দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ১৪ ফেব্রুয়ারি সারা বিশ্ব জুড়ে প্রেম এবং ভালোবাসার আবেগে পালিত হয় ভালোবাসা দিবস বা ভ্যালেন্টাইন্স ডে। আজ দি ঢাকা টাইমসের প্রতিবেদনে ভ্যালেন্টাইন্স ডে’র ইতিকথা এবং ঐতিহাসিকভাবে এই দিনে ব্যবহারিত হয়ে আসা কিছু কার্ড উঠে আসবে।
আমরা সবাই তো ভ্যালেন্টাইন্স ডে পালন করে থাকি কম বেশি। এটি আসলে একটি প্রেমের দিন। এদিন সারা পৃথিবীর সকল মানুষ নিজ নিজ প্রিয় মানুষের জন্য মনের ভালোবাসা উজার করে দেন। বিভিন্ন ভাবে মানুষ ভ্যালেন্টাইন্স ডে পালন করেন। কেউ ভালোবাসার মানুষকে কথার বানে মুগ্ধ করতে চান আবার কেউ নিজের মনের কথা গুলো কার্ডে লিখে দিতে ভালোবাসেন। তবে ঐতিহ্যগত ভাবেই ভ্যালেন্টাইন্স ডে মানেই কার্ড! সবাই চান নিজ নিজ ভালোবাসার মানুষকে সবচেয়ে সুন্দর ভালোবাসার আবেগে লেখা কার্ডটি দিতে। এছাড়াও ভ্যালেন্টাইন্স ডে’তে ফুল, শুভেচ্ছা, অন্যান্য উপহার তো আছেই।
কিভাবে এসেছে এই ভ্যালেন্টাইন্স ডে বা ভালোবাসা দিবস?
ভ্যালেইটাইন’স নামে একজন খৃষ্টান পাদ্রী ও চিকিৎসক ছিলেন রোম নগরীতে। সে সময় অর্থাৎ এটা আনুমানিক ২৬৯ সাল হবে ধর্ম প্রচারের অভিযোগে পাদ্রী ভ্যালেইটাইন’সকে সম্রাট দ্বিতীয় ক্রাডিয়াস বন্দী করে কারাগারে প্রেরণ করেন। তবে কারাগারে ভ্যালেইটাইন’স থাকা কালে নানান সেবা মূলক কাজ করতে থাকেন। এভাবেই এক সময় তিনি কারা রক্ষীর পরিবারের সাথে ভালো বন্ধুত্বের সম্পর্কে জড়িয়ে যান। সেখানেই কারা রক্ষীর কন্যা যে কিনা অন্ধ ছিলেন তাঁর প্রেমে পড়েন। অন্ধ প্রেমিকার প্রতি অতীব ভালোবাসার টানেই ভ্যালেইটাইন’স প্রিয়তমার দৃষ্টি ভালো করার চিকিৎসা করেন এবং তিনি সফল হন।
বিষয়টি সম্রাট ক্রাডিয়াস জানতে পারেন এবং তিনি কারাগারে ভ্যালেইটাইন’সের এসব সেবামূলক কাজ এবং রক্ষীর কন্যার সাথে প্রেমের অভিযোগে ঈর্ষান্নিত হয়ে উঠেন। একই সময়ে ভ্যালেইটাইন’সের ভালো কাজের কথা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়তে থাকলে সম্রাট ক্রাডিয়াস আরও বেশি ঈর্ষাবোধ করেন এবং ভ্যালেইটাইন’সের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন।
নির্দয় শাসক ক্রাডিয়াসের ঈর্ষার বলি হয়ে প্রান দিতে হয় ভালোবাসার পূজারী ভ্যালেইটাইন’সের। ভ্যালেইটাইন’স কে যেদিন হত্যা করা হয় দিনটি ছিল ১৪ ফেব্রুয়ারি। সমসাময়িক কালে ভ্যালেইটাইন’স রোমে খুব ভালো ভাবেই প্রিয় হয়ে উঠেন। সম্রাট ক্রাডিয়াসে ভ্যালেইটাইন’সকে হত্যা করার ফলে ভ্যালেইটাইন’সের জনপ্রিয়তা আরও বেড়ে যায়।
এর পর আরও বেশি কিছু সময় চলে যায়। ভ্যালেইটাইন’সের কাহিনী থেকে যায় মানুষের মুখে মুখে ৪৯৬ সালে পোপ সেন্ট জেলাসিউও ১ম জুলিয়াস ভ্যালেইটাইন’স স্মরণে ১৪ই ফেব্রুয়ারিকে ভ্যালেন্টাইন’ দিবস ঘোষণা করেন। সেই থেকে এখন পর্যন্ত সকল প্রেমিক প্রেমিকারা এই দিনকে স্মরণীয় হিসেবেই পালন করে আসছে।
ভালোবাসা দিবস এখন কেবল আবেগেই সীমাবদ্ধ নয়। এই দিবসকে কেন্দ্র করে বাণিজ্য হয় সারা বিশ্বে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের। বিশেষ করে ঐতিহাসিক ভাবে এ দিবসে কার্ড দেয়া নেয়ার ধুম পড়ে। কার্ড ভালোবাসা দিবসের একটি আবশ্যক উপকরণ হয়ে উঠেছে।
“ভালোবাসা হোক সর্বময়,
প্রেমিক-প্রেমিকার জন্য শুধু নয়।”
চলুন দেখে নেই ঐতিহাসিক কিছু ভ্যালেইটাইন’স ডে কার্ডঃ
সূত্রঃ Mashable , উইকিপিডিয়া
This post was last modified on ফেব্রুয়ারী ৬, ২০১৪ 2:02 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গাজার মতোই অধিকৃত পশ্চিম তীরকেও ধ্বংসস্তূপে পরিণত করতে চাই ইসরায়েলি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সোনা ভেবে রাস্তা থেকে পাথর কুড়িয়ে এনেছিলেন এক ব্যক্তি। ১৫…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২৬ পৌষ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শীতে মধু মাখলে বেশ উপকার পাওয়া যাবে। যে কারণে এই…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সম্প্রতি বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিপাইনের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আসলে ২০২৫ সালের প্রযুক্তি–দুনিয়া কেমন যাবে, তা নিয়ে অনেক জল্পনা-কল্পনা…
View Comments
Valobasa ta sudhu valentine diboshe e jeno na thake,eta jeno sobsomoy thake.