দেখে নিন বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা উষ্ণ পানির কিছু হ্রদ

দি ঢাকা টাইমস্‌ ডেস্ক ॥ সাধারণত আমরা ঠান্ডা পানির লেক বা হ্রদ দেখতে যাই, লেকের ঠাণ্ডা জলে নিজেদের শরীর ভেজাই। কিন্তু বিশ্বজুড়ে বেশ কয়েকটি উষ্ণ পানির হ্রদ আছে। যেগুলো অনেক সময় মানুষের মৃত্যুরও কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আজ আমরা দি ঢাকা টাইমসের পাঠকদের জন্য তুলে ধরবো তেমনি কয়েকটি উষ্ণ হ্রদের কথা।


শ্যাম্পেন পুল, নিউজিল্যান্ড

নিউজিল্যান্ডের বিখ্যাত ওয়াই-ও-টাপু দ্বীপে কমলা রংযের এই উষ্ণ হ্রদটি অবস্থিত। এই হ্রদ বা উষ্ণ প্রসবণের উষ্ণতা গড়ে ২৬৫ ফারেনহাইট বা ৭৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়। তবে মাঝে মাঝে এর উষ্ণতা প্রায় ৫০০ ডিগ্রী ফারেনহাইট (২৬০ ডিগ্রী সেলসিয়াস)পর্যন্ত পৌছায়। কমলা রঙের এই লেকটি পানির রঙ কমলা নয়, লেকটির নিচের মাটির রঙ এই কমলা রঙের হওয়ায় এর পানির রঙ দেখতে এই রকম। বিজ্ঞানীরা বলেন, লেকের নিচের স্তরের তাপমাত্রা ২৬৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট হওয়াতে এই লেকের মাটির রঙের প্রকৃতি এমন।

ফ্রাইং প্যান লেক, নিউজিল্যান্ড

Related Post

১৮৮৬ সালের জুনে নিউজিল্যান্ডের মাউন্ট তারায়েরার অগ্ন্যুত্পাতে এই উষ্ণ হ্রদের তৈরি হয়। বলা হয়ে থাকে যে,এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় উষ্ণ পানির হ্রদ। এই হ্রদের তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হয়ে থাকে। এর নিচের আগ্নেয়গিরির উত্তপ্ততা এখনো রয়েছে বলে ধারণা করেন বিজ্ঞানীরা। এর চারপাশে বাষ্পীভুত বাতাসের ঘনত্ব এত বেশি যে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয় পর্যটকদের।

অনুমা লেক,হক্কাইডো, জাপান

বিশ্বের ভ্রমণ প্রিয় মানুষের কাছে অন্যতম প্রিয় একটি স্থান হলো এই জাপানের অনুমা লেক। এটি নিশিকি হাইল্যান্ডে অবস্থিত। এই উষ্ণ প্রসবণটির তাপমাত্রা ১৪০ ডিগ্রী ফারেনহাইট (৬০ ডিগ্রী সেলসিয়াস) পর্যন্ত হয়ে থাকে। পর্যটকদের জন্যে হ্রদের চারপাশে কাদা দিয়ে সরু রাস্তা আছে। প্রতিবছর জাপানের ভ্রমনার্থী যে সকল মানুষগণ আসেন তাদের একটা বেশিরভাগ অংশ দেখতে যান ফুজিয়ামা। তারপরের পছন্দ থাকে এই অনুমা লেক।

গ্র্যান্ড প্রিজম স্প্রিং-ইয়েলোস্টোন ন্যাশনাল পার্ক, ইয়মিং

রংধনুর সাথে অনেকটা মিল আছে এই হ্রদের। একই সাথে কমলা,হলুদ এবং সবুজ রংয়ের মিশ্রণ আছে এই হ্রদের পানিতে। আমেরিকার সবচেয়ে বড় এবং দর্শনার্থীদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় উষ্ণ পানির হ্রদ হচ্ছে এই গ্র্যান্ড প্রিজম স্প্রিং যেটি ইয়েলোস্টোন ন্যাশনাল পার্ক এ অবস্থিত। এই উষ্ণ হ্রদের তাপমাত্রা ১৬০ ডিগ্রী ফারেনহাইট (৭০ ডিগ্রী সেলসিয়াস) পর্যন্ত হয়ে থাকে। বিখ্যাত সাইফাই মুভি 2012 এর শুটিং হয়েছিল এখানে।

ক্রিয়েটার লেক,সান্তা আনা আগ্নেয়গিরি, এল সালভাডর

বিশাল আকারের পাথুরে পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত এই লেকটি। পাথরের বিশালত্ব আর উষ্ণ প্রসবণের মাঝামাঝি এক্টি অন্যরকম পরিবেশ বিরাজ করে এখানে। যা আপনার মনে ভয় ধরিয়ে দিবে। ৭৮৫০ ফুট উচু আগ্নিয়গিরির সবুজ নিলাভ রঙয়ের এই উষ্ণ হ্রদেরটির পানির তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হয়ে থাকে।

This post was last modified on জুলাই ৩১, ২০১৪ 11:04 পূর্বাহ্ন

K. A. B Tohin

Recent Posts

বিপদজনক কাণ্ড: পেট্রোল পাম্পে কাঠ জ্বালিয়ে আগুন পোহাচ্ছেন তরুণরা!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পেট্রোল পাম্পের মধ্যে আগুন জ্বালানো নিষেধ থাকে সেটি আমাদের সকলেরই…

% দিন আগে

কুয়াশাচ্ছন্ন শীতের সকাল

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২১ পৌষ ১৪৩১…

% দিন আগে

বেশি উপকার হলেও শরীরে পেঁপে খাওয়ার বিরুপ প্রভাবও পড়তে পারে

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পুষ্টিবিদরা বলেন, খালি পেটে পেঁপে খাওয়া মোটেও ভালো নয়। এতে…

% দিন আগে

২০২৫ সালে পানির নিচে থাকা যে আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ২০২৫ সালের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলের পানির নিচে থাকা…

% দিন আগে

বলিউডের কয়েকটি চলচ্চিত্র নতুন বছর আলোচনার বিষয় হবে

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নতুন বছরের শুরুতেই সিনেমাপ্রেমীরা হিসাব কষতে বসেন, নতুন বছরে প্রিয়…

% দিন আগে

২৪ ঘণ্টা বরফের হ্রদে আটকে থাকা কুকুরছানাকে ড্রোন উড়িয়ে উদ্ধার!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বরফের হ্রদে আটকে পড়ে অজানা কারণে কিংবা ভয় পেয়ে কুকুরটি…

% দিন আগে