দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যাত্রা শুরু হচ্ছে দশম জাতীয় সংসদের। প্রথম অধিবেশন বসছে আজ। দশম জাতীয় সংসদের বিরোধী দল থাকছে রওশন এরশাদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি।
মূলত সরকারের অংশীদারিত্বে থেকেই দেশের ইতিহাসে এই প্রথম প্রধান বিরোধী দলের আসনে বসছে জাতীয় পার্টি। প্রধান বিরোধীদলীয় নেতার আসনে বসছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম রওশন এরশাদ। সংসদে থাকছে না ১৯ দলের নেতৃত্বদানকারী বিগত সংসদের প্রধান বিরোধী দল ও দেশের বৃহত্তম দল বিএনপি।
দশম সংসদে এ পর্যন্ত ২৯৭ জন সদস্য শপথ নিয়েছেন। এরমধ্যে আওয়ামী লীগের ২৩১ জন, জাতীয় পার্টির ৩৪ জন, ওয়ার্কার্স পার্টির ৬ জন, জাসদ (ইনুর) ৫ জন, তরিকত ফেডারেশনের দুই জন, জেপি (মঞ্জুর) দুই জন এবং বিএনএফ-এর একজন সদস্য রয়েছেন।
যদিও দেশে বিদেশে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয় ৫ জানুয়ারির নির্বাচন। তথাপিও দেশের স্বাভাবিক আইন মোতাবেক হয়েছে নির্বাচন। সেই মোতাবেক আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করেছে। সবকিছুই চলছে আইন অনুযায়ী। আজ শুরু হতে যাওয়া সংসদে গতবারের ন্যায় এবারও উপনেতার আসনে বসছেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। স্পিকারের আসনে বসছেন ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী। ডেপুটি স্পিকার হিসেবে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের মনোনয়ন পেয়েছেন এডভোকেট ফজলে রাব্বি। প্রধান বিরোধী দলের বর্জনের মধ্য দিয়ে হয়ে যাওয়া নির্বাচনে ভোটের হার নিয়েও বিতর্ক থাকলেও দশম সংসদের কার্যক্রম হবে কিছুটা নতুন ধরনের- এমনটাই বলেছেন সংশ্লিষ্টরা।
সংসদ সচিবালয় সূত্র জানিয়েছে, আজ উদ্বোধনী দিনে নতুন স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন করা হবে। গতকাল আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকে স্পিকার হিসেবে ড. শিরিন শারমিন চৌধুরীকে মনোনয়ন দেয়া হয়। সংসদ সদস্য না থাকায় শিরিন শারমিন চৌধুরীর যে আইনি সমস্যা হয়েছিল তাও কেটে গেছে। ইতিমধ্যেই তিনি রংপুর থেকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল গেজেটও প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
জানা গেছে , আজ প্রথম দিনে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ সংসদে ভাষণ দেবেন। প্রায় এক যুগ পর সংসদের প্রেসিডেন্ট প্লাজা ব্যবহার করে সংসদ কক্ষে প্রবেশ করবেন তিনি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রয়াত জিল্লুর রহমান সংসদে ভাষণ দেয়ার সময় সারসংক্ষেপ পাঠ করতেন। কিন্তু বর্তমান প্রেসিডেন্ট তার ভাষণের পুরোটাই পড়বেন। আর তিনি বসে নয়, দাঁড়িয়েই ভাষণ দেবেন। আর তার এই ভাষণে নাকি সময় লাগবে ৫০ মিনিটের মতো।
দেশের প্রধান দল বিএনপি ছাড়া এবারের সংসদ কতখানি প্রাণবন্ত হবে সে বিষয়ে এখনও কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকারে থাকা জাতীয় পার্টি বিরোধী দল হিসেবে সংসদে তেমন কোন বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে পারবে না বলেই মনে হচ্ছে। তবে সময়ই বলে দিবে জাতীয় পার্টি বিরোধী দল হিসেবে কি ভূমিকা রাখতে পারে। জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক দূরদর্শিতারও প্রমাণ পাওয়া যাবে এবার।
ফিরে দেখা
২০০৯ সালের ২৫ জানুয়ারি নবম সংসদের যাত্রা শুরু হয়। ২৪ জানুয়ারি ২০১৪ নবম সংসদের মেয়াদ শেষ হয়। নবম সংসদে ১৯তম অধিবেশনের ৪১৮ কার্যদিবস চলার কারণে সৃষ্টি করে নতুন রেকর্ড। অপরদিকে সংসদ বর্জন করে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করে বিরোধী দল বিএনপিও। নবম সংসদে বিরোধী দল গিয়েছিল মাত্র ৭৬ কার্যদিবস। আর বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া গেছেন মাত্র ১০ কার্যদিবস। নবম সংসদে ২৭১টি আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল। যা বিগত সংসদগুলোর তুলনায় বহুগুণ বেশি।
This post was last modified on জানুয়ারী ২৯, ২০১৪ 11:37 পূর্বাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বপ্ন দেখে তা মনে রাখা সত্যিই দুষ্কর। আর তাই রাতের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৩০ কার্তিক ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’- এর অন্যতম সমন্বয়ক…