লিপ্ত এই ছেলেদের আমি মানবিক দৃষ্টিতে দেখার চেষ্টা করি। যে দলেরই হোক, তাদের সবার জন্য সত্যিই মায়া হয়। আমার প্রীতিভাজন হাজারীর জন্যও। (বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় এখনও রয়েছে নানা অসংগতি আর তাই দৈনিক যুগান্তর হতে এই লেখাটি আমরা হুবহু প্রকাশ করলাম। আশা করি লেখাটি পড়ে আমাদের সকলের বোধোদয় হবে)।
# ড. ফেরদৌস আহমদ কোরেশী : রাজনীতিক, ভূ-রাজনীতি ও উন্নয়ন গবেষক
shapshin@gtlbd.com
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পেঁপেতে উপস্থিত ‘পেপসিন’ ও ‘প্যাপাইন’ নামক উৎসেচকগুলো পরিপাকে বিশেষ সহায়ক।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্প্রতি ডেলটা নামে আইফোনের একটি নতুন ইমুলেটর অ্যাপ তৈরি হয়েছে।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দক্ষিণী সিনেমা ‘পুষ্পা’র তুমুল জনপ্রিয়তার পর মুক্তি পেতে চলেছে ‘পুষ্পা-২’।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ছোট বেলায় কিশোর পত্রিকার পাতায় আমরা অনেকেই এমন খেলা খেলেছি।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা জানি করলা খেলে সুস্থ থাকে শরীর। তবে সঙ্গে বা…
View Comments
You made some good points there. I looked on the internet for the issue and found most individuals will go along with with your blog.
Wow ! extraordinary job! i would like to read your post oftentimes.Its make me to hold more information. Thank You !
Well, I deduce that could be because Abigail and the girls commenced accusing other people of witchcraft when they had been recently open dancing naked inner recesses the woods and therefore, bad. Abigail furthermore engaged in a affair along with John Proctor. Individuals they were accusing were completely not prone of specifically what they'd been just accused associated with, and the distinct accusers had been the furthermost gadget by the globe from being holy... they defunct awake point of reference bogus witness.
What i don't realize is actually how you're not actually much more well-liked than you may be right now. You are so intelligent. You realize thus significantly relating to this subject, made me personally consider it from numerous varied angles. Its like men and women aren't fascinated unless it is one thing to accomplish with Lady gaga! Your own stuffs excellent. Always maintain it up!
Hey there! I could have sworn I've been to this blog before but after browsing through some of the post I realized it's new to me. Anyways, I'm definitely glad I found it and I'll be bookmarking and checking back often!
Wow, incredible blog layout! How long have you been blogging for? you make blogging look easy. The overall look of your web site is great, as well as the content!. Thanks For Your article about By Born, No One Is Terrorist : We Have Made Them Terrorist | The Dhaka Times .
I just could not leave your site before suggesting that I actually enjoyed the usual information an individual provide to your visitors? Is going to be back steadily to check up on new posts
I am just writing to make you be aware of what a terrific experience my wife's girl had using your site. She learned many issues, most notably how it is like to have an ideal helping character to get other individuals without difficulty have an understanding of a number of hard to do things. You actually surpassed readers' desires. Thank you for producing those great, trusted, informative and as well as easy tips on your topic to Ethel.
Wow! Thank you! I permanently wanted to write on my blog something like that. Can I implement a fragment of your post to my site?
Do you mind if I costing a few of your posts as long as I bestow thanks and sources back to your site? My blog is in the same consistent locale of interest as yours and my visitors would certainly help starting a lot of the information you represent here. Entertain allow me identify rider this alright with you. Thanks!