দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী আমাদের ব্যক্তিজীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিসয়। এ বিষয়ে আমাদের আগের পর্বে আমরা জেনেছি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গীর সাহায্যে লক্ষ্য অর্জনের বিষয়ে কিছু টিপস।
ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী আমাদের সাফল্য অর্জনের ক্ষেত্রে যেভাবে সাহায্য করতে পারে তা একে একে জেনে নিন নিচের টিপস সমূহ থেকে।
আমাদের মাঝে এমন অনেকেই আছেন যারা নিজের অনুভুতিকে প্রাধান্য না দিয়ে অন্যের দৃষ্টিতে জীবনকে দেখেন, যা আসলে ঠিক নয়। এতে করে হীনমন্যতায় ভোগেন তারা। কেউ যদি আপনাকে অকর্মণ্য ভাবে, আপনাকে অপ্রয়োজনীয় ভাবেন, আসলেই কী আপনি তাই? নিজে নিজে ভাবুন তো একবার! নিজেকে আগে নিজের চোখে দেখুন, মূল্যায়ন করুন, ভালোবাসুন। দেখবেন ঠিকই আপনি চলার পথে এগিয়ে গেছেন।
আমাদের মাঝে অনেকেই আছেন যারা অন্যের কথা শোনার বা বোঝার আগেই রেগে যান, চিৎকার করেন। কিন্তু একবারও কী ভেবে দেখেছেন আপনি কেন রেগে যাচ্ছেন ? নিজেকে একটু সহনশীল করে নেয়ার মানসিকতা থাকলে , নিজের মনকে প্রশস্ত করলে অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব।
মাঝে মাঝে নিজের প্রিয় জিনিসটা যদি আপনি আপনার প্রিয় মানুষটাকে উপহার হিসেবে দিয়ে দেন কিংবা নিজে ভাগে কম পেয়েও অন্যকে বেশি দিয়ে খুশী করে দেন, কী সমস্যা ? একদিন না হয় আপনি একটু কমই পেলেন। কিন্তু অন্যকে খুশী করতে পেরে আপনার যে আত্মিক সুখ হবে সেটা অনেক অমূল্যনীয় যা কোনো কিছুর সাথেই তুলনীয় নয়। উদারতা মহৎ গুন। যেখানে উদারতার মাধ্যমে আপনি অন্যের প্রশংসা পেতে পারেন সেখানে কেন সেধে নিন্দার ভাগ নেবেন!
নিজের মাঝে ছাড় দেবার মানসিকতা থাকতে হবে। কারণ আমাদের অনেকের মাঝেই এর অভাব আছে। অন্যভাবেও আমরা চাইলে চিন্তা করে দেখতে পারি, যা আমাদের না সেটা কেন আমরা পেতে চাই কিংবা সেটা কেনইবা আমরা ধরে রাখতে চাই! যারা ছাড় দিতে পারে তারাই কিন্তু চলার পথে জীবনে এগিয়ে যায়। অনেক সময় এমন হয় আমরা অনাবশ্যক ব্যাপারেও মাথা ঘামাই, সময় নষ্ট করি। অথচ সেটা আমাদের জন্য যে খুব একটা অর্থবহ কিছু বয়ে আনবে তাও না। তাই ছাড় দেয়ার চেষ্টা থাকতে হবে, তবে এটাও মনে রাখতে হবে সবসময় নিজেকে ঠকিয়ে যেন সেটা না করা হয়।
ভালোবাসা বা কারো দ্বারা উপকৃত হলে তাকে ধন্যবাদ জানাতে হবে, তার উপকার বা সাহায্য আপনি মনে রেখেছেন সেটা জানাতে আমাদের কার্পণ্য করা উচিত নয়; হোক সেটা ছোট বা বড় কাজ। যারা ভালোবাসা বা ধন্যবাদ গ্রহণ করতে পারেন না তারা সবসময় নেতিবাচক এবং আতংকের মাঝে ডুবে থাকেন। তারা অনেকটা সন্দেহপ্রবনও হন।
তাই নিজেকে সন্তুষ্ট করার উপায় শিখতে হবে, নিজেকে ধন্য করা বা গোছাবার মানসিকতা থাকতে হবে। এতে লাভ বৈ লোকসান হবে না।
এটা ঠিক যে অতীতের ভুল থেকে মানুষ যেমন শিক্ষা নেয় তেমনি অতীতের ঐতিহ্য অনুসরণ করে লাভবানও হওয়া যায় সে অনুযায়ী চললে। কিন্তু যে অতীত আমাদের হতাশায় নিমজ্জিত করবে, পেছনে ফেলে রাখবে সে অতীতকে মনে রেখে নিজেকে কষ্ট দেয়ার মান এনেই। কারণ একজন ইতিবাচক ভাবনার মানুষ কখনোই অন্ধকারে বাস করতে চান না , তিনি চান আলোর দিকে ছুটতে। পুরনো দিনের কষ্টদায়ক স্মৃতি ভোলার চেষ্টা করে আপনি এখন থেকেই ভবিষ্যৎকে সুন্দর করে তোলার ব্যাপারে প্রত্যয়ী হন, তাহলে মনে রাখবেন আপনিই বিজয়ী হবেন। নিজেকে বঞ্চিত না করে নিজেই হয়ে উঠুন নিজের কারিগর।
আগে স্থির করুন আপনি কী চান, কেমন করে চান এবং শুরু করুন নতুন ভাবে পথ চলা। আপনার চাওয়ার মতো করে হয়তো কাঙ্ক্ষিত বস্তুটি আপনার আয়ত্বাধীন নাও হতে পারে। কিন্তু একই কাজ বিভিন্ন উপায়ে আপনি করতে পারেন। এক উপায়ে ন আহলে আরেক উপায়ে করুন। যদি ভুল মানুষ হাসবে – এরকম চিন্তা পরিহার করে আপনি আপনার সহজতম উপায়ে কাজটি করে যান। আপনিই পারবেন। আমি পারবো না , আমাকে দ্বারা হবে না – এই চিন্তাগুলোই আমাদের সবচেয়ে ক্ষতি করে।
সুতরাং আপনি যদি বিশ্বাস করেন আপনি পারবেন, আপনি পথ না হারান, আপনি যদি এগিয়ে যেতে চান, তাহলে আপনিই পারবেন আপনার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে।
আরো পড়ুনঃ ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গীর সাহায্যে যেভাবে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করবেন! [পর্ব-১]
তথ্য সূত্রঃ life.gaiam.com
This post was last modified on মে ৬, ২০১৫ 11:29 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইসলামিক সঙ্গীত জগতে এক নয়াদিগন্তের সূচনা করলেন হোসাইন নূর। তার…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দু’টি কচ্ছপ নিয়ে রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলেছেন এক তরুণী। কচ্ছপ…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৭ পৌষ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিটনেস প্রশিক্ষকরা বলেছেন, হাঁটাহাঁটি, দৌড়ানো, জগিং, সাইকেল চালানো কিংবা সাঁতার…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রায় একযুগেরও বেশি সময় পর মৌলিক গান নিয়ে মিউজিক ডোমেইনে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ১৯৫১ সালের নভেম্বর মাসে বিয়ে হয় ফে ও রবার্টের। বিয়ের…