দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হতবিহব্বল একটি অবস্থা, দামী একটি গাউন তারপর একজনের হাত ধরে ধীরে ধীরে মঞ্চে হেটে যাওয়া এই হলো বিয়ের একটি বিশেষ মুহূর্ত। বিয়ে প্রতিটি মানুষের জীবনে একটি বিশেষ মুহূর্তের নাম। সবাই চায় সেই বিশেষ মুহূর্তকে ধরে রাখতে। আজ আমরা পাঠকদের জন্য কিছু বিয়ের ফটোগ্রাফী ছবি তুলে ধরবো যা ইতোমধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের তকমা পেয়ে গিয়েছে।
শীতের সময়ে লেক তাহোতে এই বিয়ের অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। অতিথিদের মধ্যে প্রায় সকলেই জ্যাকেট, বুট পরিহিত ছিলেন ঠাণ্ডার হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য, তুষারপাতে স্থানটি শ্বেতশুভ্র হয়ে গিয়েছিল। ক্রিসম্যান স্টুডিও এর অ্যারন মরিস ছিলেন এই ছবির ফটোগ্রাফার। ঠাণ্ডার মধ্যে হাত বের করে এই বিশেষ মুহূর্তটি ধারণ করা ছিল সত্যি চ্যালেঞ্জ।
যুক্তরাষ্ট্রের বিয়ের অনুষ্ঠানের প্রায় ২৪ শতাংশ অনুষ্ঠিত হয় যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে আর ৩০ শতাংশ অনুষ্ঠিত হয় যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে। কিছু কিছু স্থানে সার্বক্ষণিক বিয়ে লেগেই থাকে। এটি হলো এমন একটি স্থান। রিডট স্টুডিও এর মার্ক রিডট ছিলেন এই ছবিটির ফটোগ্রাফার। তিনি এই স্থানটি সম্পর্কে বলেন, যেসব স্থানে সবসময় বিয়ে অনুষ্ঠিত হয় সেসব স্থানে একটি শৈল্পিক পরিবেশ বিরাজ করে।
মার্ক রিডট এই ছবিটির ফটোগ্রাফার ছিলেন। টরেন্টো শহরের বাসিন্দা জেনিফার আর থমাসের এই বিয়েটি অনুষ্ঠিত হয় কিউবাতে। স্থানটি ছিল সাগরের তীরে অবস্থিত একটি বিয়ের রিসোর্ট।
বিয়ের এই ছবিটির ফটোগ্রাফার ছিলেন ক্রিসম্যান। তিনি বলেন, ছবিটি তোলার জন্য তার হাতে বেশি সময় ছিল না। এমনকি তিনি জানতেন না কোথায় ছবিটি তুলতে হবে। স্থানটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের হাফমুন রিসোর্ট। তিনি একটি মেসেজ পান হোটেল স্পা থেকে যে একটি বিয়ের ছবি তুলতে হবে। তাৎক্ষণিক সেখানে পৌঁছে তিনি ছবিটি তুলেন। দিনটি ছিল মেঘাচ্ছন্ন।
দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন শহরে একটি বাঁধের উপরে ছবিটি তুলেন ফটোগ্রাফার গ্রেগ লুমলি। তিনি বলেন, এটি ছিল বিয়ে পরবর্তী অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান। পাত্র-পাত্রী দুজনেই বিয়ের পোশাক পরিহিত ছিলেন। তিনি এই স্থানটি বেছে নেন কেননা এর স্বচ্ছ পানি আকাশকে ধারণ করছিল এবং স্থানটিকে একটি নৈসর্গিক স্থানে পরিণত করেছিল।
শীন ম্যাক্লিলান হলেন ম্যাক্লিলান স্টাইল কোম্পানীর একজন ফটোগ্রাফার। নিউইয়র্ক শহরের দম্পতিদের এই ছবিটি তিনি তোলেন। ছবিটি তোলা হয় আইসল্যান্ডের একটি স্থানে যেখানে ১৯৭০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর একটি বিমান ভূপাতিত হয়। গুগল ম্যাপ আর জিপিএস ব্যবহার করে স্থানটি খুঁজে বের করা হয়। ম্যাক্লিলান বলেন, সত্যিকার অর্থে ছবিটি তোলা হয়েছে মধ্যরাত্রিতে কিন্তু উত্তরমেরুতে স্থানটি অবস্থিত বলে সেখানে অন্যরকম পরিবেশ বিরাজ করে।
এই ছবিটির ফটোগ্রাফার গ্রেগ লুমলি। এই ছবিটিকে বলা যায় একটি নাটকীয় দৃশ্য। এই ছবিটি ধারণ করা হয় দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনের কিচেন বীচ থেকে ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণে। সূর্যাস্তের সময় এই অসাধারণ ছবিটি ধারণ করা হয়।
মেক্সিকোর ব্লু উপসাগরের এসমারেল্ডা গ্র্যান্ড হোটেলের তীরে পানিতে এই ছবিটি তোলেন ম্যাক্লিলান স্টাইলের ম্যাক্লিলান। তিনি বলেন, এই ছবিটি তোলার জন্য পানির নিচে একটি গুহাকে নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু ছবিটি তুলতে যথেষ্ট পরিমাণ আলো পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে কিছুটা আলো পাওয়া গেল আর ছবিটি তোলা হলো। কিন্তু ততক্ষণে বেশ বড় সমস্যা হয়ে গেল, ছবিটি তুলতে দেরি হওয়াতে ১০০ জন অতিথির ফ্লাইট বাতিল হয়ে গেল।
বিয়ের ফটোগ্রাফী আলাদা একটি স্থান করে নিয়েছে ফটোগ্রাফী জগতে। এই হলো খ্যাতি পাওয়া কতগুলো বিয়ের ছবি। যা আমাদের মনোমুগ্ধকর একটি অনুভূতি প্রদান করে।
তথ্যসূত্রঃ সিএনএন
This post was last modified on মে ২৩, ২০১৪ 9:48 পূর্বাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, মারপিট করতে করতে রাস্তায় পড়ে গিয়ে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বুধবার, ৮ মে ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকেই খেতে বসলে মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই খাওয়া শেষ হয়ে যায়।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বরগুনার আরডিএফ মিলনায়তনে ‘ভরসার নতুন জানালা’ শীর্ষক কৃষিবিষয়ক সহায়তা উদ্যোগের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নিজের আইফোনের ব্যাটারি হেলথ নিয়ে যদি কৌতূহলী হয়ে থাকেন কিংবা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তারিন জাহান এবার দেশের গণ্ডি পেরিয়ে কোলকাতার…