দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের মিঠাপানির ‘সাদা সোনা’ বলে খ্যাত চিংড়িতে বিভিন্ন ভেজাল যেমন জেলি, সাগু, পানি, পাউডার, সাদা লোহা পুশ করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। এবং এই চিংড়ি দেশী এবং বিদেশী বাজারে রপ্তানি করে কোটিটাকা কামিয়ে নিচ্ছে কিছু ব্যবসায়ী।
বাংলাদেশের চিংড়ির সুনাম আছে বিশ্ব বাজারে। আর তাই চাহিদাও ভালো বিদেশে। তবে কতদিন আর এই চাহিদা থাকবে কিংবা বাংলাদেশকে চিংড়ি বাজারে কালো তালিকা ভুক্ত করবে আন্তর্জাতিক সংস্থা তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছেনা। কারণ দেশের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী খুলনায় অবাধে ‘সাদা সোনা’ বলে খ্যাত চিংড়িতে বিভিন্ন ভেজাল দিচ্ছেন, এই ভেজাল মেশানো চিংড়ি দেশী বাজার সহ বিদেশী বাজারে চলে যাচ্ছে।
কিছু সংখ্যক অসাধু লোকের কারণে দেশের দ্বিতীয় বৃহৎতম রপ্তানি দ্রব্য হিমায়িত চিংড়ি বিদেশীরা নিজ দেশে আমদানিতে আগ্রহ হারাচ্ছেন। বাংলাদেশের সম্মান ক্ষুণ্ণ হচ্ছে, একই সাথে দেশী ক্রেতারাও ঠকছেন এসব ভেজাল চিংড়ি কিনে।
দেশী এক সংবাদ মাধ্যমের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, “খুলনা মহানগরীর রূপসা উপজেলার পূর্ব রূপসা, ফকিরহাটের ফলতিতা বাজার, বটতলা, কেরামত মার্কেট, মাঝি পাড়া, নগরীর চানমারী, দৌলতপুরের আড়ংঘাটা, তেরখাদা, ডুমুরিয়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করা হয়। যারা এ কাজের সঙ্গে জড়িত, স্থানীয়ভাবে তারা ‘ডাক্তার’ নামে পরিচিত। তারা ইনজেকশনের সিরিঞ্জ দিয়ে অপদ্রব্য পুশ করার কাজ করে এক কেজি চিংড়ির জন্য ১০ টাকা পান। অনেক অসাধু ব্যবসায়ী অপদ্রব্য পুশকৃত চিংড়ি কিনে রপ্তানি ও দেশীয় খোলা বাজারে বিক্রি করছেন। অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে বৈধ ব্যবসায়ীরাও বিপাকে পড়ছেন।”
মূলত এক কেজি চিংড়ির দাম ১০০০ টাকা এক্ষেত্রে এসব চিংড়িতে ডাক্তার দিয়ে প্রতি কেজিতে ৩০০ গ্রাম করে অপদ্রব্য পুশ করা হয়। আর এর ফলে প্রতি কেজিতে ৩০০ গ্রাম করে বাড়তি মূল্য পায় অসাধুরা। এক্ষেত্রে ৩০০ টন চিংড়ি বিক্রিতে তারা রাতারাতি কোটি টাকা কামিয়ে নিচ্ছেন।
এদিকে অভিযোগ করা হচ্ছে, অসাধু ব্যবসায়ীরা চিংড়িতে এসব অপদ্রব্য দেয়ার ক্ষেত্রে এগেই স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে নেয়। ফলে অনেকটা নিরালায় চিংড়িতে ভেজাল দিয়ে যাচ্ছে এসব ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ থেকে চিংড়ি রপ্তানি হয়ে যেসব দেশে যায় সেসব দেশ হচ্ছে, দেশগুলো হচ্ছে জাপান, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস (হল্যান্ড), জার্মানি, বেলজিয়াম, তাইওয়ান, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ডেনমার্ক, আয়ারল্যান্ড, সুইডেন, চীন, ইতালি, মারিশাস, ইউএই, পর্তুগাল, অস্ট্রিয়া, সাইপ্রাস ও ডেমোনিকান রিপাবলিক। সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয় বেলজিয়াম ও ফ্রান্সে।
তবে বেশ কয়কবার এসব দেশ বাংলাদেশ থেকে আপদ্রব্য পুশ করায় চিংড়ি আমদানি বন্ধ করে দিয়েছিল। অনেকেই সতর্ক করে দিয়েছে, আর এতে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিদ্রব্য চিংড়ি শিল্পে বির্পয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
This post was last modified on মার্চ ৫, ২০১৫ 11:22 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ২০ কার্তিক ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণতভাবে দেখা যায়, বেশিরভাগ মহিলা রক্তাল্পতার ঝুঁকিতেই ভোগেন। পিরিয়ডের সময়…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ খুব শীঘ্রই মোবাইল ফোন চার্জ দেওয়ার ঝামেলার অবসান ঘটতে চলেছে।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাপ্লিমেন্ট যখন খুশি তখন খাওয়া যায় না। কোন ভিটামিন কিংবা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আল্লু অর্জুন অভিনীত বলিউডের বহুল আলোচিত তেলেগু সিনেমা ‘পুষ্পা’। কিছুদিন…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেখা যায় একটি মৃতদেহ বয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল গাড়ি করে।…