দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রমজান মাস। এসময় খুব স্বাভাবিকভাবেই সবাই নামাজ-কালাম বেশি করে করেন। কারণ বহু ফজিলত রয়েছে এ মাসে। তবে দোয়া-কালাম কিভাবে শুদ্ধ উচ্চারণ করে পড়তে হবে সে বিষয়ে আমাদের জানা নেই। আজ দোয়া-কালাম বাংলায় শুদ্ধ করে পড়ার নিয়মাবলী নিয়ে আলোচনা করা হবে।
বাংলায় লেখা ‘আরবী’ শুদ্ধ করে তিলাওয়াত করতে হলে আরবী অক্ষও উচ্চারণ করতে হবে। তানাহলে উচ্চারণ শুদ্ধ হবে না। আর তাই এ বিষয়টি সকলের জানা দরকার।
১। আ, ই, ঈ, উ, ঊ- এর উচ্চারণ হলফের শুরু হতে শক্তভাবে আদায় করতে হবে।
২। আ ই, ঊ, ঈ, য়- এসব চিহ্ন বিশিষ্ট অক্ষরগুলো হলফের মধ্যেহতে গলাচিপে উচ্চারণ করতে হবে। অক্ষরগুলো কঠিন, তাই বুঝে শুনে উচ্চারণ করা প্রয়োজন।
৩। ই:, ঈ:, য় – জিহ্বার মাঝখান থেকে নরমভাবে উচ্চারিত করতে হবে।
৪। ‘ব:’ অক্ষরটি ২ ঠোটের মাঝখানের ফাঁক থেকে উচ্চারণ করতে হবে। ঠোট মিশবে না
৫। ‘ত্ব’ অক্ষরটি জিহ্বা মোটা এবং শক্তভাবে উচ্চারণ করতে হবে। কখনই “আ-কার’ (া) ব্যবহার যাবে না।
৬। ‘ছ’ অক্ষরটি জিহ্বার আগা সামনে ২ দাঁতের আগা থেকে নরমভাবে উচ্চারণ করতে হবে।
৭। ‘ছ¡’অক্ষরটি সামনের নিচের দাঁতের আগা থেকে শিষসহ মোটাভাবে উচ্চারণ করতে হবে এবং কখনই “আ-কার’ (া) ব্যবহার করা যাবে না।
৯। ‘জ’ অক্ষরটি জিহ্বার মাঝখান থেকে শক্তভাবে উচ্চারণ করতে হবে এবং কখনই ‘আ-কার’ (া) ব্যবহার করা যাবে না।
৮। ‘স’ অক্ষরটি সামনের নিচের দাঁতের আগা থেকে শিষসহ পাতলাভাবে উচ্চারিত হবে।
১০। ‘জ্ব’ অক্ষরটি জিহ্বার আগা থেকে মোটাভাবে উচ্চারিত হবে এবং কখনই ‘আ-কার (া) ব্যবহার করা যাবে না।
১১। ‘জ:’ অক্ষরটি সামনের নিচের দাঁতের আগা হতে শিষসহ উচ্চারণ করতে হবে।
১২। ‘য’ অক্ষরটি জিহ্বার আগা থেকে নরমভাবে উচ্চারণ করতে হবে।
১৩। হ: অক্ষরটি উচ্চারণের সময় গলায় শোঁ শোঁ শব্দ হবে এবং ‘হ’ অক্ষরটি সাধারণভাবে আদায় হবে।
১৪। ‘দ্ব’ অক্ষরটি সামনের দাঁতের সাথে জিহ্বা না লাগিয়ে উপরের মাড়ি দাঁতের গোড়া থেকে মোটাভাবে উচ্চারিত হবে এবং কখনই আ-কার (া) ব্যবহার হবে না।
১৫। ‘ক্ব’ অক্ষরটি জিহ্বার গোড়া থেকে শক্ত এবং মোটাভাবে উচ্চারিত হবে এবং কখনই আ-কার ব্যবহার হবে না।
১৬। ‘রঅ’-‘র’ অক্ষরের সাথে ‘অ’ এর অবশ্য আলাদা কোনো উচ্চারণ নেই। শুধু ‘র’ অক্ষওে যেন কেও ‘হসস্ত’ উচ্চারণ না করে তার জন্য ‘অ’ কে সংযুক্ত করা হয়েছে।
১৭। যেসব অক্ষরে ‘আ-কার’ ব্যবহার করা যাবে না, সেসব অক্ষরে যেনো ‘ও-কার’ উচ্চারণ না হয়, সেই দিকে সব সময় লক্ষ্য রাখতে হবে।
১৮। ‘ম্ম’ ন্ন এবং ম এর পরে ‘অ-কার, ই- কার, ঈ-কার বিশিষ্ট ম থাকলে অথবা ন্ এর পরে আ-কার, ই-কার, ঈ-কার, ঊ-কার বিশিষ্ট্ ‘ন’ থাকলে গুণনা করে পড়তে হবে এ ছাড়া চন্দ্রবিন্দু এবং ‘ং’ গুণনার সঙ্গে উচ্চারিত হবে।
১৯। াা,- (ড্যাস) ী, ূ “ঈ, উ, লম্বা করে অর্থাৎ টেনে টেনে পড়তে হবে।
এভাবে বানানগুলো যদি সঠিক ও শুদ্ধভাবে উচ্চারণ করা যায় তাহলে আপনি যে কোনো আমল করলে ফজিলত থেকে বঞ্চিত হবেন না। কিন্তু উচ্চারণ সঠিক না হলে আপনি যদি সুরা ক্বেরাত পড়েন তাহলে প্রকৃত অর্থ বিকৃত হতে পারে। সেক্ষেত্রে সুরা বা ক্বেরাতের অর্থ পরিবর্তিত হয়ে আপনি গোনাহ করে ফেলতে পারেন। তাই এসব উচ্চারণ সম্পর্কে ধারণা নিন এবং এই রমজানে সহি শুদ্ধভাবে আমল করুণ।
This post was last modified on এপ্রিল ৫, ২০২২ 1:33 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বয়স বৃদ্ধির পর নখ কিছুটা হলেও ভঙ্গুর হতেই পারে। আবার…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ “কৃষি-উদ্যোক্তাদের সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করার পাশাপাশি সরকার তাদের বিকাশে সকল…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মানুষের চেয়ে ভালোভাবে তো একটি রোবট শরীরকে কখনই নিয়ন্ত্রণ করতে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান সময়ে দক্ষিণী চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় একজন অভিনেতা যশ। যিনি সবার…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি চুক্তি করতে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের সমাজে গাধা নামক প্রাণীটি কঠোর পরিশ্রমের রূপক হিসেবে প্রচলিত।…