দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অর্থনৈতিক কিছু কারণে অনেকে তাড়াতাড়ি বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চান না। এসব ঝামেলা কাটানোর জন্যই পাত্রপাত্রীদের কিছু বিষয়ে আলোচনা করে নেওয়া প্রয়োজন। এতে বিয়ের পর আর্থিক বিষয়গুলো সামলানোও অনেক সহজ হবে। এ ক্ষেত্রে যে পাঁচটি বিষয় তাঁদের উভয়কেই আলোচনা করে নিতে হবে।
১. আর্থিক ঋণের দিকে নজর দিন
ঋণ আপনার সংসারের জন্য বোঝা হয়ে দাড়াতে পারে। তাই স্বামী বা স্ত্রী উভয়েরই আর্থিক ঋণের দিকে নজর দিতে হবে। তাঁদের মধ্যে কারো যদি ঋণের পরিমাণ অস্বাভাবিক থাকে তাহলে তা কিভাবে মেটানো যায় সে বিষয়ে আলোচনা করে নিতে হবে। এতে কোন ধরনের লুকোছাপা করা উচিত নয়। বিয়ে মানে একে অন্যের সঙ্গে অন্যান্য বিষয়ের মতো আর্থিক বিষয়াদিও ভাগাভাগি করে নেওয়া। তাই সময় থাকতে এসব বিষয় আলোচনা ও ঋণ পরিশোধের পরিকল্পনা জেনে নেওয়া উচিত।
২. সংসারের আর্থিক দায়িত্ব বণ্টন করুন
সুস্থ ও স্বাভাবিক দাম্পত্যের জন্য আর্থিক বিষয়ে কার কোন দায়িত্ব তা বিয়ের আগেই আলোচনা করে নিতে হবে। প্রতিদিনের আর্থিক চাহিদা কে পূরণ করবেন, তা আগে থেকে পরিকল্পনা করে নেওয়া প্রয়োজন। আর্থিক বিষয় ব্যবস্থাপনা কার দায়িত্বে থাকবে আর বিল পরিশোধ কে করবেন, এসব বিষয় পরিষ্কার করে নেওয়া প্রয়োজন। দম্পতিদের একজন আর্থিক বিষয় ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকলে অন্যজন যে তা নিয়ে পুরোপুরি অন্ধকারে থাকবেন, এমন কোনো কথা নেই। সুস্থ সম্পর্কের জন্য কোথায় কত টাকা কিভাবে খরচ হচ্ছে, এসব বিষয় উভয়েরই জানা থাকা উচিত।
৩. বার্ষিক আয় অনুসারে করুন ব্যয় পরিকল্পনা
বিয়ের আগেই দম্পতিদের তাঁদের মোট বার্ষিক আয় কত টাকা এবং এ টাকা কিভাবে ব্যয় করা হবে, সে সম্পর্কে আলোচনা করে একটি পরিকল্পনা থাকা প্রয়োজন। বার্ষিক আয় আলোচনাটি প্রয়োজন এই জন্য যে, এতে বিয়ের পরে তাঁদের জীবনযাত্রা কেমন হবে, সে সম্পর্কে উভয়ের স্পষ্ট ধারণা থাকবে। কোথায় তাঁরা বাস করবেন এবং কিভাবে কত টাকা কোথায় খরচ করবেন এসব বিষয় আগেই জেনে নেওয়া সম্ভব হবে।
৪. সংসারের জন্য চাই আর্থিক পরিকল্পনা
সত্যিকারঅর্থে আর্থিক বিষয়ে সবারই একটি পরিকল্পনা থাকা উচিত। আর এ পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে দীর্ঘমেয়াদি ও স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা। পরিকল্পনাতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে সামগ্রিক জীবনপ্রণালী পরিকল্পনা ও অবসরকালীন আর্থিক বিষয়াদি। দীর্ঘমেয়াদি বিষয়গুলো অনেক দূরের বলে মনে হলেও আগে থেকেই এগুলোর আলোচনা ও পরিকল্পনা করতে হয় । বিশেষ করে বিয়ের পরবর্তী বিষয়গুলো বিয়ের আগেই আলোচনা করে নেওয়া উচিত।
৫. দম্পতিদের ব্যাংক ক্রেডিট স্কোর
ক্রেডিট স্কোর নিয়ে অতীতে তেমন একটা আলোচনা করা হতো না। কিন্তু বর্তমানে আপনার কতখানি ঋণ নেওয়ার সক্ষমতা আছে, তা অনেকেই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেন। ক্রেডিট স্কোর বেশি থাকলে ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণে সুবিধা হয়। হবু দম্পতিদের উভয়ের এ ক্রেডিট স্কোর নিয়ে আলোচনা করে নেওয়া উচিত। যদি এ স্কোর কম হয় তাহলে তা কিভাবে বাড়ানো যাবে, তাও আলোচনা করে নিতে হবে। কেননা এতে করে জরুরী প্রয়োজনে দরকারী ঋণের ক্ষেত্রে প্রাপ্তি সহজ হবে, যা আপনার স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে সচল রাখবে।
This post was last modified on জুলাই ২৭, ২০১৪ 12:54 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দুবাই হলো বিনোদন জগতের তারকাদের একটি মিলন মেলা। সেখানে নানা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন যে, ইসরায়েলের স্বার্থ রক্ষায় আমরাই…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ডেরিক একজন প্রাক্তন সেনা। ভার্জিনিয়ার একটি জেলার আসনে রিপাবলিকান দলের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৫ কার্তিক ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যে সময়টিতে বেশি সজাগ থাকতে হয় সেটি হলো গর্ভাবস্থা। এই…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গ্রাহকদের জন্য ব্যাংকিং সেবা উন্নত করার লক্ষ্যে দেশের প্রথম প্রজন্মের…