দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কুমিল্লার দাউদকান্দি ও চান্দিনা উপজেলার বিভিন্ন ওষুধের দোকানে অনুমোদনবিহীন ভিটামিনের রমারমা ব্যবসা চলছে। আর এই ব্যবসায় সহযোগিতা করছে এক শ্রেণীর অসাধু চিকিৎসক। অনুমোদনবিহীন এই সকল ভিটামিনের গুণগত মান থেকে শুরু করে এদের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে তেমন কোন তথ্য দেওয়া নেই যা স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে বলে মনে করছেন বিভিন্ন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ।
দাউদকান্দি উপজেলার দাউদকান্দি, গৌরীপুর, ইলিয়টগঞ্জ বাজার এবং চান্দিনা উপজেলার সদর, মাধাইয়া ও মইচাইল বাজার থেকে এই সকল ভিটামিনের সন্ধান পাওয়া যায়। এছাড়া ওষুধের দোকানগুলোতে রোগীদের বিভিন্ন ব্যবস্থাপত্র দেখে দেখা যায় যে, অধিকাংশ ব্যবস্থাপত্রে ভিটামিনের নাম দেখা গিয়েছে। ব্যবস্থাপত্রে থাকার কারণে এই সকল ভিটামিন কিনছে রোগীরা। এই সকল ভিটামিনের নাম পাওয়ার গোল্ড, দি পাওয়ার এ টু জেড, পাওয়ারক্যাল, অ্যানোক্যাল-ডি, ওয়ান টনিক, স্পা, টিপ, অ্যান ট্র্যাম, রেবোন, মাই ক্যাল, ভি-হেলথ, ভি-টেন, ক্যালথ্রি, ভিটাক্যাল, ভিটাজিন-৩২। স্থানীয় ক্লিনিক, বেসরকারী হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা রোগীর ব্যবস্থাপত্রে এসব লিখে থাকেন। তাছাড়া স্থানীয় বাজারের বিভিন্ন হাতুড়ে ডাক্তাররা কারণে অকারণে রোগীদের পথ্য হিসেবে এগুলো দিয়ে থাকেন।
এই সকল ভিটামিনের উৎপাদনকারী কিংবা আমদানিকারক সম্পর্কেও ভালোভাবে তেমন কোন তথ্য দেওয়া নেই। বিভিন্ন ওষুধের মোড়ক পরীক্ষা করে দেখা যায় যে, এসকে ফার্মা, কে এম ট্রেডিং, এস এ ট্রেডিং, বি ফার্মা, এক্সিম নামের কিছু কোম্পানী এই সকল ভিটামিন উৎপাদন কিংবা আমদানি করে থাকেন। প্রাপ্ত ঠিকানা অনুযায়ী যোগাযোগ করে এই সকল কোম্পানী কিংবা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের খোঁজ পাওয়া যায়নি। একটি কৌটার গায়ে লেখা ‘ফর্মুলারি ইউএসএ’ আবার আরেকটিতে লেখা ‘ফর্মুলা ইন ইউএসএ’। আবার কোন কোনটিতে লেখা মেড ইন ইউএসএ। এই সকল ওষুধের কোনটির গায়েই লাইসেন্স নাম্বার নেই। চান্দিনার বাজারের বিভিন্ন ওষুধের দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে, ওষুধ গুলোর বিক্রয় মূল্য সিরাপের ক্ষেত্রে ১৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকা এবং কৌটা ৩৮০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা।
ওষুধের দোকানদারদের থেকে আরো জানা যায় যে, এই সকল ওষুধ দেশেই তৈরি হয়। কোন ধরনের অনুমোদিত প্রক্রিয়ার তোয়াক্কা না করে এই ধরনের ওষুধ যাচ্ছে তাই ভাবে তৈরি করে তার উপর ইচ্ছেমতো নাম দিয়ে লেবেল আঁটা হয়। কোম্পানীগুলোর পরিবেশক আর বিক্রয় প্রতিনিধিরা স্থানীয় চিকিৎসকদের প্রতিমাসে হাজার টাকা উপঢৌকন দিয়ে থাকেন ফলে চিকিৎসকরা এই ধরনের ওষুধ লিখে থাকে। মাদকাসক্তরা এই ধরনের ওষুধগুলো মাদকের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন। এই বিষয়ে স্থানীয় এক চিকিৎসকের দাবি, কোম্পানির প্রতিনিধিরা স্থানীয় হয়ে থাকার কারণে বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে থাকে। তারা এই সকল ওষুধ লিখতে বাধ্য করে না হলে চেম্বার তুলে ফেলার হুমকি পর্যন্ত দিয়ে থাকে। এই সকল লাইসেন্সবিহীন ওষুধ রোগীদের জন্য আরো ক্ষতিকর হতে পারে। কিন্তু আজ আমি চলে যাওয়ার পর রোগীরা স্থানীয় হাতুড়ে ডাক্তারদের দিকে ঝুঁকে পড়বে। তারা দেদারসে এই সকল ওষুধ দিয়ে থাকবে ফলে রোগীদের আরো ক্ষতি হবে। তিনি মনে করেন, প্রশাসন এই বিষয়ে জোরালো ভূমিকা না নিলে এগুলো বন্ধ করা যাবে না।
কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন বলেন, আমি এই ধরনের লাইসেন্সবিহীন ওষুধ রোগীদের ব্যবস্থাপত্রে লিখতে নিষেধ করেছি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এগুলোর বিরুদ্ধে এখনি কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
This post was last modified on আগস্ট ২৬, ২০১৪ 11:13 পূর্বাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও শতাধিক ফিলিস্তিনি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নিজের সংস্থার সদর দফতরে ডেকে এক ভক্তের হাতে দামি উপহার…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৭ আশ্বিন ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঘড়ির কাঁটা ধরে খাওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, শুধু ডায়েট…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমানে পুরো বিশ্বই প্রযুক্তির উৎকর্ষে আবর্তিত হচ্ছে। বিশেষ করে স্যাটেলাইট…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ‘ওম্যান অব দ্য ইয়ার’ এবার ভারতীয় সিনেমায় বিশেষ অবদানের জন্য…